topআন্তর্জাতিক

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানি প্রেসিডেন্ট রাইসি নিহত

বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া

টাইমস ২৪ ডটনেট, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহত হয়েছেন। হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর সোমবার রাইসিসহ অন্যান্য আরোহীদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মরদেহগুলো তাবরিজ শহরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিহতের ঘটনায় ইরান জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। জনগণকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ইরানের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, রাশিয়া ও ভেনিজুয়েলাসহ অন্যান্য দেশ। ইরানি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (আইআরসিএস) বরাতে ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আইআরসিএস প্রধান পীর-হোসেন কৌলিভান্দ গতকাল সোমবার সকালে বলেন, কুয়াশা ও বৃষ্টি সত্ত্বেও রাতভর প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত ছিল। একটি ইরানি ড্রোন হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষের অবস্থান শনাক্ত করার পর উদ্ধারকারী দলকে দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। তিনি জানান, হেলিকপ্টারে থাকা সব আরোহীর মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং সেগুলো তাবরিজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্টের বহরে মোট তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে অবতরণ করলেও ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। নিরাপদে ফেরা হেলিকপ্টারে ছিলেন ইরানের জ¦ালানি মন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ান এবং আবাসন ও পরিবহনমন্ত্রী মেহরদাদ বজরপাশ। গতকাল সোমবার সকালে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের পাহাড়ি ও তুষারাবৃত এলাকায় ইরানি প্রেসিন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় অনুসন্ধানী দল। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানানো হয়, সেখানে প্রাণের কোনো চিহ্ন নেই। পুরো হেলিকপ্টার ভস্মীভূত হয়ে গেছে।
তিন বছর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ইব্রাহিম রাইসি। ৬৩ বছর বয়সী রাইসিকে মনে করা হতো দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির উত্তরসূরি হিসেবে। পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত হন তিনি। ওই হেলিকপ্টারে তার সঙ্গে ছিলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। তাদের মৃত্যুর বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। ২০২১ সাল থেকে ইরানের পররাষ্টমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শুরু করেন হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান। গাজা যুদ্ধ ঘিরে গত কয়েক মাসে ইরানের কূটনৈতিক তৎপরতায় নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ৬০ বছর বয়সী আব্দোল্লাহিয়ান। পশ্চিমা দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে আসছিলেন তিনি। জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক হিসেবে কয়েক দশক ধরে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন আব্দোল্লাহিয়ান। তবে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার কারণে তিনি সমধিক পরিচিত। ওই হেলিকপ্টারে ছিলেন আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনির প্রতিনিধি ও তাবরিজের ইমাম সৈয়দ মোহাম্মদ আলি আলে হাশেম। পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের ভ্যালি-ই-ফকিহের প্রতিনিধিও ছিলেন তিনি। প্রেসিডেন্টের সফর সঙ্গি পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালিক রাহমাতিও হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। ওই হেলিকপ্টারে প্রেসিডেন্ট প্রোটেকশন ইউনিটের কমান্ডার সরদার সৈয়েদ মেহদি মৌসভি ছাড়াও কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী এবং ক্রু ছিলেন। দুর্ঘটনায় তারা সবাই নিহত হয়েছেন। গত রোববার আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করেন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। সেখান থেকে ফেরার পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় প্রেসিডেন্ট ও তার সফর সঙ্গিদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়ে সবাই নিহত হন।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এক বর্ণাঢ্য জীবন ছিল তার। ইরানের প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে একজন হয়ে উঠেছিলেন তিনি। এই শীর্ষ নেতার জন্ম ১৯৬০ সালের ১৪ ডিসেম্বর। ইরানের উত্তর-পূর্ব মাশহাদের নোগান জেলায় বেড়ে ওঠেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই তিনি ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে বড় হয়েছেন। রাইসি জাভাদিয়াহ স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষাগ্রহণ করেন। এরপর হাওজায় (ইসলামি সেমিনারি) পড়াশুনা শুরু করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি কওম সেমিনারিতে শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আয়াতুল্লাহ বোরুজেরদি স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেন। তিনি মোতাহারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন বলে জানা যায়। যদিও এ নিয়ে কিছুটা বিতর্ক রয়েছে। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি কারাজ শহরের প্রসিকিউটর-জেনারেল নিযুক্ত হন। ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তেহরানের প্রসিকিউটর-জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেছেন ইব্রাহিম রাইসি। তিনি ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত উপ-প্রধান বিচারপতি, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি ছিলেন। এছাড়া ১৯৮০ এবং ১৯৯০’র দশকে তিনি তেহরানের প্রসিকিউটর এবং উপ-প্রসিকিউটর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি আস্থান কুদস রাযভী নামের একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধায়ক এবং চেয়ারম্যান ছিলেন। ইব্রাহিম রাইসি ২০০৬ সালে দক্ষিণ খোরাসান প্রদেশ থেকে প্রথমবারের মতো বিশেষজ্ঞ পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি মাশহাদের জুমা নামাজের ইমাম এবং ইমাম রেজা মাজারের প্রধান ইমাম আহমদ আলা মোলহোদার জামাতা ছিলেন।
২০২১ সালে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকেই বিশ্বজুড়ে রাইসিকে নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়। ৬৩ বছর বয়সী রাইসি সে বছর দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দেশটির নৈতিকতা বিষয়ক আইন কঠোর করার নির্দেশ দেন। ইব্রাহিম রাইসি তার কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময় সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে কাজ করেছেন। তাকে ২০১৯ সালে বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তারপর থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ পর্যন্ত ইব্রাহিম রাইসি ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়ে হাসান রুহানির কাছে বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন ইব্রাহিম রাইসি। ১৯৮০’র দশকে রাজনৈতিক বন্দীদের যেভাবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাতে রাইসির ভূমিকা নিয়ে বহু ইরানি এবং মানবাধিকার কর্মীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। যদিও ইরান কখনো এই গণ-মৃত্যুদণ্ডের কথা স্বীকার করেনি এবং এতে রাইসির ভূমিকা নিয়ে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কখনো কিছু বলেননি। রাইসিকে একজন কট্টরপন্থী ধর্মীয় নেতা হিসেবেই বিবেচনা করা হতো। এ কারণে তিনি সরকার-বিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভের মুখেও পড়েছেন। বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনায় তিনি কঠোর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। অনেকে মনে করেন, তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উত্তরসূরি হওয়ার জন্য নিজেকে তৈরি করছিলেন। ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ নেতা তাকে বিচার বিভাগের প্রধানের শক্তিশালী পদে নিযুক্ত করেন। বিশেষজ্ঞদের অ্যাসেম্বলির ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবেও নির্বাচিত হন প্রেসিডেন্ট রাইসি। ইরানে ৮৮ সদস্যের এই বোর্ড দেশটির পরবর্তী সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচন করে থাকে। ২০২১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভূমিধস জয় পেয়ে নির্বাচিত হন ইব্রাহিম রাইসি। তিনি প্রায় ৬২ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। অর্থাৎ ইরানের প্রায় ১ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ তাকে ভোট দিয়ে জয়ী করেন। কট্টরপন্থীরা পশ্চিমাদের ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করলেও রাইসি এবং সর্বোচ্চ নেতা খামেনি উভয়েই পরমাণু কর্মসূচির বিষয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তিতে ফিরে যেতে আগ্রহী ছিলেন বলে ধারণা করা হয়। ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তিতে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করার শর্তে দেশটির ওপর থেকে কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছিল। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয় এবং ইরানের ওপর বেশ কিছু বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নিষেধাজ্ঞার কারণে সাধারণ ইরানিরা অর্থনৈতিক দুর্দশায় পড়েছে যার কারণে জনগণের মনে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ক্ষমতার সর্বোচ্চ শিখরের কাছাকাছি অবস্থানে ছিলেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। তাকে তৈরি করা হচ্ছিল একেবারে সর্বোচ্চ আসনটির জন্য। কিন্তু আকস্মিক দুর্ঘটনা যেন সবকিছুর মোড় ঘুরিয়ে দিল।
গত রোববার আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে দুটি বাঁধ উদ্বোধন করেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। এরপর হেলিকপ্টারে ইরানের উত্তর-পশ্চিমের তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। তার সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানসহ আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ছিলেন। তাবরিজ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে দূর্ঘটনার কবলে পড়ে তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি। প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বেল ২১২ মডেলের একটি হেলিকপ্টার বহন করছিল। এই মডেলটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি।
এদিকে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সারওয়ার-ই-আলম সরকারের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান এবং তাদের সঙ্গীরা নিহতের ঘটনায় আমি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি। শেখ হাসিনা বলেন, মর্মান্তিক এ ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার ও আমার পক্ষ থেকে ইরান সরকার ও সেদেশের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণকে গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি জ্ঞানী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা ছিলেন। তিনি তার দেশের জনগণের প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ ছিলেন ও জনগণের জন্য নিঃস্বার্থ কাজ করেছেন। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও ছিলেন অনন্য উচ্চতায় এবং তার অনুকরণীয় নেতৃত্ব আমাদের জন্য আদর্শ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইরানের প্রেসিডেন্টসহ নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। পাশাপাশি ইরানের জনগণ এই শোক কাটিয়ে উঠবেন এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মাদ শিয়া আল-সুদানি। এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিমান দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তাদের সঙ্গীদের মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি, তার সরকার ও জনগণের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা ও সহানুভূতি প্রকাশ করছি। ইরানের সরকার ও জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সংহতি জানিয়েছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গভীর শোক জানিয়েছেন ইয়েমেনের হুথি সুপ্রিম রেভোলুশনারি কমিটির প্রধান মোহাম্মদ আলী আল-হুথি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেছেন, ইরানের জনগণ, তাদের নেতৃত্ব ও রাইসি ও তার নিহত সহযোদ্ধাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। তাদের পরিবারকে ধৈর্য ও সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য আল্লাহ’র কাছে প্রার্থনা করি। নিহতদের প্রতি গভীর শোক জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেছেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত এবং মর্মাহত। ভারত-ইরান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করার জন্য তাঁর অবদান সর্বদা স্মরণ করা হবে।ভারত এই দুঃখের সময়ে ইরানের পাশে আছে। ইরান ও দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনির প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন,ভেনিজুয়েলার নিঃশর্ত বন্ধু ছিলেন রাইসি। মস্কোয় ইরানের রাষ্ট্রদূত কাজেম জালালির সাথে সাক্ষাৎ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। এছাড়াও ইরানের প্রেসিডেন্ট ও রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা।

 

Related Articles

Back to top button