topআন্তর্জাতিক

গাজা এখন মৃত্যুপুরী

টাইমস ২৪ ডটনেট: ইসরাইলের অবরোধ, পানি, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খাদ্য বন্ধ করায় চরম মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে গাজাসহ সমগ্র ফিলিস্তিনে। কোনো ধরনের অবরোধ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন উল্লেখ করে জাতিসংঘ বিবৃতি দিলেও তাকে থোড়াই কেয়ার করে লাগাতার বিমান হামলা চালিয়ে গাজাকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে বর্বর দখলদার ইসরাইল। হামাসের হামলার জবাবে ইসরাইলের সেনাবাহিনীর আক্রমণ ‘কেবল শুরু হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। অন্যদিকে হামাস হুমকি দিয়েছে, বেসামরিক নাগরিকদের সতর্ক না করে যতবার বিমান হামলা চালানো হবে, ততবার একজন করে জিম্মি হত্যা করবে তারা। হামাসকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর দাবি করা হলেও ইসরাইলের বিমান হামলায় শিশু, নারী, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষই মারা যাচ্ছে বেশি। বেঁচে থাকা মানুষদের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে জানাজা আর লাশ দাফন। ইসরাইলের নির্বিচার হামলায় এ যাবৎ ৮শ’ ৩০ জন ফিলিস্তিনি শাহাদাতবরণ করেছেন বলে জানা গেছে। নিহতদের মধ্যে যুদ্ধবন্দি হিসেবে হামাসের হাতে আটক ইসরাইলিরাও রয়েছে। আর হামাসের প্রতিরোধ অভিযানে সহস্রাধিক ইসরাইলি মারা গেছে বলে জানা গেছে।


এদিকে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি ইসরাইল এবং তার দোসরদের লাগাতার অবজ্ঞা, অবহেলা, নির্যাতন, গণহত্যার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে বিশ্বের প্রায় সব দেশের শান্তিকামী মানুষ। খোদ যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলের ভেতর থেকেও ইহুদীবাদী ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ মানুষ। ইয়েমেনের রাজধানী সানায় বিশাল বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারা হুশিয়ার করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের পক্ষে যুদ্ধে জড়ালে তারা সমুচিত জবাব দেবে।


ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস বলেছে, ইসরাইলি হামলা অব্যাহত থাকলে জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে না। লড়াই বন্ধ হলে কেবল বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। গতকাল সংগঠনটির রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়েহ এ মন্তব্য করেছেন। এক বিবৃতিতে ইসমাইল হানিয়েহ বলেছেন, একাধিক পক্ষ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে জিম্মিদের মুক্তি দিতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেছেন, যোগাযোগ করা সব পক্ষকে আমরা জানিয়ে দিয়েছি লড়াই শেষ না হওয়া পর্যন্ত বন্দি শত্রুদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা হবে না। আর আমাদের নির্ধারিত শর্তে কেবল তারা মুক্তি পাবে।


এর আগে সোমবার হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবাইদা এক ভিডিও বার্তাতেও একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এটি স্পষ্ট যে, গাজা উপত্যকায় আমাদের জনগণের মতো জিম্মিরাও ঝুঁকিতে রয়েছে। আমরা নিশ্চিত করতে চাই গোলাবর্ষণের মধ্যে, আগ্রাসন চলমান অবস্থায় বা লড়াইয়ের মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে আলোচনা করব না। তিনি বলেছেন, অনেক জিম্মিকে বিভিন্ন স্থানে রাখা হয়েছে। কয়েকজন ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন।


ইসরাইলের সঙ্গে চলমান সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে আরব ও মুসলিম বিশ্বকে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি জানানোর আহ্বান জানিয়েছে হামাস। ফিলিস্তিনিদের প্রতি আরব ও মুসলিম বিশ্বকে দসাধারণ সংহতি জানানোর আহ্বান জানিয়ে একটি ইভেন্ট খুলেছে হামাস। এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, আগামী শুক্রবারকে ‘ফ্রাইডে অব আল-আকসা ফ্লাড’ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। ‘ইসরাইলি দখলদারিত্বের প্রকাশ্য যুদ্ধের মুখে’ ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে এই ইভেন্টটি খোলা হয়েছে। বিবৃতিতে অধিকৃত পশ্চিম তীরের তরুণ ফিলিস্তিনিদেরও ইসরাইলি সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামার আহ্বান জানিয়েছে হামাস। এতে আরো বলা হয়, শুক্রবার ইসরাইলে বসবাসরত ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে জড়ো হওয়া উচিত।


ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন দেয়ার কথা জানিয়েছেন সউদী আরবের ডি-ফ্যাক্টো যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি মাহমুদ আব্বাসকে বলেছেন, তিনি সংঘর্ষের ‘বিস্তৃতি’ রোধে আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক পক্ষের সাথে কাজ করছেন। এটা মনে রাখা দরকার যে, ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এবং গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী হামাস পরাস্পর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী। জনাব আব্বাস পশ্চিম তীর নিয়ন্ত্রণকারী ফাতাহ আন্দোলনের প্রধান। তিনি প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) প্রধান হিসেবেও দায়িত্বরত। তবে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সউদী আরবের সমর্থন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।


রিয়াদ ও তেল আবিবের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য ইসরাইল, সউদী আরব এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা চলছে, সেই প্রেক্ষাপটে এটি সউদী আরবের ভিন্নমুখী অবস্থান। বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা ওই সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়ায় একটি বড় ধরনের আঘাত।
হামাসের হামলার পর শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সউদী আরব এ উত্তেজনার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছে। তারা জানিয়েছে, ‘ফিলিস্তিনে অব্যাহত দখলদারিত্ব, সেখানকার মানুষদের বৈধ অধিকার থেকে বঞ্চিত করা এবং এর তাদের ধর্মীয় অনুভূতির ওপর বারবার আঘাতের কারণে সেখানকার পরিস্থিতি বিস্ফোরণোম্মুখ হয়ে উঠতে পারে, সে ব্যাপারে বার বার সতর্ক করা হয়েছে।’
চলমান সংঘাতের অবসান ঘটাতে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। সেই সঙ্গে আঙ্কারার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণ পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। রাজধানী আঙ্কারায় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান এ ঘোষণা দেন। অপরদিকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানও চলমান উত্তেজনা প্রশমনে আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলে জানা গেছে। খবরে বলা হয়েছে, সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট এরদোগান একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম প্যালেস্টাইন প্রতিষ্ঠার তাৎপর্যের উপর জোর দিয়েছেন। তার মতে, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রয়োজন।


হামাসের গণহত্যার চালানোর পেছনে ইসরাইল দায়ী বলে জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি। তিনি বলেছেন : ‘যারা ইহুদিবাদী শাসকদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছে আমরা তাদের হাতে চুম্বন করি।’ তবে তিনি হামাস যোদ্ধাদের হামলার পেছন ইরানের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। ইসরাইলকে মার্কিন সমর্থন দেয়ার বিষয়ে আলোচনা করতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। ব্লিঙ্কেন বলেছেন ‘সব জিম্মিদের মুক্তি অবিলম্বে নিশ্চিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।’
ফিলিস্তিনি মৃতের সংখ্যা ৮৩০ ছাড়িয়েছে, আহত চার হাজারের বেশি, জানিয়েছে সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পশ্চিম তীরে সংঘর্ষে ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরাইলি মৃতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের ইসরাইলি দূতাবাস জানিয়েছে। ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী- আইডিএফ বলছে, ইসরাইল এবং গাজা উপত্যকার আশপাশে দেড় হাজার হামাস যোদ্ধার লাশ পাওয়া গেছে। জাতিসংঘে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান বলেছেন, ইসরাইল থেকে অপহরণের পর গাজায় ‘১০০ থেকে দেড়শ’ জনকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে’।


গাজা উপত্যকা জুড়ে এক লাখ ৮৭ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে – এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাতিসংঘের ৮৩টি স্কুলে এক লাখ ৩৭ হাজার ৫শ মানুষকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। ইউনিসেফ গাজার ভেতরে এবং বাইরে একটি মানবিক করিডোর স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছে, কারণ ইসরাইল জ্বালানি, বিদ্যুৎ এবং পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে গাজার হাসপাতালগুলো।
গাজার জ্বালানি কয়েক দিনের মধ্যে ফুরিয়ে যেতে পারে, এতে বিদ্যুতের অভাবে অন্ধকারে ডুবে যেতে পারে গাজা উপত্যকা বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছে জাতিসংঘ। ইসরাইলি বোমা হামলার কারণে মিসরের রাফাহ ক্রসিং বন্ধ হয়ে গেছে। এটাই অবরুদ্ধ গাজা থেকে মানুষের বেরিয়ে আসার একমাত্র পথ। এছাড়া ইসরাইলও গাজার সঙ্গে তাদের সীমানা বন্ধ করে দিয়েছে। ইসরাইল ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘাতের কারণে মধ্যপ্রাচ্য থেকে জ্বালানি তেলের সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে এমন উদ্বেগের কারণে তেলের দাম বেড়ে গেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট ফিলিস্তিনিদের জন্য ২০ মিলিয়ন ডলার সহায়তার নির্দেশ দিয়েছেন : রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ডব্লিউএএম বলছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য জরুরি সহায়তা হিসেবে ২ কোটি ডলার পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ডব্লিউএএম যোগ করেছে, ‘সাহায্য, যা জাতিসংঘের ত্রাণ ও কাজ সংস্থা ফর ফিলিস্তিন শরণার্থীদের জন্য নিকটবর্তী প্রাচ্যের মাধ্যমে পাঠানো হবে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের নীতির অংশ হিসাবে দুর্বল জনসংখ্যা এবং বিশ্বজুড়ে যারা প্রয়োজন তাদের জরুরি ত্রাণ ও সহায়তা প্রদানের জন্য আসে। সংকটের সময়ে’।


গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের সম্পূর্ণ অবরোধ আন্তর্জাতিক আইনে নিষিদ্ধ বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক। গতকাল এক বিবৃতিতে একথা বলেছেন তিনি। ভলকার তুর্ক বিবৃতিতে বলেন, ‘বেসামরিক নাগরিকদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র থেকে বঞ্চিত করে তাদের জীবন বিপন্ন করে এমন অবরোধ আরোপ করা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে নিষিদ্ধ।’
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় রাতভর ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। একই সাথে গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ অবরুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে তারা। এর অংশ হিসেবে উপত্যকাটিতে খাবার, পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হচ্ছে। এতে বিধ্বস্ত গাজায় ভয়ানক মানবিক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন মানবিক সহায়তা বন্ধ করা ‘ভুল’ : জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ফিলিস্তিনি ভূখ-ে মানবিক সহায়তা বন্ধ করা হবে ‘সম্পূর্ণ ভুল’। সংঘাতের মধ্যে প্যালেস্টাইনে সহায়তা প্রদান বজায় রাখা উচিত কিনা তা নিয়ে আলোচনার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের আগে, আনালেনা বেয়ারবক বলেন যে, ‘বেসামরিক জনগণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মানবিক সহায়তা বন্ধ করা এখন সম্পূর্ণ ভুল হবে।’


তিনি যোগ করেন, ‘ফিলিস্তিনি ভূখ-ে অনেক শিশুসহ লাখ লাখ মানুষ খাদ্য, পানি এবং ওষুধের জন্য আমাদের উপর নির্ভরশীল। কমিশনের কর্মকর্তা অলিভার ভার্হেলি সোমবার ইইউ সহায়তা থামিয়ে দেয়ার পরে বেয়ারবকের মন্তব্য এসেছে। কিন্তু স্পেন, পর্তুগাল, লুক্সেমবার্গ এবং আয়ারল্যান্ড দ্রুত এ সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করে যার ফলে কমিশন ঘোষণা করে যে ফিলিস্তিনে মানবিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানী বলেছেন, গাজায় যুদ্ধের আরো বৃদ্ধি ঘটলে অবরুদ্ধ ছিটমহল ধ্বংস হয়ে যাবে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সাথে বৈঠকের সময় আল-সুদানী বলেছেন, ‘এখন ফিলিস্তিনে ঘটনাগুলোর একটি কঠিন এবং বিপজ্জনক বিকাশ ঘটেছে।’
‘ইসরাইল বারবার ফিলিস্তিনিদের অধিকার লঙ্ঘনের স্বাভাবিক ফল। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নীরব, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত রেজোলিউশনের অধীনে তার দায়িত্ব পালন করতে অক্ষম।
হামলায় গাজায় আরো তিন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। ইসরাইলি যুদ্ধবিমান বোমা হামলায় এ পর্যন্ত সাতজন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।


ওদিকে, আল-নাজাহ চ্যানেলের নিদাল আল-ওয়াহিদি এবং আইন মিডিয়ার হাইথাম আবদেল ওয়াহিদ নামে দুই ফিলিস্তিনি ফটোসাংবাদিক গত তিন দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। ১০ জনেরও বেশি সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন। গোলাগুলিতে সাংবাদিকদের বাসভবন এবং মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের সদর দফতর আংশিক বা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হামাসের নিন্দা করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। গতকাল তার এক্স (সাবেক টুইটার) পেজে একটি পোস্ট করে তিনি বলেন, ইসরাইলে ‘নির্লজ্জ সন্ত্রাসী হামলা’ ও নিরপরাধ বেসামরিক লোকদের হত্যা করা হচ্ছে।

সূত্র : জিও নিউজ, রয়টার্স, এএফপি, বিবিসি ও আল-জাজিরা।

Related Articles

Back to top button