
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গত ৪ সপ্তাহের অভিযানে উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের ১১ হাজারেরও বেশি স্থাপনা ধ্বংসের দাবি করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এসব স্থাপনার মধ্যে হামাসের কমান্ড সেন্টার, সেল, ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থাপনা রয়েছে।বুধবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য উল্লেখ করে আইডিএফ আরও জানিয়েছে, গাজায় হামাসের অধিকাংশ স্থাপনা লোকালয়ে এবং কোনো না কোনো স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র কিংবা সরকারি ভবনের কাছে অবস্থিত।বুধবারের বিবৃতিতে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর অভিযানে এসব স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে কোনো তথ্য উল্লেখ করেনি আইডিএফ, তবে এদিন এক বার্তায় হামাসের গণসংযোগ শাখার মুখপাত্র সালামা মারৌফ জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর গত চার সপ্তাহের বোমা বর্ষণে গাজার ২ লাখেরও বেশি ভবন ধ্বংস ও ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে।মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যে সংঘাত চলছে, তাকে ১৯৫৩ সালের পর ওই অঞ্চলে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ বলে জানিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি বিশ্লেষকরা। গত ৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত হামলার মধ্যে দিয়ে সূত্রপাত ঘটে এই যুদ্ধের।
সেদিন ভোরে গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করে কয়েকশ প্রশিক্ষিত হামাস যোদ্ধা এবং নির্বিচারে গুলি চালিয়ে শত শত বেসামরিক ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে হত্যার পাশাপাশি ২৩৪ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যায়। এই জিম্মিদের মধ্যে ১৩৮ জনই বাইরের বিভিন্ন দেশের নাগরিক। গত কয়েক দিনে ৫ জন জিম্মিকে মুক্তিও দিয়েছে হামাস।
এদিকে হামাস হামলা চলানোর পর ওই দিন ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী, যা এখনও চলছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা বর্ষণে উপত্যকায় নিহত হয়েছেন গাজায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৮ হাজার ৫২৫ জন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ২১ হাজার ৫৪৩ জন। হতাহত এই ফিলিস্তিনের অধিকাংশই নারী-শিশু ও বেসামরিক লোকজন।
সূত্র : সিএনএন।