আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউরোপের দেশ লাটভিয়ার প্রধানমন্ত্রী ক্রিসজানিস কারিন্স পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। ক্ষমতাসীন জোট সরকারের অংশীদার দলগুলোর মাঝে ভাঙন ধরায় তিনি পদত্যাগ করছেন বলে সোমবার জানিয়েছেন। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আগামী বৃহস্পতিবার আমি নিজের এবং মন্ত্রিসভার পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেব।’ ইউক্রেনে আগ্রাসনের দায়ে মস্কোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটোকে চাপ দেওয়ার ক্ষেত্রে বাল্টিক প্রতিবেশি লিথুয়ানিয়া এবং এস্তোনিয়ার পাশাপাশি নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করছে লাটভিয়া।
গত বছরের অক্টোবরে দেশটিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করে কারিন্সের মধ্য-ডানপন্থী নিউ ইউনিটি পার্টি (এনইউপি)। ওই নির্বাচনে দেশটির সংসদের ১০০ আসনের মধ্যে ২৬টিতে জয় পায় কারিন্সের দল। পরে সাতটি দলের সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গঠন করে কারিন্স নেতৃত্বাধীন এনইউপি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক বার্তায় কারিন্স বলেন, জোটের অংশীদাররা দেশের সমৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করায় তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।কারিন্সের মধ্য-ডানপন্থী নিউ ইউনিটি পার্টি লাটভিয়ার রক্ষণশীল রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স এবং অন্যান্য ছোট দলগুলোর সমর্থনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ১৯ লাখ মানুষের ছোট্ট এই দেশটি শাসন করে আসছিল।কিন্তু গত মে মাসে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যৌথ প্রার্থী দিতে ব্যর্থ হওয়ার পর জোটের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত হয় কারিন্সের। গত শুক্রবার তিনি দেশটির অন্যান্য কয়েকটি দলকে জোটসঙ্গী করার ব্যর্থ চেষ্টা চালান। এর মধ্যে বামপন্থী প্রোগ্রেসিভ পার্টি এবং গ্রিনস অ্যান্ড দ্য ফার্মার্স ইউনিয়নও ছিল।
দেশটির বন্দরনগরী ভেন্টসপিলসের মেয়র আইভারস লেমবার্গস নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল গোষ্ঠীগুলোর জোট গ্রিনস অ্যান্ড দ্য ফার্মার্স ইউনিয়ন। ২০১৯ সালে দুর্নীতির দায়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ছিলেন আইভারস।নিউ ইউনিটি পার্টি আগামী বুধবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী বাছাইয়ের পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন কারিন্স। দেশটির প্রেসিডেন্ট এডগারস রিংকেভিক্সের হাতে নতুন প্রধানমন্ত্রীকে সরকার গঠনের ম্যান্ডেট দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। তবে সেই প্রার্থীও সংসদে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হবেন।লাটভিয়ার পরবর্তী সংসদীয় নির্বাচন ২০২৬ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স ও ঢাকা পোষ্ট।