চলতি সংবাদ

বাংলাদেশে ডেঙ্গু নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রকাশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার, বিশ্বব্যাংকের ২০ কোটি ডলার ঋণ

টাইমস ২৪ ডটনেট, ঢাকা: বাংলাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে ফের উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশে ডেঙ্গুর ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুসের সংবাদ সম্মেলন থেকে এই উদ্বেগ জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে গেব্রেয়াসুস আরও বলেন, গত এপ্রিলে বাংলাদেশে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ে। এর পর থেকে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৩৫ হাজার ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। আর মারা গেছেন ৬৫০ জন। এর মধ্যে শুধু আগস্টে মারা গেছেন ৩০০ জনের বেশি। এই প্রাদুর্ভাব বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর ব্যাপক চাপ ফেলেছে। গেব্রেয়াসুস বলেন, সম্প্রতি রাজধানী ঢাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমে আসছে। তবে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে এ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
এদিকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণসহ শহর এলাকায় প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবাব্যবস্থার উন্নয়নে বাংলাদেশের জন্য ২০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি চিকিৎসাবর্জ্য ব্যবস্থাপনায়ও এই অর্থ ব্যবহৃত হবে। বিশ্বব্যাংকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই ‘আরবান হেলথ, নিউট্রিশন ও পপুলেশন প্রজেক্ট’ শহরাঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার নেটওয়ার্ক গড়ে তুলবে। এই অর্থ শুধু ডেঙ্গু প্রতিরোধ নয়, শহরের অন্যান্য নাগরিক স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করার কাজেও খরচ করা হবে। যেমন শহরের বস্তি এলাকার নাগরিকদের পুষ্টিমান উন্নয়নেও কর্মসূচি নেওয়া হবে।
এ ছাড়া এ প্রকল্পের আওতায় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে নানা কার্যক্রম। সেই সঙ্গে সরাসরি চিকিৎসাসেবাও মিলবে এসব স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে। শহরাঞ্চলের পাঁচ বছরের কম বয়সী ২৫ লাখ শিশু এসব কেন্দ্র থেকে সেবা পাবে। বিশ্বব্যাংকের ভুটান ও বাংলাদেশ অঞ্চলের প্রধান আব্দুল্লায়ে সেক বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জন আছে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে। কিন্তু শহরাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা-সুবিধা অপ্রতুল। সে কারণে দরিদ্র মানুষ ও বস্তিবাসীরা অনেক সময় বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র থেকে বিপুল অর্থের বিনিময়ে স্বাস্থ্যসেবা নিতে বাধ্য হন।তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া শহরে জনঘনত্ব বৃদ্ধির কারণে বা জলবায়ু পরিবর্তন ও দ্রুত নগরায়ণের কারণে নতুন নতুন স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে, যেমন ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে বিভিন্ন সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগের প্রকোপ।’

Related Articles

Back to top button