সৈয়দা রাশিদা বারী: পূর্বের আল্লাহর প্রিয় বান্দারা তো, এতো পোশাক খাবার কসমেটিক্স লসুন সাবান ইত্যাদি কিনে আবার তা ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলেন নাই বরং তারা ১টা রুটি অনেকে মিলে ভাগ করে খেয়েছেন। মা ফাতেমা ৭তালি দিয়ে কাপড় পড়েছেন। এইসব শিক্ষা কেন নাই? তিনারা ২টা খেজুর খেয়ে ইফতারি করেছেন বটে। তবে সেখানকার আমদানি সহজলব্ধ ফল হিসেবে, দুর্লভ হলে খেতেন না। বিনোদন মূলকভাবে অনেক আইটেমের সাথে খেজুর রাখেন নাই ইফতারিতে। পিয়াজু বড়া বেগুনি জুস সেভেন আপ বার্গার মোরগ পোলাও কাবাব কোপ্তা হালিম দই রসগোল্লা ইত্যাদি দিয়ে ইফতারি করতে হবে, এইসব কোথায় লেখা আছে- দলিল দেখাতে পারবে? পারবেনা। তাহলে দলিল ছাড়াই- কি হচ্ছে না!? দৈনন্দিন জীবনে নিত্য নতুন যখন যা প্রয়োজন ও সামর্থ তাই হচ্ছে। যত দলিল জব্দ করে আকড়ে ধরা হয়, নারীর জব্দ রাখা ষড়যন্ত্রে। পুত্রের অর্ধেক কন্যার হবে, সেটার ব্যাপারে। এখানেও যে সমস্যা এবং প্রয়োজন বলে কিছু আছে। আপডেট বলে কিছু আছে। সকল কিছু বিবেচনা সাপেক্ষ পরিবেশ পরিস্থিতি মোকাবেলায় করতে হবে, তা কিন্তু আমলে নাই। সম্মানীয় বর্তমান অলি ও হুজুরগন, এসির মধ্যে থেকে ইউটিউবে কত কি ফোকারে কিন্তু এটা দেখেনা। আমার মতে, ঈদ বলেই যে অপচয় করতে হবে, প্রয়োজন ছাড়াও কেনাকাটা করে, হাওয়াই বাজি, ছুঁচো বাজি উড়িয়ে , জোনাকি বোম ফুটিয়ে, এগুলো কোথায় কোরআনে লিখা আছে? দলিল কেন লাগে না এগুলো করতে? মনীষীদের জন্ম মৃত্যু মনে রাখা ঠিক আছে। তা না হলে মনীষীদের অবদান, বিস্তার প্রভাবের কথায় মানুষ প্রভাবিত কিভাবে হবে? ভবিষ্যতে এগিয়ে যেতে, সমাজে দেশে প্রতিষ্ঠিত হতে, মনীষীদের অনুকরণ অনুসরণের প্রয়োজন রয়েছে? আর এ সব দিনেই মানুষ তাদেরকে ধরে রাখতে মনে রাখে সহজভাবে পারে। যে কারণে এটাতে দোষ হওয়ার কথা না। তবে তাদের বাদে, তাদের বাইরে, ওই যে বছরে বছরে বিবাহ বার্ষিকী, জন্মবার্ষিকী, জন্ম দিবস, লাখ লাখ সাধারণ মানুষ, কোটি কটি মিলিয়ন বিলিয়ন অর্থকরী ব্যয় করে ফুর্তি ফাত্তি মেরে করতেছে। এর কি আদৌ কোন বেনিফিট আছে? নিশ্চয়ই নাই। অতএব সম্মানীয় হুজুর সেটা ঠেকাতে পারে। দুঃখের বিষয় সম্মানীয় হুজুর সেটা না ঠেকিয়ে, ঠেকিয়ে দিলো কবর বাসীদের জন্য তাদের জন্ম ও মৃত্যু উপলক্ষে, কিছু ভালো কাজ, দান, ধ্যান করা। তবু, কৃতকর্মের উপরে ইহকালে সন্তান ও আত্মীয়-স্বজনরা কিছু দোয়া খায়েত করাবে সেটা করা! সেটাও বাধা দিয়েছে। এটা কি একটা ভালো কাজ করেছে? বরং শিশু চ্যাংড়া যারা হুদাই অকারণে জীবদ্দশায় বাজি ফুটিয়ে ব্যয়বহুল করছে এইসব করা জন্ম দিবস বাতিল করে, এই ব্যয় অর্থটা আত্মীয় প্রতিবেশী অসহায় গরিব মিসকিন এতিমদের দেওয়া যায় এই রমজানে। শিক্ষা জ্ঞান সংস্কৃতি চর্চায় বা অবদান রাখতে, কারো বই কিনতে, স্কুলের বেতন দিতে, শীতের পোশাক, গরমের ফ্যান, টেবিল চেয়ার এমনই দরকারি প্রয়োজনীয় আসবাব খরচ মিটাতে। কন্যা দায় বিয়ে এবং খাতনায, ঘর মেরামত, টিউবয়েলের ব্যবস্থা ইত্যাদি ব্যাপারেও সহযোগিতা করা যায়। এই রমজানে পারলে তাদের একটু খাওয়ার ভালো ব্যবস্থা, ভালো কাপড়ের ব্যবস্থা, ভালো বাসস্থান চলার ব্যবস্থা করা উত্তম। ওই যে লোক দেখিয়ে হাইলাইটস হয়ে, কুমা লুঙ্গি শাড়ি এই রমজানে কিনে বিলানোর পক্ষপাতী আমি নই। কম বেশি যাই হোক অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করলে, তারা তাদের বেশি প্রয়োজন বুঝে সেখানে খরচা করলো। এইতো ভালো। এই রমজানে, রমজান উপলক্ষে, ঈদুল ফিতরের সহযোগিতা করতে হবে তাদের স্বাধীনতা রেখে। নারীর জীবনের মত স্বাধীনতা বেধে নয়। কেননা ৫/১০ স্থান থেকে ৫/১০খানা শাড়ি পেল, দেখা যাচ্ছে সবমিলিয়ে ২/৩ হাজার টাকা শাড়ির দাম। তারা অর্থনৈতিক সংকটে ২টি শাড়ি রেখে, বাকি শাড়ি বিক্রি করে। মূল দামের থেকে অর্ধেক দাম কমে। লেপের কভার বানানোর জন্য ধনীরায় তাদের সহযোগিতা করতে, আবার সেটা ফিরিয়ে কিনে নেয়। অন্যরাও নেই। এখানেও আবার তাদের থেকে লাভ করে কেনে। মানে কম দাম দিয়ে কেনে। এটা কি ভালো?? কেননা অত শাড়ি কাপড় বা লুঙ্গি তার লাগবে না। লাগবে দৈনন্দিন ক্ষুধা পেটের ভাত, ভাতের সাথেও তো তরকারি লাগে। সাইডে আরো অন্যান্য লাগে। লাগে দরকারী আরো অনেক কিছু। পেস্ট সাবান তেল ঔষধ ইত্যাদি। ডায়াবেটিস মাপানো, প্রেসার মাপানো, সেখানে ডাক্তার খানায় যাওয়া আসার গাড়ি খরচ, কাজেই উপায় নাই বিক্রি তো করতেই হবে বাচার স্বার্থে। এই জন্যই দান করতে হয়, কিন্তু খরচের স্বাধীনতা গ্রহীতা ক্যান্ডিডেটের থাকবে। এখন লুঙ্গি কাপড় দেওয়া হয় বলেই, লুঙ্গি কাপড়ই চেয়ে নেয় লগবে বলে। তারপরে বিক্রি করে অন্যান্য চাহিদা মিটাই। অর্থাৎ যা বেশি প্রয়োজন এবং আগে প্রয়োজন তাই করে। করে হ্যাঁ করে কঠিন ভাবে বাধ্য হয়ে। কাজেই স্বাধীনতা দিয়ে সহযোগিতা করলে, আমি মনে করি সেটাই উত্তম সেবা দান। যা হোক আসুন আমরা এই রমজানে মানুষ দেখানো, ফুর্তি মারা, ডাট করা, উদ্ভট যত ডামপাই ছাড়ি। এইসব অপচয় না করে, প্রয়োজনের মূল্যায়ন করি। সেটা নিজেদের পাশাপাশি আত্মীয়-স্বজন প্রতিবেশী রাস্তার গরীব দুঃখী অসহায় সবার মধ্যে ভাগ করে সুখ শান্তি নেওয়া হবে। আমার মনে হয় বা আমি যেটা মনে করি, এই রমজানে প্রকৃত অর্থে এটাই হবে একনিষ্ঠ সেবা দান এবং এবারকার সর্বোচ্চ বিনোদন। এভাবেই হোক বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ ও বিশ্বের ঘরে ঘরে ২০২৪ এর ঈদ উৎসব। পবিত্র ঈদুল ফিতরের মহা আনন্দ।
২৫.৩.২০২৪ইং, দুপুর ২টা, সোমবার।