টাইমস ২৪ ডটনেট, ঢাকা: মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত ৩৩০ জন বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। তাদের মধ্যে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্য, সেনা সদস্য, পুলিশ সদস্য, ইমিগ্রেশন সদস্য ও বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন। যারা অস্ত্রসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত ৩৩০ জন বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। প্রশাসনিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে তুমব্রু থেকে ১০০ জনকে টেকনাফের হ্নীলাতে স্থানান্তর করা হয়েছে। বিজিবি জানিয়েছে, সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত টহল ও চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে। কোনো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। দেশের স্বার্থে সীমান্তে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে থাকবে বিজিবি।
অন্যদিকে গত বুধবার বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়নের আওতাধীন বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিজিবির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে ধৈর্য ধারণ করে, মানবিক থেকে এবং আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, অবৈধভাবে আর একজনকেও বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। দেশ মাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছে বলেও তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অপরদিকে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের নয়াপাড়া এলাকা থেকে অবিস্ফোরিত অবস্থায় একটি মর্টারশেল উদ্ধার করেছে বিজিবি। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মর্টারশেলটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘুমধুম নয়াপাড়া বিজিবি চেকপোস্টের দক্ষিণে পরিত্যক্ত অবস্থায় মর্টারশেলটি দেখতে পেয়ে বিজিবিকে খবর দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে বিজিবি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে স্থানটি লাল পতকা দিয়ে ঘিরে ফেলে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য নুর হোসেন বলেন, দুপুর ১২টার দিকে বিজিবির সদস্যরা অস্ত্রটি উদ্ধার করে নিয়ে যান। এ ব্যাপারে বিজিবির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান বলেন, ঘুমধুমে একটি মর্টারশেল পাওয়ার খবর শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানি না।