নিউ ইয়র্ক থেকে সোহেল হোসাইন:যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে পালিত হয়েছে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২৩’। নিউ ইয়র্ক স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এ দিবস পালন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল বীর শহীদদের সস্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় এবং তাঁদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি ও চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তৌফিক ইসলাম শাতিল মূল বক্তব্য প্রদান করেন। শুরুতেই উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি হাজার বছরেরে শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সকল সদস্য, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরে নিহত সকল শহিদ বুদ্ধিজীবী, মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহীদ এবং সম্ভ্রমহারা মা-বোনদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ইতিহাসের এক কলঙ্কময় অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করে উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, “জাতির এই বীর সন্তানেরা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বুদ্ধিবৃত্তিক চেতনা দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয়ের পথকে প্রসস্থ করেছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে যখন পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা যখন বুঝে গিয়েছিলো তাদের পরাজয় নিশ্চিত, তখনই বাংলাদেশকে মেধাশূণ্য করতে বেছে বেছে বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে।” তিনি আরোও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হারানোর শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে একটি জ্ঞাননির্ভর সমাজ গঠনের মাধ্যমে আমরা যদি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ এক উন্নত সোনার বাংলাদেশ নির্মাণ করতে পারি তবেই তাঁদের আত্মত্যাগ স্বার্থক হবে।
পরিশেষে, নতুন প্রজন্মের কাছে আমাদের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শকে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তার বক্তব্য শেষ করেন।
উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে মিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন, মিশনের কাউন্সেলর ফাহমিদ ফারহান।