টাইমস ২৪ ডটনেট, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এবারের নির্বাচনে ৪০০ আসন জেতার স্বপ্ন দেখেছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ। তবে চলমান ভোট গণনায় এ পর্যন্ত প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, ৪০০ আসন তো দূরের কথা, এই নির্বাচনে এবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতেই হিমশিম খাচ্ছে বিজেপি। এখন পর্যন্ত এককভাবে ২৩৯টি আসনে এগিয়ে রয়েছে দলটি। যেখানে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ২৭২টি আসন। ফলে সরকার গঠনের জন্য এবার মোদিকে এনডিএ-র দুই মিত্র নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতীশ কুমারের ওপর নির্ভর করতে হবে। তবে ঘটনাচক্রে অতীতে ওই দুই নেতারই একাধিকবার এনডিএ জোট ছেড়ে যাওয়ার ইতিহাস রয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য ওঠে এসেছে।
মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ভোটগণনা এবং প্রবণতা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, তৃতীয়বারের মতো নরেন্দ্র মোদি ভারতের মসনদে বসতে যাচ্ছেন। তবে এবার একদলীয় শাসন নয়, সরকার গঠনে মিত্রদের সঙ্গে হাত মেলাতে হবে মোদিকে। ভোটগণনায় প্রবণতা দেখা গেছে, ২০১৪ ও ২০১৯-এর মতো সংসদের নিম্নকক্ষে এবার আর একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না বিজেপি।
ইন্ডিয়া টুডে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, বিজেপি এখন পর্যন্ত এককভাবে ৩টি আসনে জিতেছে। আর এগিয়ে রয়েছে ২৩৯টি আসনে। এ নিয়ে মোট ২৪২টি আসন পেতে যাচ্ছে দলটি। তাই এবার কেন্দ্রে সরকার গঠনের জন্য মোদিকে এনডিএ-র দুই মিত্র চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেসম পার্টি (টিডিপি) এবং নীতীশ কুমারের জেডিইউ-র ওপর নির্ভর করতে হবে।
ভারতের ইতিহাসে মোদিই হতে চলেছেন দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি টানা তিনবার ক্ষমতায় থাকবেন। তবে জওহরলাল নেহরুর মতো টানা তিনবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠনের রেকর্ড করা সম্ভবত হচ্ছে না। যদিও এককভাবে বিজেপি ৩৭০ আসনে জিতবে বলে একাধিকবার দাবি করেছিলেন মোদি।
অন্যদিকে, পর পর দুইবার ব্যর্থ হওয়ার পর এবার সংসদে বিরোধী দলের মর্যাদা পেতে যাচ্ছে কংগ্রেস। বিরোধী হওয়ার জন্য লোকসভায় ৫৫টি আসন প্রয়োজন। তবে ২০১৪ ও ২০১৯ সালে যথাক্রমে ৪৪ ও ৫২টি আসনে জেতায় সে মর্যাদা পায়নি দলটি। কংগ্রেস এবার এককভাবে ৯০ থেকে ১০০টির মতো আসন জিততে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। আর ইন্ডিয়া জোট পেতে চলেছে দুইশোর বেশি আসন। ফলে লোকসভার অধিবেশনেও এবার বিরোধীদের কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছেন মোদি।