টাইমস ২৪ ডটনেট, কক্সবাজার: কক্সবাজার শহরের আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুদ্দিন হত্যার ঘটনায় হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজে শনাক্ত হওয়া মূল অভিযুক্ত আশরাফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।সোমবার (২১আগস্ট) দিনগত রাত দেড়টার দিকে তাকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম। তবে তাকে কখন, কোথা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন ওসি। তবে আশরাফুলকে টেকনাফের হোয়াইক্যং থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে ।
গ্রেপ্তার আশরাফুল ইসলাম (১৮) কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়তলী ইসলামপুর এলাকার মোহাম্মদ হাশেমের ছেলে।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ঘটনার পর পুলিশ হোটেল থেকে কিছু সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে। ওই ফুটেজের সূত্র ধরে পুলিশ ঘাতককে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়। পরে সোমবার মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে তাকে হোয়াইক্যং থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আশরাফুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের পর তার স্বীকারোক্তিমূলক একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। ওই ভিডিও ফুটেজে সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর সাইফুদ্দিনকে খুন করার কথা শিকার করেছেন।এর আগে সোমবার সকালে কক্সবাজার শহরের হলিডের মোড় সংলগ্ন আবাসিক হোটেল সানমুনের দ্বিতীয় তলার ২০৮ নম্বর কক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুদ্দিনের মরদেহ পায় পুলিশ। তার হাত বাঁধা অবস্থায় পাওয়া মরদেহটির শরীরে কয়েকটি ধারালো অস্ত্রের আঘাত এবং শরীরের নানা অংশে জখম রয়েছে।নিহত সাইফুদ্দিন (৪৫) কক্সবাজার শহরের ঘোনার পাড়া এলাকার অবসরপ্রাপ্ত আনসার কমান্ডার আবুল বশরের ছেলে। তিনি কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এবং কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগসহ নানা ইউনিটের সাবেক ছাত্রনেতা ছিলেন। বর্তমানে প্রাক্তন ছাত্রলীগ পরিষদ কক্সবাজার জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, হোটেল থেকে সংগ্রহ করা ভিডিও ফুটেজ দেখে ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে পুলিশ শনাক্তের পর প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত সন্দেহ করা ওই ঘাতকের অবস্থান পুলিশ নিশ্চিত হন। এ তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির সামনে অস্থায়ী তল্লাশি চৌকি স্থাপন করা হয়। টেকনাফমুখী একটি বাসে তল্লাশির সময় পুলিশ আশরাফুল ইসলাম গ্রেপ্তার করে।