বাংলাদেশ

জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ অনুষ্ঠিত হবে

টাইমস ২৪ ডটনেট: বাংলাদেশে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নির্বাচন বর্জনের মধ্যেও সহিংসতা, সংঘাত হয়েছে। এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে মূলত আওয়ামী লীগ ও দলটির স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে। নির্বাচনে থাকা জাতীয় পার্টি ও বাম দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা হলেও আসনগুলোতে রয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের সঙ্গে স্বতন্ত্রের সংঘাত হচ্ছে বেশি। নির্বাচনে অন্তত ২২০টি আসনে সাড়ে তিনশর বেশি স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোটের মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। এমনও আসন আছে যেখানে নৌকার প্রার্থীর বিপরীতে ৪ জন আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরুর পর মাদারীপুর, ফরিদপুর, পিরোজপুর, নওগাঁ, বাগেরহাট, বরিশাল, মুন্সিগঞ্জ, যশোর ও ঝিনাইদহসহ দেশের বিভিন্ন আসনে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘাতে এ পর্যন্ত অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছেন। প্রতীক বরাদ্দের পর গত ১৭ দিনে ২০০টির বেশি জায়গায় সহিংসতা হয়েছে। রোববার নির্বাচন সামনে রেখে ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভোট কেন্দ্র ও ভোটারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা। যে কোন ধরনের নাশকতা মোকাবেলা করে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিজিবির সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে সেনা ও নৌ বাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও আনসার সদস্য। নির্বাচনকে ঘিরে যে কোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে বিভিন্ন স্থানে টহল দিচ্ছে র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এছাড়াও নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভোট কেন্দ্র এবং ব্যালট বক্সের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও ভোটদানে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৫ লাখ ১৭ হাজার ১৪৩ জন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে পুলিশ এরই মধ্যে সারা বাংলাদেশে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোর তালিকা তৈরি করে নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজিয়েছে। ৪২ হাজার ১৪৯ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১০ হাজার কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ও ৩০০ কেন্দ্রকে ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে তারা। ‘গুরুত্বপূর্ণ’ কেন্দ্রগুলোকেও মূলত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়েছে বলে পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে।

Related Articles

Back to top button