আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দখলদার ইসরায়েলের নির্বিচার বিমান ও স্থল হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ১৫ হাজার ২০৭ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২ ডিসেম্বর) এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এরমধ্যে গতকাল যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর নতুন করে আরও ১৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় আহত হয়েছেন ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। আহত ও নিহতদের ৭০ শতাংশই হলো নারী ও শিশু।
ইসরায়েলিদের হামলায় হাসপাতালগুলোর অভ্যন্তরীণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এখন সাধারণ মানুষকে মাটিতে ও বাইরে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তারা আরও জানিয়েছে, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে ১৩০টি স্বাস্থ্য স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এতে ২০টি হাসপাতালের সেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া অন্তত ৩১ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে গ্রেপ্তার ও জেরা করা হয়েছে। তবে জেরার নামে তাদের মূলত নির্যাতন ও অভুক্ত রাখা হয়েছে। ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২৮০ জন স্বাস্থ্যকর্মী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হুঁশিয়ারির সুরে বলেছে, যেসব মানুষ আহত হয়েছেন বিনা চিকিৎসায় প্রতিদিন তাদের মৃত্যু হবে। কারণ আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত ওষুধ ও সরঞ্জামাদি নেই।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এ হামলার প্রতিশোধ নিতে ওইদিন থেকেই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর ২৮ অক্টোবর থেকে স্থল হামলা শুরু করে তারা।
সূত্র: আলজাজিরা ও ঢাকা পোষ্ট।