topআন্তর্জাতিক

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে ২৯ মার্কিনি নিহত

টাইমস ২৪ ডটনেট: ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধে নিহত মার্কিন নাগরিকদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ জনে। এছাড়া এখনও ১৫ জন আমেরিকান নাগরিকের কোনও খোঁজ মিলছে না।এদিকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ২২০০ ছাড়িয়েছে। রোববার (১৫ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে হামাসের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ২৯ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র শনিবার নিশ্চিত করেছেন। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর সঙ্গে ইসরায়েলের সহিংসতায় এর আগে ২৭ মার্কিনির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছিল।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই মুখপাত্র বলেছেন, এছাড়া ১৫ জন মার্কিন নাগরিক এবং যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ এক স্থায়ী বাসিন্দার কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না এবং তাদের সন্ধান পেতে ‘অব্যাহতভাবে কাজ চালিয়ে’ যাচ্ছেন কর্মকর্তারা।ওই মুখপাত্র আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বন্দি সংকটের বিষয়ে ইসরায়েলি সরকারের সঙ্গে কাজ করছে, যার মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের মতো বিষয়ও রয়েছে।এর আগে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি গত বুধবার বলেন, ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের অভূতপূর্ব হামলার সময় বন্দি হওয়া আনুমানিক ১৫০ জন ব্যক্তির মধ্যে ‘মুষ্টিমেয়’ মার্কিন নাগরিক রয়েছেন।
কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই মুহূর্তে, যে সংখ্যাটি আমরা জানি বা আমরা বিশ্বাস করি যে, বন্দি করা হয়েছে তা খুব ছোট, খুব ছোট, মুষ্টিমেয় থেকেও কম। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এটি পরিবর্তিত হতে পারে।’
এদিকে হামাস-ইসরায়েলের সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার পরপরই ইসরায়েল উপকূলে বিমানবাহী রণতরী পাঠানোর কথা জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন জানায়, তারা মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড এবং এর সঙ্গে থাকা অন্য যুদ্ধ জাহাজগুলোকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে পাঠাচ্ছে।যুক্তরাজ্য-আয়ারল্যান্ড-কানাডায় ফিলিস্তিনের পক্ষে ব্যাপক বিক্ষোভ
ইসরায়েলকে ‘অবিনাশী ভূমিকম্পের’ হুমকি দিল ইরান
ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে, আমরা গাজা ছাড়ব না : হামাস প্রধান
হিজবুল্লাহকে আটকাতে চীনের সহায়তা চাইল যুক্তরাষ্ট্র
আর এর মাধ্যমে মূলত এই অঞ্চলে ফাইটার এয়ারক্রাফটের সংখ্যা বাড়াতে চাচ্ছিল দেশটি। তবে মার্কিন নৌবাহিনীর সবচেয়ে উন্নত বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড পূর্ব ভূমধ্যসাগরে পৌঁছে যাওয়ার পর মার্কিন সামরিক বাহিনী দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস ডোয়াইট ডি আইজেনহাওয়ারকে এবার ইসরায়েলের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন শনিবার বলেছেন, ‘ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শত্রুতামূলক পদক্ষেপ বা হামাসের হামলার পর এই যুদ্ধকে আরও প্রসারিত করার যে কোনও প্রচেষ্টা ঠেকাতে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী ও স্ট্রাইক গ্রুপ পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।’

Related Articles

Back to top button