টাইমস ২৪ ডটনেট: গাজা উপত্যকায় হামাস’সহ ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর হাতে আটক ইসরাইলি পণবন্দিদের মুক্ত করার আলোচনায় ‘প্রকৃত অগ্রগতি’ অর্জিত হয়েছে বলে মার্কিন প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা দাবি করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহ ধরে’ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইসরাইলি যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে ৪৫ মিনিট ধরে ফোনালাপ হয়েছে। ওই আলাপের মূল বিষয় ছিল পণবন্দি মুক্তির সম্ভাব্য চুক্তি। এখনও বন্দি মুক্তির আলোচনায় ‘উল্লেখযোগ্য দূরত্ব’ রয়েছে জানিয়ে ওই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘দূরত্বটি সত্যিই অনেক বেশি।’ফোনালাপে বাইডেন স্পষ্ট করে বলেছেন, গাজার সর্ব-দক্ষিণের শহর রাফাহতে আশ্রয় গ্রহণকারী প্রায় ১৫ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থীর নিরাপত্তার ব্যাপারে কোনো পরিকল্পনা ছাড়া তিনি ওই শহরে ইসরাইলের সামরিক অভিযান সমর্থন করবেন না। ইসরাইল দাবি করছে, রাফাহ ছাড়া গাজা উপত্যকার বাকি অংশে হামাসকে ‘প্রায় নির্মূল’ করে ফেলা হয়েছে। নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, রাফাহতে অভিযান না চালালে গাজা যুদ্ধে ‘বিজয়’ অর্জিত হবে না।
এর আগে শনিবার নেতানিয়াহু রাফাহ শহরে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিতে ইসরাইলি বাহিনীর প্রতি নির্দেশ জারি করেন। তার ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে; এমনকি ওয়াশিংটনও এর বিরোধিতা করে। কারণ, গত চার মাস ধরে গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাতে গিয়ে উপত্যকার বেশিরভাগ অধিবাসীকে রাফাহ শহরে ঠেলে দেয়া হয়েছে। গাজার ২৩ লাখ অধিবাসীর মধ্যে প্রায় ১৫ লাখই এখন রাফাহতে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। আন্তর্জাতিক সমালোচনা নাকচ করে দিয়ে নেতানিয়াহু রোববার বলেছেন, রাফাহতে অভিযান চালানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানোর অর্থ গাজা যুদ্ধে ইসরাইলকে পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য করা।
সূত্র: পার্সটুডে।