টাইমস ২৪ ডটনেট, ঢাকা: ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ভারতীয় পুলিশের একটি দল ঢাকায় এসেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় এসে পৌঁছায়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ভারতীয় পুলিশের প্রতিনিধি দলটি ঢাকার পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে এমপি আনার খুনের বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
হারুন অর রশীদ বলেন, প্রয়োজনে গ্রেপ্তার তিনজনের সঙ্গেও তারা কথা বলবেন। সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম ১২ মে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভারতের কলকাতায় গিয়ে তার পূর্বপরিচিত বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাসায় ওঠেন। ১৩ মে বেলা ২টার দিকে তিনি চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা বলে গোপালের বাসা থেকে বের হন। কিন্তু এরপর আজীম আর বাসায় না ফেরায় ১৮ মে কলকাতার বরাহনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন গোপাল বিশ্বাস। গত বুধবার (২২ মে) জানা যায়, কলকাতার নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন।
তবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নানান তথ্য পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। তার লাশ টুকরো টুকরো করে দফায় দফায় বিভিন্ন জায়গায় সরানো হয়েছে। আনার হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী তারই ছোটবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক অংশীদার আক্তারুজ্জামান শাহীন। আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয় ২/৩ মাস আগে এই পরিকল্পনা করা হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে ঢাকায় তা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছিল না। ধরা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। ফলে কলকাতাকেই হত্যাকাণ্ডের জন্য নিরাপদ মনে করে খুনিরা। কলকাতায় বিলাসবহুল এক ফ্ল্যাটে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যায় তারই এক বন্ধু ঘাতকদের পাঁচ কোটি টাকায় ভাড়া করেন। ওই বন্ধু তাকে খুন করার জন্য ঘাতকদের এই টাকা দেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সিআইডির এক কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন। আনার হত্যাকান্ডের একটি বড় রহস্য উন্মোচন করেছে পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসন। পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন এ হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও এমপি আনারের বন্ধু আক্তারুজ্জামান শাহিনের সহযোগী জিহাদ। তাকে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ অঞ্চল থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সংসদ সদস্য আনারকে যারা হত্যা করেছে তাদের প্রায় চিহ্নিত করে ফেলেছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, আমাদের শুধু ঘোষণাটা বাকি। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা একমত হতে পারলে ঘোষণা দেবো। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বলেন, মরদেহ এখনো উদ্ধার করতে পারিনি।