আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশের আবেদনে সাড়া দিয়ে মঞ্জুর করা ৪৭০ কোটি ডলারের দ্বিতীয় কিস্তি ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার ছাড় করেছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঋণদাতা সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ঋণ ছাড়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংককে কিছু পরামর্শও দিয়েছে সংস্থাটি।এসব পরামর্শের মধ্যে প্রধান দু’টি পরামর্শ হলো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক নীতি দৃঢ় করতে হবে এবং আরও উন্নত ও নমনীয় বিনিময় ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। অর্থাৎ সংক্ষেপে, বাংলাদেশকে অবশ্যই তার বাড়তে থাকা মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘চলতি মাসে আমরা বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থা এবং আমাদের উন্নয়ন অংশীদারদের কাছ থেকে ১৩১ কোটি ডলার পাচ্ছি। এছাড়া আমাদের রেমিটেন্সের প্রবাহও বর্তমানে বেশ ভালো।’‘এখন আমাদের সামনে মূল চ্যালেঞ্জ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। আইএমএফও সেই পরামর্শই দিয়েছে।’
রয়টার্সকে মেজবাউল জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতির হার ৮ শতাংশ। আইএমএফের নির্দেশনাকে আমলে নিয়ে ইতোমধ্যেই আগামী ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে এই হারকে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।এ সম্পর্কিত এক বিবৃতিতে আইএমএফ জানিয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতির আয়তন ৪১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার এবং এটি এক সময় বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিগুলোর মধ্যে একটি ছিল। কিন্তু করোনা মহামারি এবং তার জের কাটতে না কাটতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রপ্তানি প্রবাহ অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতিকে অপ্রাত্যাশিত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী হতে হয়েছে।
তবে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ ও চাপ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি তার গতিপথ হারায়নি বলে প্রশংসা করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। এ প্রসঙ্গে বুধবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটির উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যান্টোনেটি সায়েহ বলেন, ‘করোনা মহামারির পর থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি বহুমুখী অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তবে আশার কথা হলো— বৈরী পারিপার্শ্বিতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি পথ হারায় নি।’গত জানুয়ারি মাসে ঋণের প্রথম কিস্তি পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার ৪৭ কোটি ৬০ ডলার ছাড় দিয়েছিল আইএমএফ।
সূত্র : রয়টার্স।