টাইমস ২৪ ডটনেট , ঢাকা: মার্কিন প্রভাবশালী সাময়িকী ফোর্বস’র নিবন্ধে ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় ৪৬তম স্থানে নাম এসেছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। গত বছর তিনি ৪২তম অবস্থানে ছিলেন। চলতি বছরে বিশ্বের ১০০ জন ক্ষমতাধর নারীর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রভাবশালী সাময়িকী ফোর্বস। এ বছরের তালিকায় সবচেয়ে প্রভাবশালী অর্থাৎ শীর্ষে আছেন ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন। শেখ হাসিনা সম্পর্কে ফোর্বস লিখেছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী থাকা শেখ হাসিনা ওয়াজেদ বর্তমানে তার চতুর্থ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা নারী সরকার প্রধান। টানা তৃতীয় মেয়াদসহ চারবার বাংলাদেশে ক্ষমতায় রয়েছেন শেখ হাসিনা। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৮টিতে জয় পায় তার দল বাংলাদেশ আওয়ামি লিগ।
সাময়িকীটি অবশ্য বলছে, বিরোধী দল থেকে পদত্যাগের জন্য ক্রমবর্ধমান আহ্বান সত্ত্বেও ৫ম মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য ২০২৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন শেখ হাসিনা। তার বিরুদ্ধে কর্তৃত্ববাদ এবং বাকস্বাধীনতার বিরুদ্ধে দমনপীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও নির্বাচনকে ব্যাহত করার জন্য দায়ী যেকোনও বাংলাদেশি ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা হাসিনার বিরুদ্ধে ভোটারদের দমনেরও অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০৪ সাল থেকে প্রতিবছর বিশ্বের প্রভাবশালী নারীদের তালিকা প্রকাশ করে আসছে ফোর্বস।ফোর্বস তালিলায় যুগান্তকারী নবাগত এবং প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্ব উভয়ই রয়েছেন, যা নারীদের বৈশ্বিক প্রভাবের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নিদর্শন করে। এই তালিকা নারীর অগ্রগতি তুলে ধরার পাশাপাশি তাদের ক্ষমতার অবস্থা সম্পর্কে সমালোচনামূলক প্রশ্নও উত্থাপন করেছে।
তালিকায় উরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন। এছাড়া তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেত্রী টেইলর সুইফট।এই তালিকা ছয়টি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা হয়েছে: মিডিয়া অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট, পলিটিক্স অ্যান্ড পলিসি, অর্থসংস্থান (ফাইন্যান্স), ব্যবসা (বিজনেস), জনহিতৈষী (ফিলানথ্রোপি) ও প্রযুক্তি (টেক)।