টাইমস ২৪ ডটনেট: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে ঘিরে পৃথিবীকে হাতছানি দিচ্ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। যুদ্ধের প্রাথমিক দিনগুলোতে ইউক্রেনের মাটিতে সাফল্য পেলেও বর্তমানে বেশ চাপে আছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সহায়তায় রুশ সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের মাঠে কোণঠাসা করে রেখেছেন ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা। এমন পরিস্থিতিতে সামরিক বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, যুদ্ধ জয়ের নেশায় যে কোনো সময় প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে বসতে পারেন পুতিন। ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে আন্তর্জাতিক মহলের চাপের মুখে ক্রমাগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছেন ভ্লাদিমির পুতিন। একটি সূত্র জানিয়েছে, মাত্র তিন বছর আগে এমন একটি পারমাণবিক অস্ত্র হাতে পেয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট, যেটি ক্রেমলিনের তুরুপের তাস হিসেবে কাজ করবে। ওই অস্ত্র নিমেষেই ধূলিস্মাৎ করে দিতে পারে পশ্চিমের রাষ্ট্রগুলোকে। বদলে দিতে পারে পৃথিবীর একাংশের মানচিত্র।
পুতিনের হাতে এমন এক অস্ত্র আছে, যা দিয়ে একসঙ্গে ৩০টিরও বেশি পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করা সম্ভব। কোনো কারণে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে, বিধ্বংসী ওই অস্ত্র দিয়ে মুহূর্তেই নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া যাবে পশ্চিমা দেশগুলোকে। ভয়ংকর তথ্য হচ্ছে, সারা বিশ্বের মধ্যে ওই অস্ত্র আছে শুধু পুতিনের হাতেই। ক্রেমলিনের এই তুরুপের তাসের নাম ‘ডেড হ্যান্ড’। স্নায়ুযুদ্ধের সময় তৈরি ডেড হ্যান্ড বা প্যারিমিটার নামের এই অস্ত্র আসলে এক ধরনের অটোমেটিক নিউক্লিয়ার ওয়েপনস কন্ট্রোল সিস্টেম। কখনো রাশিয়া আক্রান্ত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শত্রুদেশগুলোকে লক্ষ্য করে পরমাণু হামলা চালানোই এই অস্ত্রের কাজ।
২০১১ সালে সর্বপ্রথম অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন এই মারণাস্ত্রের কথা ফাঁস করেন তৎকালীন রুশ কমান্ডার সার্গেই কারাকায়েভ। মনে করা হয়, দক্ষিণ মস্কোর কোনো একটি সেনা বাঙ্কারে লুকিয়ে রাখা হয়েছে এই ‘ডেড হ্যান্ড’ সিস্টেম। যার সঠিক অবস্থান শুধু পুতিনই জানেন। ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক মহলের চাপের মুখে রয়েছে রাশিয়া। মস্কোকে পরাস্ত করতে ইউক্রেনকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সামরিক সাহায্য দিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। অনেকে শঙ্কা করছেন, যুদ্ধ যদি গোটা ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে রাশিয়াকে বাঁচাতে এই অস্ত্রের ব্যবহার করে বসতে পারেন সাবেক গোয়েন্দা প্রধান ভ্লাদিমির পুতিন।