সুকুমার সরকার, ঢাকা: দেশের দ্বাদশ সংসদ নিবাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে সরকার গঠন করে। যা বিএনপি ও তাদের মিত্র ইসলামি ডানপন্থী দলগুলোর মনোপূত হয়নি। তারা স্পষ্টই বুঝতে পেরেছিল এ নির্বাচনে তারা জয়ী হতে পারবে না। তাই তারা নির্বাচন বর্জন করে। ভেবেছিল আমেরিকা বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু দেশ তাদের ক্ষমতায় বসাবে। কিন্তু নির্বাচনের আড়াই মাস পার হয়ে গেলেও কোন লক্ষণ না দেখে তারা বরাবরের মতো এবারে ভারত বিরোধী অপপ্রচারে নেমেছে।
তদুপরি ৭ মার্চের নির্বাচনের আগে ধূয়া তুলেছিল ভারত আওয়ামী লীগের পাশে থেকে তাদের জয়ী করবে। কিন্তু এ অপপ্রচারটি কোন কাজে না আসায় এবার তারা ভারত বিরোধী অপপ্রচারে নেমেছে। তারা ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন’ বা ‘ইন্ডিয়া আউট’ অপপ্রচারে নেমেছে।তবে ডানপন্থী রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, দেশে প্রচারিত ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন’ বা ‘ইন্ডিয়া আউট’ সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারণা প্রত্যাখ্যান করেছে। দলের মহাসচিব এস.ই.এম. আবদুস সামাদ, প্রচারণার সমালোচনা করেছেন। কেননা এটি এক ঘৃণ্য অপপ্রচার ও ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত ভারত বিরোধীকট্টরপন্থীরা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো টানা বিজয়ের পর ক্ষমতায় আসেন। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব আবদুস সামাদ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে ভুল তথ্য দূর করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।
জনাব সামাদ আরও বলেছেন, এখনো দীর্ঘদিনের ভুল ধারণা বিদ্যমান। যেমন মিথ্যা দাবি করা হয়েছে যে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। তিনি ভারতের জন্য বন্ধুত্ব প্রদর্শন এবং ভুল ধারণা দূর করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে বলেন, “আমরা ভারতের বন্ধুত্বকে সম্মান করি।”
‘ইন্ডিয়া আউট’ প্রচারণার অন্যতম হোতা পিনাকী ভট্টাচার্য যিনি স্বনির্বাসিত কথিত ব্লগার ভারতীয় পণ্য বয়কটের আহ্বান জানিয়েছে। ভট্টাচার্যের অনুসারীরা অভিযোগ করেন যে, বাংলাদেশের নির্বাচনের সুষ্ঠুতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে শেখ হাসিনার প্রতি ভারতের সমর্থন এই আন্দোলনের ইন্ধন রয়েছে। ডিজিটাল ফরেনসিক অ্যান্ড রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিটিক্স সেন্টার (ডি-এফআরএসি) এর একটি প্রতিবেদনে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে অনলাইন বয়কট প্রবণতা বাংলাদেশে ভারতবিরোধী কার্যকলাপের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দ্বারা চালিত। আবদুস সামাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের কথা স্বীকার করে তার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন। তিনি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগের উন্নতির কথা তুলে ধরেন, যেমন উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন দুদেশের মধ্যে কয়েক রুটে একাধিক ট্রেন চলাচল। এবং বাণিজ্যে গতিসঞ্চার।
সূত্র: ভারতের আউটলুক পত্রিকা।