topআন্তর্জাতিক

আবারও যুদ্ধবন্দি বিনিময় করলো রাশিয়া-ইউক্রেন

টাইমস ২৪ ডটনেট: দুই দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো যুদ্ধবন্দি বিনিময় করলো রাশিয়া ও ইউক্রেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যস্থতায় আলোচনার পর শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ২০৬ জন যুদ্ধবন্দি বিনিময় করলো দেশ দুটি। কর্মকর্তাদের বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, মুক্তি পাওয়া ১০৩ ইউক্রেনীয়দের সবাই সামরিক বাহিনীর সদস্য। এর মধ্যে ৮২ জন সেনা এবং ২১ জন অফিসার রয়েছেন। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিনিময়ের আওতায় মুক্তি পাওয়া ১০৩ রুশ সেনাদের সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলে বন্দি করা হয়েছিল। আগস্টে সেখান একটি আকস্মিক হামলা শুরু করেছিল ইউক্রেনীয় বাহিনী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমাদের সেনারা বাড়িতে রয়েছেন। রাশিয়ার বন্দিদশা থেকে আমরা ইউক্রেনে সফলভাবে আরও ১০৩ যোদ্ধাকে ফিরিয়ে এনেছি।’
জেলেনস্কি কিছু ছবি পোস্ট করেছিলেন, যেগুলোতে সেনাদের নীল ও হলুদ রংয়ের জাতীয় পতাকায় মোড়ানো থাকতে, একে অপরকে আলিঙ্গন করতে, মোবাইল ফোনে কথা বলতে এবং অজ্ঞাত স্থানে গ্রুপ ছবি তোলার জন্য পোজ দিতে দেখা যায়। আমিরাতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ডব্লিউএএম বলেছে, এই বন্দি বিনিময়টি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যস্থতায় হয়েছিল। তাদের মধ্যস্থতায় ২০২৪ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত এ ধরনের অষ্টম বিনিময় হয়েছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্বাত্মক হামলার পর থেকে ঘন ঘন যুদ্ধবন্দি বিনিময় করেছে কিয়েভ ও মস্কো। আগস্টের শুরুতে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের আন্তঃসীমান্ত হামলা শুরু করার পর থেকে শনিবার তৃতীয়বারের মতো বন্দি বিনিময় করে তারা।

ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এর আগে বলেছিলেন, অনুপ্রবেশের সময় অন্তত ৬০০ রুশ সেনাকে বন্দি করেছিল ইউক্রেনের সেনারা, যা বন্দি ইউক্রেনীয়দের ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে।ইউক্রেনের অভিযোগ বিষয়ক কর্মকর্তা দিমিত্রো লুবিনেটস বলেছেন, মুক্তিপ্রাপ্ত ইউক্রেনীয়দের অধিকাংশই আক্রমণের প্রথম দিন থেকেই রাশিয়ায় বন্দিদশায় ছিলেন। টেলিগ্রামে তার পোস্ট করা একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিওতে দায়িত্বরত সেনাদের একটি বাসের সামনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে ‘ইউক্রেনের গৌরব’ বলতে শোনা যায়। লুবিনেটস বলেছেন, কিয়েভ এ পর্যন্ত ৫৭টি বন্দি বিনিময়ে মোট ৩ হাজার ৬৭২ ইউক্রেনীয়দের দেশে ফিরিয়ে এনেছেন।

Related Articles

Back to top button