টাইমস ২৪ ডটনেট: গার্ডিয়ান ইতিহাসের সাক্ষ্য দিয়ে জানিয়েছে, ২০০২ সালে ভেনেজুয়েলায় যে ব্যর্থ অভ্যুত্থান হয়েছিল তার সাথে মার্কিন সরকারের সিনিয়র কর্মকর্তারা ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিল।১৯৮০’র দশকের “নোংরা যুদ্ধের” একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। সেই সময়ে মধ্য আমেরিকায় কর্মরতদের ওপর হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতেনের হোতাদের সাথে তাদের গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।ক্ষমতাচ্যুত করার ঘটনার সঙ্গে ওয়াশিংটন জড়িত ছিল। তাদের সংশ্লিষ্টতার ফলে ওই গোলার্ধে মার্কিন আধিপত্য বিস্তারের উচ্চাভিলাষের ভয় সবার মাঝে বিরাজ করতে থাকে। সেইসঙ্গে ল্যাটিন আমেরিকা অঞ্চলে মার্কিন নীতি সম্পর্কে সন্দেহকে আরও গভীর করে।
রক্তপিপাসু মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ প্রশাসন ইরাক ও আফগানিস্তানে পেড্রো কারমোনা নামে এক ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে নয়া সরকারকে অবিলম্বে অনুমোদন দেয়। কিন্তু ভেনিজুয়েলায় তা সম্ভব হয় নি। সেদেশের জনগণ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মার্কিন অভ্যুত্থানকে নাটকীয়ভাবে ব্যর্থ করে দেয়।
অভ্যুত্থানের কয়েক মাস আগে থেকেই অভ্যুত্থানের পরিকল্পনাকারী ভেনিজুয়েলানদের সাথে কারমোনা নিজে উপস্থিত থেকে বৈঠক করছিল। ওই বৈঠকগুলো অভ্যুত্থানের কয়েক সপ্তাহ আগ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।
গার্ডিয়ানের ভাষ্যমতে, মার্কিন পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি অফিসের পরিচালক, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান পরিচালক, হন্ডুরাসে রোনাল্ড রিগানের রাষ্ট্রদূত এবং পরবর্তীকালে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হয়েছিলেন-সকলেই কারাকাসে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাথে ছিলেন। তাদের সবাই ওই অভ্যুত্থানের মূল হোতা হিসেবে কুখ্যাত হন।
কংগ্রেসের একটি গবেষণায় দেখা গেছে বুশ প্রশাসন ভেনিজুয়েলায় অভ্যুত্থানের জন্য বাজেটের অতিরিক্ত তহবিল তুলেছিল।অবশেষে ভেনেজুয়েলায় মার্কিন অভ্যুত্থানের কয়েকদিন আগে ও পরের ঘটনায় ১০০ জনেরও বেশি লোক মারা যায়।
শ্যাভেজের সিনিয়র এক অনুসারী এবং তার একজন পরিচালক বলেছেন: চাভেজ বিরোধী জেনারেলরা, স্থানীয় কিছু মিডিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শাভেজ-বিরোধী দলগুলো একত্রিত হয়ে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরিকল্পনা করেছিল।
সূত্র: পার্সটুডে।