আন্তর্জাতিক ডেস্ক: একটুও বাতাস নেই, বাইরে বের হলে গরমে শরীর পুড়ে যায়-২০২৩ সালের গ্রীষ্মে এমন অভিযোগ করতে শোনা গেছে প্রায় সব মানুষকে। অনেকে এমনও বলেছেন, নিজেদের জীবনে এত গরম পড়তে দেখেননি তারা। তাদের সেই ধারণাটিই সঠিক ছিল! ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম গ্রীষ্মকালের দেখা মিলেছিল ২০২৩ সালেই। ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ুবিষয়ক সংস্থা ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস জানিয়েছে, তাদের রেকর্ড অনুযায়ী ২০২৩ সালের গ্রীষ্মকাল সবচেয়ে উষ্ণ ছিল। জুন থেকে শুরু হয়ে আগস্ট পর্যন্ত গ্রীষ্মকাল থাকে। আর এ বছরের গ্রীষ্মকাল আগের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। এ বছর তিন মাস স্থায়ী গ্রীষ্মকালে প্রতিদিনের গড় তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ইতিহাসে এ বছরের আগস্ট মাসও ছিল সবচেয়ে উষ্ণতম। এর আগে জুন ও জুলাই মাসও ইতিহাসে উষ্ণতম মাস হিসেবে রেকর্ড গড়েছিল বলে বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। শিল্পপূর্ব যুগের ১৮৫০ সাল থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত আগস্ট মাসের গড় তাপমাত্রা যা ছিল— ২০২৩ সালের আগস্টের গড় তাপমাত্রা সেটি থেকে প্রায় ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। ২০১৫ সালে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বিশ্বের সবগুলো দেশ সম্মত হয় শিল্পপূর্ব যুগে তাপমাত্রা যা ছিল সেটি থেকে বর্তমান সময়ের তাপমাত্রা যেন ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি না বাড়ে সে বিষয়ে সবাই একসঙ্গে কাজ করবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু বিষয়ক সংস্থার উপপ্রধান সামান্থা বার্গেস বলেছেন, ‘২০২৩ সালে বৈশ্বিক তাপমাত্রা এরকম হতেই থাকবে। এই বৈজ্ঞানিক তথ্য অভূতপূর্ব। আমরা আরও জলবায়ু রেকর্ড এবং আরও কঠিন এবং ঘন ঘন জলবায়ু বিয়ষক বিষয় দেখব। যেগুলো সমাজ ও বাস্তুতন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলবে।’ জলবায়ুবিষয়ক এ সংস্থাটি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ২০২৩ সালের এখনো চার মাস বাকি আছে। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, ইতিহাসে সবচেয়ে দ্বিতীয় উষ্ণতম বছর হবে এটি।
সূত্র: রয়টার্স ও ঢাকা পোষ্ট।