টাইমস ২৪ ডটনেট: ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। ‘অপারেশন আল-আকসা স্টর্ম’ শীর্ষক অভিযানের অংশ হিসেবে এরই মধ্যে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠীটি গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি ভূখণ্ডে পাঁচ হাজারের বেশি রকেট ছুড়েছে। বড় ধরনের এই হামলার পর ‘যুদ্ধ পরিস্থিতি’ ঘোষণা করেছে ইসরাইলের সশস্ত্র বাহিনী। সৌদি সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ এবং ইসরাইলি গণমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরাইল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান পরিস্থিতির মূল্যায়ন করে পালটা অভিযানের পরিকল্পনা করছে। দেশটির সশস্ত্র বাহিনী সতর্ক করে বলেছে, হামাসকে এ ঘটনার দায় এবং পরিণতি বহন করতে হবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, শুধু রকেট হামলাই নয়, সীমান্ত পেরিয়ে ইসরাইলের অভ্যন্তরেও প্রবেশ করেছে হামাসের যোদ্ধারা। হামলায় এক ইসরাইলি নারী নিহত হয়েছেন।
খবরে বলা হয়েছে, হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-ক্বাসাম ব্রিগেডের নেতা মোহাম্মদ দায়েফ এক বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে, আর নয়। আমরা ফিলিস্তিনিদের রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা এরই মধ্যে ইসরাইলের ভূখণ্ডে পাঁচ হাজার রকেট হামলা চালিয়েছি।’
বড় ধরনের এই রকেট হামলাকে ‘অপারেশন আল-আকসা স্টর্ম’ হিসেবে ঘোষণা করে হামাস নেতা আরও বলেন, শত্রুপক্ষকে একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছে। দখলদাররা আমাদের শত শত বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে। চলতি বছর তাদের হামলায় শত শত মানুষ শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন।
‘আমরাই আগে হামলা চালিয়েছি’ উল্লেখ করে আল-ক্বাসাম ব্রিগেডের প্রধান বলেন, আল-ক্বাসাম ব্রিগেডের সদস্যরা ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর অবস্থান, বিমানবন্দর, বিভিন্ন ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে ব্যাপক রকেট হামলা চালিয়েছে। সব মিলিয়ে ইসরাইলে হামলা চালানো রকেটের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি করেছে যে, হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-ক্বাসাম ব্রিগেডের নিক্ষেপ করা রকেট দেশটির রাজধানী তেলআবিব পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। তবে হামাসের অভিযান রকেট হামলায় সীমাবদ্ধ থাকলেও হয়তো খুব একটা শঙ্কার কারণ ছিল না। কিন্তু তার চেয়ে বেশি উদ্বেগের কারণ হলো— ইসরাইলের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়া। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ক্বাসাম ব্রিগেডের সদস্যরা বেসমারিক নাগরিকদেরও ছাড়বে না। ইসরাইলের অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানিয়েছে, হামাসের হামলায় এক ইসরাইলি নারী নিহত হয়েছেন। তবে নিহত নারীর বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানানো হয়নি।