টাইমস ২৪ ডটনেট: প্রথম টি-টোয়েন্টির পর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশি বোলারদের বোলিং তোপে মাত্র ৪৫ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে তারা। এরপর ষষ্ঠ উইকেটে ব্রায়ান বেনেট ও জোনাথন ক্যাম্পবেলের ৭৩ রানের জুটিতে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান তুলতে সক্ষম হয় জিম্বাবুয়ে। ব্রায়ান বেনেট অপরাজিত থাকেন ২৯ বলে ৪৪ রান করে।চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। টস হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামে জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ের হয়ে আজ ওপেনিংয়ে নামেন তাদিওয়ানাশে মারুমানি ও জয়লর্ড গাম্বি। শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন তারা। তবে তাদের বেশিদূর এগোতে দেননি আগের ম্যাচের ম্যাচসেরা তাসকিন আহমেদ। এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান তাদিওয়ানাশে মারুমানিকে।
তাসকিনের বলে এলবিডব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশ অধিনায়কের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। তাদিওয়ানাশে মারুমানি ৪ বলে ২ রানে আউট হলেন। তার বিদায়ে ১৫ রানে ভাঙলো জিম্বাবুয়ের ওপেনিং জুটি।১৫ রানে প্রথম উইকেট হারনোর পর সিকান্দার রাজাকে নিয়ে জুটি বাধেন জয়লর্ড গাম্বি। তবে তারাও ব্যর্থ হন নিজেদের জুটিকে বেশিদূর নিয়ে যেতে। দলীয় ৩০ রানে জয়লর্ড গাম্বির বিদায়ে ১৫ রানেই ভাঙে এই জুটি। ৩০ বলে ১৭ রান করা জয়লর্ড গাম্বি মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান সাজঘরে।
সাইফউদ্দিনের পরে জিম্বাবুয়ে শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন রিশাদ হোসেন। জোড়া আঘাত হেনে একে একে ফেরান সিকান্দার রাজা ও ক্লাইভ মাদান্দেকে। সিকান্দার রাজা ৮ বলে ৩ রান করে ও ক্লাইভ মাদান্দে ২ বলে শূন্য রান করে ফিরে যান সাজঘরে। তাদের বিদায়ে ৩৬ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে জিম্বাবুয়ে।দলের বিপদ আরও বাড়িয়ে সাজঘরের পথ ধরেন ক্রেইগ আরভিন। ১৬ বলে ১৩ রান করে মেহেদী হাসানের বলে ডিপ পয়েন্টে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান সাজঘরে। তার বিদায়ে ৪২ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে খাদরে কিনারে চলে যায় সফরকারীরা।
এরপরেই জুটি গড়ে দলকে টেনে তুলেন ব্রায়ান বেনেট ও জোনাথন ক্যাম্পবেল। এই জুটিতে ভর করে বিপর্যয় কাটিয়ে ১৬ ওভার ২ বলে দলীয় শতক তুলে নেয় সফরকারীরা। অবশেষে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই জুটিকে থামান শরিফুল ইসলাম। শরিফুলের বলে মিড উইকেটে সাইফউদ্দিনের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান ২৪ বলে ৪৫ রান করা জোনাথন ক্যাম্পবেল। তার বিদায়ে ভাঙে ৭৩ রানের জুটি।
জোনাথন ক্যাম্পবেল ফিরে গেলেও লড়াই চালিয়ে যান ব্রায়ান বেনেট। যার ফলে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান তুলতে সক্ষম হয় জিম্বাবুয়ে। ব্রায়ান বেনেট অপরাজিত থাকেন ২৯ বলে ৪৪ রান করে।