টাইমস ২৪ ডটনেট, ঢাকা : ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান মুক্তিযুদ্ধের সময় হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছিল কোলকাতার পিআরসি (পিপলস রিলিফ কমিটি)। সে অবদানকে স্মরণ করে মহান বিজয় দিবসে স্মারক সম্মাননা প্রদান করেছে বাংলাদেশের তৃণমুল নারী উদ্যোগ সোসাইটি। আজ সিলেটে এক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিক ভাবে সম্মাননা গ্রহণ করেন পিপলস রিলিপ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ ফুয়াদ হালিম। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান মুক্তিযুদ্ধের সময় পুর্ব বাংলা থেকে হাহার হাজার শরনার্থী পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিয়েছিল। সে সময় চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ছিল পশ্চিমবঙ্গের এক মাত্র চিতিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান পিপলস রিলিপ কমিটি(পিআরসি)। রানাঘাট, বনগাঁও, বসিরহাট, হাসনাবাদ, কিয়েনগঞ্জ, গেঁদে, কল্যানী, বালুরঘাট এলাকায় ত্রাণ কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। বহু আহত ও মুমুষ্য মুক্তিযোদ্ধাদের অস্তেপোচার, রক্ত দান খাবার ও পানীয় জলের ব্যাবস্থা করে তাদেরকে সুস্থ করা হয়েছিল। এ ধরণের অসামান্য অবদান সে সময় বিশ্বের গণ মাধ্যম তুলে ধরেছিল। পিআরসি’র সঙ্গে স্থানীয় যুবক এবং নারীরা সে সময় দিন রাত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা দিয়েছিল। উল্লেখ্য যে, এসব কার্যক্রম চালাতে গিয়ে ততৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের ফ্যাসীবাদী ব্যাবস্থা নানা ধরণের বাধা এবং প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল। কিন্ত যুবক এবং নারীরা তাদের প্রতিহত করেছিল।
পিপিলস রিলিফ কমিটির তথ্যমতে জানা যায়, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, ঠাকুরগাঁও পঞ্চগড়, ময়মনসিংহ, সিলেট ও কুমিল্লা জেলায় বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকায় চিকিৎসা ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছিল। এ ছাড়াও পিআরসি চট্রগ্রামে একটি শিশু হাসপাতাল তৈরি করেছিল।
ডাঃ ফুয়াদ হালিম সিলেটে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সে সময়য়ের স্মৃতিচারণ করে আবেগে আপ্লুত হয়েছেন।
ফুয়াদ হালিম অনুষ্ঠানে বক্তব্যে বলেন, এখন পুজিবাদী সভ্যতায় গরীব মানুষের বাঁচার কোনো অধিকার নেই। দ্রব্যমুল্যে জনগণের নাভীস্বাস উঠে যাচেছ।চিকিৎসা সেবা গরীব মানুষের নাগালে নেই। দিন দিন অভাব বেড়ে চলেছে।মানূষ তীব্র বেকারত্বের মধ্যে দিয়ে বেঁচে আছে।তিনি বলেন, সংগঠিত ভাবে দারিদ্রের মোকাবেলা এবং ফ্যাসীবাদী ব্যাবস্থা রুখতে হবে।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ডাঃ নাজরা চৌধরী, ডাঃ সপনিল মাহাতো, ডাঃ সাবরিনা আহমেদ, ডাঃ সাফিসা শবনম, হিমাংসু মিত্র, অনিতা দাসগুপ্ত, ফাতেমা সুলতানা, নাদিরা চৌধুরী রুমু, মীতু রায় ও বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পাটির কেন্দ্রীয় কমিটির সিকান্দার আলী প্রমুখ।