টাইমস ২৪ ডটনেট: হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে কাতারের দোহায় লাখো মানুষের ঢল নেমেছে।শুক্রবার দোহার ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে আবদ আল-ওয়াহাব মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে হামাস নেতা হানিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে লাখো মানুষ অংশ নেয়।জানাজা শেষে হানিয়ার মৃতদেহ দোহার উত্তরে লুসাইল রাজকীয় কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হবে।দোহায় এখন নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যাপকভাবে জোরদার করা হয়েছে। কারণ এখানে সারা বিশ্ব থেকে বিশেষ করে ইসলামি দেশগুলো থেকে কয়েক ডজন রাষ্ট্রীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত হয়েছেন। এছাড়াও ফাতাহ এবং ইসলামিক জিহাদসহ ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর নেতারাও দোহায় উপস্থিত হয়েছেন। এমনকি হানিয়ার পরিবারের জীবিত সদস্যরাও তাকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন।এর আগে বুধবার তেহরানে ইসরাইলি হামলায় এক দেহরক্ষীসহ হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া নিহত হন। পরে তেহরানে অনুষ্ঠিত প্রথম জানাজাতেও লাখ লাখ মানুষের ঢল নামে।পরে তেহরান থেকে হানিয়ার লাশ কাতারের দোহায় নিয়ে যাওয়া হয়। দেশটির বৃহত্তম মসজিদ দোহার ইমাম মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব মসজিদে জুম্মার নামাজের পর হানিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।আল-জাজিরা জানিয়েছে, এ সময় মসজিদে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় ছিল। এ সময় উপস্থিত সবাইকে তল্লাশি করা এবং মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করা হয়।জানাজায় উপস্থিত ছিলেন কয়েক ডজন বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী ও সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এর মধ্যে ফাতাহের সিনিয়র ব্যক্তিত্ব মাহমুদ আল-আলৌলও ছিলেন। গত সপ্তাহেই হামাস, ফাতাহ এবং আরও কয়েকটি ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী গাজায় যুদ্ধ-পরবর্তী সরকার গঠনের জন্য বেইজিংয়ে একটি ঐক্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি জাতীর অন্যতম নেতা মুস্তাফা বারঘৌতিও হানিয়ার জানাজায় উপস্থিত হতে কাতারে পৌঁছেছেন।
এদিকে দোহায় হানিয়ার শেষ জানাজায় অংশ নিতে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে তুরস্ক। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট সেভদেত ইলমাজ, পার্লামেন্টের স্পিকার নুমান কুর্তুলমুস এবং গোয়েন্দা প্রধান ইব্রাহিম কালিন।এছাড়া হানিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশের জন্য তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান শুক্রবার হামাসের সিনিয়র সদস্য খালেদ মেশালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। জানাজা ও শেষ শ্রদ্ধা জানানো শেষে দোহার উত্তরে লুসাইলের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম কবরস্থানে হানিয়াহকে দাফন করা হবে।