আন্তর্জাতিকচলতি সংবাদ

বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৩

নিউ ইয়র্ক থেকে সোহেল হোসাইন: জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে পালিতো হলো ৫৩তন সশস্ত্র বাহিনী দিবস। নিউ ইয়র্ক স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যায় এ দিবস উপলক্ষ্যে এক অভ্যর্থনার আয়োজন করা হয়। উক্ত সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পি য়েরে ল্যাক্রুয়া, অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খারে, নিরাপত্তা বিভাগের এ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল উনাইসার ভুনিওয়াকা, জাতিসংঘের মিলিটারি এডভাইজর জেনারেল বিরামে ডিওপ’সহ বিভিন্ন দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও সামরিক উপদেষ্টাগণ। অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থিত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন, জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
রাষ্ট্রদূত মুহিত শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদ এবং দুই লাখেরও বেশি নির্যাতিত নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, তাঁদার সংগ্রাম এবং আত্মত্যাগের কারণেই আমরা পেয়েছি স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ। এ সময় তিনি ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হওয়া মহান মুক্তিযুদ্ধে নবগঠিত সশস্ত্র বাহিনীর গৌরবজ্জ্বল ভূমিকা, দেশের অভ্যন্তরে প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা ও নানাবিধ উন্নয়ন কার্যক্রমে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, আমাদের শান্তিরক্ষী বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় অসামান্য অবদান রেখে চলেছে। এ সকল কার্যক্রমের মাধ্যমে তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে।
আগত অতিথিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বর্তমান সরকার আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর অধিকতর আধুনিকায়নে বিভিন্নমূখী উদ্যোগ হাতে নিয়েছ, যা বাস্তবায়নে সশস্ত্র বাহিনীকে আরো দক্ষ ও শক্তিশালী করে তুলবে।
সর্বোপরি, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আরো কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত মুহিত।
অনুষ্ঠানে দেশে ও বিদেশে সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে আগত অতিথিদের উদ্দেশ্যে একটি তথ্যবহুল ব্রিফিং প্রদান করেন মিশনের ডিফেন্স এ্যাডভাইজার ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাদেকুজ্জামান। পরিশেষে স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মুহিত অতিথিদের সাথে নিয়ে কেক কেটে সকলকে নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানান।
উক্ত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিবর্গ শীর্ষ শান্তিরক্ষী দেশ হিসেবে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ যে অবদান রেখে যাচ্ছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

Related Articles

Back to top button