জাতীয়সারাদেশ

বন্যায় পানিবন্দি ২ লাখ পরিবার, ক্ষতিগ্রস্ত ১৮ লাখ মানুষ, দুইদিনে ৪ জনের মৃত্যু

টাইমস ২৪ ডটনেট: ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে বাংলাদেশের ফেনী ও নোয়াখালীসহ ৮টি জেলা। মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙ্গনস্থল দিয়ে প্রবল বেগে জল প্রবেশ করতে থাকায় একের পর এক জনপদ প্লাবিত হচ্ছে।বৃষ্টি ও বন্যার প্রভাবে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আকস্মিক বন্যায় ৬ জেলায় মোট ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬৬৩টি পরিবার জলবন্দি হয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ১৭ লাখ ৯৬ হাজার ২৪৮ জন।
জানা গেছে, ফেনীর সাড়ে ৩ লাখেরও বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। সব ধরনের যোগাযোগও বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা। টানা বৃষ্টিতে ডুবে গেছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের নিচু এলাকা। এতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরীর বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাস্তাঘাট হাঁটু থেকে কোমরসমান জলে ডুবে গেছে। জলাবদ্ধতার কারণে সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। চট্টগ্রামের সাথে সারাদেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে, ভারতের ত্রিপুরার বাঁধ থেকে জল ছাড়ার কারণে বাংলাদেশে বন্যা হয়নি বলে দাবি করেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়। দিল্লির পক্ষ থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, ত্রিপুরার গোমতী নদীর উপরে তৈরি দুম্বুর বাঁধ থেকে জল ছাড়ার কারণে বন্যা হয়েছে, এ তথ্য সঠিক নয়। বন্যা নিয়েই বিভিন্ন বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ তোলা হয় যে ভারতের দুম্বুর বাঁধ থেকে জল ছাড়ার কারণেই এই বন্যা হয়েছে। তবে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত সরকার। অন্যদিকে, বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম৷ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

Related Articles

Back to top button