খেলাধুলা

আলোর স্বল্পতায় আগেভাগে শেষ তৃতীয় দিনের খেলা

সংক্ষিপ্ত স্কোর (তৃতীয় দিন শেষে): বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৭.২ ওভারে ১৫৮/৪, লক্ষ্য ৫১৫ (শান্ত ৫১*, সাকিব ৫*; জাকির ৩৩, সাদমান ৩৫, মুমিনুল ১৩, মুশফিক ১৩ )

দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ৬৪ ওভারে ২৮৭/৪ ডি., লিড ৫১৪ (রাহুল ২২*, গিল ১১৯*: রোহিত ৫, জয়সওয়াল ১০, কোহলি ১৭, পান্ত ১০৯)

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৪৭.১ ওভারে ১৪৯/১০ ( মিরাজ ২৭*; সাদমান ২, জাকির ৩, মুমিনুল ০, শান্ত ২০, মুশফিক ৮, লিটন ২২, সাকিব ৩২, হাসান ৯, তাসকিন ১১, নাহিদ ১১)

প্রথম ইনিংসে ভারত ৯১.২ ওভারে ৩৭৬/১০ (সিরাজ ০*; রোহিত ৬, গিল ০, কোহলি ৬, পান্ত ৩৯, জয়সওয়াল ৫৬, রাহুল ১৬, জাদেজা ৮৬, আকাশ ১৭, অশ্বিন ১১৩, বুমরা ৭)

সিরিজের প্রথম টেস্টে ৫১৫ রানের প্রায় অসম্ভব লক্ষ্য ছুঁড়ে বাংলাদেশের ৪ উইকেট তুলে নিয়েছে ভারত। তৃতীয় দিন সফরকারী দল দারুণ সূচনা করলেও শেষ পর্যন্ত সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি। ইনিংস লম্বা করতে পারেননি জাকির, সাদমান, মুমিনুল ও মুশফিক। তাদের ব্যর্থতায় বাংলাদেশ এখন কতদূর যেতে পারে সেটাই এখন দেখার। চেন্নাইয়ে আলোর স্বল্পতায় তৃতীয় দিনের খেলা পরিত্যক্ত হয়েছে আগেভাগে। দিন শেষে সফরকারীদের স্কোর ৩৭.২ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫৮ রান। বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ৩৫৭ রান। ভারতের জিততে দরকার আর ৬ উইকেট।

মুশফিকের বিদায়ের পর শান্তর ফিফটি

সতীর্থরা ইনিংস লম্বা করতে না পারলেও প্রান্ত আগলে খেলছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। মুশফিকের বিদায়ের পর আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট ফিফটি। অশ্বিনের ওভারে ছক্কা হাঁকিয়ে হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করতে ৫৫ বল লেগেছে তার।

অশ্বিনের ঘূর্ণিতে পড়লো চতুর্থ উইকেট

মুমিনুলের বিদায়ের পর চাপ থেকে দলকে উদ্ধারে অবদান রাখতে পারেননি মুশফিক। বরং উইকেট বিলিয়ে দলের চাপ আরও বাড়িয়েছেন। অশ্বিনের বলে লোকেশ রাহুলের দারুণ ক্যাচে ১৩ রানে ফিরেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। অবশ্য রিপ্লেতে দেখার পরই আম্পায়ার ক্যাচের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

অশ্বিনের ওভারে মেরে খেলতে গিয়েই বিপদ ডেকে আনেন মুশফিক। আগের বলেও ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। টেস্টে তাকে পঞ্চমবারের মতো আউট করেছেন অশ্বিন।

অশ্বিনের দ্বিতীয় শিকার মুমিনুল

৮৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট পতনের পর শান্তকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করছিলেন মুমিনুল। তৃতীয় উইকেটে ৩৮ রান যোগ করেন তারা। কিন্তু রবিচন্দ্রনের অশ্বিনের ঘূর্ণিতে বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি এই জুটি। বলের লাইন মিস করায় ১৩ রানে বোল্ড হয়েছেন মুমিনুল। অশ্বিনের এটি দ্বিতীয় শিকার।

জাকিরের পর ফিরলেন সাদমানও

জাকিরের ফেরার পর সাদমানের ইনিংসও লম্বা হলো না। অথচ দেড় ঘণ্টার মতো ক্রিজে ছিলেন তিনি। দলের ৮৬ রানে সাজঘরে ফিরেছেন। অশ্বিনের শর্ট অব লেংথের বল ব্যাক ফুটে গিয়ে খেলার চেষ্টা করেছিলেন সাদমান। কিন্তু বল ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় শর্ট মিড উইকেটে থাকা গিলের হাতে। তাতে ৩৫ রানে থেমেছেন সাদমান। তার ৬৮ বলের ইনিংসে ছিল ৩টি চার।

জাকিরের বিদায়ে ভাঙলো শুরুর জুটি

চায়ের বিরতির আগে দারুণ খেলছিলেন দুই ওপেনার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম। ৫১৫ রনের লক্ষ্যে বিনা উইকেটে ৫৬ রান নিয়ে বিরতিতে যান তারা। বিরতির পর ৬২ রানের এই জুটি ভেঙেছে জাকিরের বিদায়ে। গালিতে তাকে তালুবন্দি করিয়েছেন বুমরা।

চায়ের বিরতির টানা তিন ওভার পরীক্ষা নিচ্ছিলেন ভারতীয় এই পেসার। যার ফল পান ১৭তম ওভারে। শরীর থেকে যথেষ্ট বাইরে আলগা শট খেলতে গিয়ে বিপত্তি ডেকে আনেন জাকির। জয়সওয়ালও বাম দিকে ডাইভ দিয়ে নেন একহাতের অসাধারণ ক্যাচ। ফেরার আগে জাকির ৪৭ বলে ৩৩ রান করেছেন। তাতে ছিল ৫টি চার ও ১টি ছয়ের মার।

জাকির-সাদমানের পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটিতে চায়ের বিরতিতে বাংলাদেশ

ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণায় ৫১৫ রানের লক্ষ্য পেয়েছে বাংলাদেশ। জবাবে আত্মবিশ্বাসী সূচনা করেছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম মিলে চায়ের বিরতিতে যাওয়ার আগে বিনা উইকেটে ৫৬ রান তুলেছেন। আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলে ১৩ ওভারেই স্কোরবোর্ডে এই রান যোগ করেন তারা।

বাংলাদেশকে ৫১৫ রানের লক্ষ্য দিলো ভারত

তৃতীয় দিন ভারতকে দ্রুত গুটিয়ে দেওয়ার মিশনে সফল হয়নি বাংলাদেশ। বরং তাদের হতাশ করে স্বাগতিক ভারত রানের পাহাড় গড়েছে। ৫১৪ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছে তারা। তাতে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ৫১৫ রানের।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৭ রানে তৃতীয় উইকেট পতনের পর বাংলাদেশের সামনে প্রতিরোধ গড়ে খেলেন পান্ত-গিল জুটি। গতকাল থেকে এই জুটিই ভারতের স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করে। তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে দাপট দেখানো জুটি ভাঙে দ্বিতীয় সেশনে। তাদের প্রতিরোধে প্রথম সেশনে কোনও উইকেট ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ।তাদের ১৬৭ রানের জুটি ভাঙার পর গিল-রাহুল মিলে ৪ উইকেটে ২৮৭ রান পর্যন্ত গেলে ইনিংস ঘোষণা করেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এদিন পান্ত, গিল দুজনেই সেঞ্চুরি পেয়েছেন। পান্ত ১০৯ রানে আউট হলেও গিল অপরাজিত ছিলেন ১১৯ রানে। সঙ্গে ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন লোকেশ রাহুল।

দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে তেমন ভূমিকা রাখতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। ১০৩ রানে সর্বোচ্চ দুই উইকেট মেহেদী হাসান মিরাজের। একটি করে নিয়েছেন তাসকিন ও নাহিদ রানা।

Related Articles

Back to top button