আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দুই বছরেও কম মেয়াদে দায়িত্বে থাকা সরকার প্রধানের পদ থেকে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বর্নি পদত্যাগ করেছেন। স্থানীয় সময় সোমবার (৮ জানুয়ারি) দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্র্যোঁ তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। চলতি বছর ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচনের ঠিক আগ মুহুর্তে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্র্যোঁ তার সরকারে বড় ধরনের রদবদল আনতে যাচ্ছেন। আর এমন গুঞ্জনের মধ্যে সরকার প্রধানের পদত্যাগের খবর জানা গেল। এদিকে পদত্যাগের পর বার্নিকে নিয়ে ম্যাক্রোঁ প্রশংসা করে বলেন, তার মেয়াদে তিনি ছিলেন একজন সাহসী, প্রতিশ্রুতিশীল এবং অটল সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তবে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হতে যাচ্ছেন এ বিষয়ে অবশ্য কিছু বলেননি ম্যাক্রোঁ। অবশ্য নতুন সরকার প্রধান দায়িত্ব নেয়ার আগ পর্যন্ত বার্নি দায়িত্ব পালন করে যাবেন বলে জানিয়েছে এলিসি প্যালেসের মূখপাত্র। বার্নি ফ্রান্সের দ্বিতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় ছিলেন। এর আগে ফ্রাসোঁয়া মিতেরার শাসনামলে ১৯৯১-৯২ পর্যন্ত মাত্র এক বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন দেশটির প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী এডিথ ক্রেসন। জানা গেছে, বর্নির স্থলাভিষিক্ত হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন ৩৪ বছর বয়সী শিক্ষামন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আত্তল। তিনি এ পদে নিয়োগ পেলে ফ্রান্সের সবচেয়ে কমবয়সী ও প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী হবেন তিনি। এছাড়াও আরো দুই জনের নাম শোনা যাচ্ছে। আর তারা হলেন, সামরিক বাহিনীবিষয়ক মন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লিকোর্নু ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী জুলিয়েন দেনোরমান্দিস।
এদিকে মঙ্গলবারের আগ পর্যন্ত নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের বিষয়ে কোনো ঘোষণা আসার সম্ভাবনা নেই বলে এলিসি প্যালেস বিবিসিকে জানিয়েছে।
২০২২ সালে ম্যাক্রোঁ সরকার পার্লামেন্টে তাঁর দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। ২০১৭ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছিলেন ম্যাক্রোঁ। এর আগে ডিসেম্বরে অভিবাসন আইনের বিষয়ে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছিল ম্যাক্রোঁ সরকার।
সূত্র: বিবিসি।