টাইমস ২৪ ডটনেট, ঢাকা: বাংলাদেশে আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে রোববার শেষ হয়েছে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। বিশ্বশান্তি, সারা দুনিয়ার মুসলিমদের হেফাজত, ঈমানী হেফাজত, জানমালের হেফাজত, পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব, নবীওয়ালা জীবন আর উন্নত আখলাক গড়ার জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে আল্লাহর কাছে নিজের রাগকে বশ, নাফরমানিকে ঘৃণা, ভালোবাসা ছড়িয়ে বিশ্ব মুসলিম ভ্রাতৃত্ব গড়ার বিশেষ আর্জি জানানো হয়। এসময় আল্লাহর কাছে গুনাহ মাফের জন্য তওবা, সারা দুনিয়ার মুসলমান নর-নারীর গুনাহ মাফ, ঈমানের হাকিকত, ঈমানী ভয়, ঈমানী মৃত্যু, ঈমানী ভ্রাতৃত্ব মজবুত করা, ঈমানী রিজিক, ঈমানের সঙ্গে কবরে ও আখেরাতে পুনরুত্থিত হওয়ার তাওফিক চাওয়া হয়। রোববার সকাল ১১টা ১৭ মিনিটে তুরাগতীরে দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত শুরু হয়ে শেষ হয় ১১টা ৪৩ মিনিটে। প্রায় ২৬ মিনিটব্যাপী আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন ভারতের বিশিষ্ট আলেম মাওলানা সাদ কান্ধলভীর ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ। মোনাজাতের আগে তিনি হেদায়েতি বয়ান করেন। তার বয়ান বাংলায় তর্জমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা মনির বিন ইউসুফ।
এর আগে শনিবার ইজতেমার ময়দানে সমবেত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের উদ্দেশে ইজতেমার শীর্ষ মুরুব্বিরা ইমান আমল ও দ্বীনের দাওয়াতে তাবলিগের ওপর গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করেন। শেষ পর্বের ইজতেমা ঘিরে গত শুক্রবার থেকে টঙ্গীর ইজতেমার ময়দান মুসল্লিদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। রোববার আখেরি মোনাজাতে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মুসল্লিরা শরিক হন।
টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব ইজতেমা। বাংলাদেশের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসুল্লি তুরাগ তীরে ইজতেমায় অংশ নেন। এছাড়া সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, কাতার ও আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের অসংখ্য মুসল্লি ইজতেমায় অংশ নিতে আসেন।
প্রসঙ্গত, তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের কারণে এবারও বিশ্ব ইজতেমা পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম পর্বের নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা। ১ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে ওই পর্ব। দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু হয় ৯ ফেব্রুয়ারি। আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে যা শেষ হলো আজ। এই পর্বের নেতৃত্বে ছিলেন ভারতের মাওলানা সা’দ কান্ধলভীর অনুসারীরা।