টাইমস ২৪ ডটনেট: গাজায় প্রতিদিনই চলছে ইসরাইলের হামলা। মুক্তিকামী বাহিনী হামাসের অনুসন্ধানে অবরুদ্ধ অঞ্চলটির কোনায় কোনায় চলছে জোর তল্লাশি। মাটি খুঁড়ে খুঁড়ে দেখছে হামাসের ‘অস্তিত্ব’। হাসপাতালসহ বেশকিছু স্থানে ইতোমধ্যেই হামাসের সুড়ঙ্গ খুঁজে পাওয়া গেছে। এবার গাজায় অবস্থিত জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) সদর দপ্তরের নিচে হামাসের সুড়ঙ্গ খুঁজে পেল ইসরাইলি সেনারা। শনিবার এ বিষয়ে বেশকিছু তথ্য প্রকাশ করেছে তারা। হামাসের এ সুড়ঙ্গটিকে ‘ডাটা সেন্টার’ নামে উল্লেখ করছে ইসরাইল। তারা জানিয়েছে, ভূগর্ভস্থ এ টানেলটির ভেতরে হামাসের সদস্যদের কম্পিউটারের সার্ভার পাওয়া গেছে। টাইমস অব ইসরাইল।
ইসরাইলি বাহিনী আরও জানিয়েছে, টানেলটিতে হামাসের ব্যবহৃত গ্রেনেড, রকেট লঞ্চারসহ প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইসরাইলের ঊর্ধ্বতন ব্রিগেড কর্মকর্তা নিসিম হাজান জানিয়েছেন, ‘আমরা এখন গোপনের কেন্দ্রস্থলে… প্রধান ইউএনআরডব্লিউএ বিল্ডিংয়ের নিচে। এখানেই হামাস তার গোয়েন্দা সার্ভারগুলো রাখে। এটিকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করতে হবে, যাতে হামাস এ গোয়েন্দা আধিপত্যকে আবার ব্যবহার করতে না পারে।’ এরপরই তিনি জাতিসংঘের কর্মীদের ওপর অভিযোগ তোলেন। বলেন, ‘এতে কোনো সন্দেহ নেই যে ইউএনআরডব্লিউএ কর্মীরা জানত যে [হামাস] তাদের নিচে একটি বিশাল সুড়ঙ্গ খনন করছে।’
এদিকে গাজায় দক্ষিণে রাফাহ শহরে ইসরাইলের হামলায় বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হামাস। কেননা বাস্তচ্যুত ফিলিস্তিনিদের শেষ আশ্রয়স্থল রাফাহ। শনিবার এক সতর্কবার্তায় গাজার সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, ইসরাইলের পরিকল্পিত সেনা অভিযানে রাফাহ শহরে ‘হাজার হাজার’ হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেনাবাহিনীকে রাফায় অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে ইসরাইলের এ প্রধানমন্ত্রী বেসামরিকদের সরানোর কথাও উল্লেখ করেছেন। রাফাহ হামলার ঘোষণায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সৌদি আরবও। হুঁশিয়ারি দিয়ে দেশটির দাবি, সেই অঞ্চলে হামলা মানবিক বিপর্যয়কে আরও ভয়াবহ পর্যায়ে নিয়ে যাবে। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাফাহকে শেষ আশ্রয়স্থল ভেবে আশ্রয় নেওয়া হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক ইসরাইলের নৃশংস আগ্রাসনে পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।’ রোববার গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ইসরাইলের গাজা আক্রমণে অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে কমপক্ষে ২৮১৭৬ জন নিহত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন আরও ১১২ জন। ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় মোট ৬৭৭৮৪ জন আহত হয়েছেন।