আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার আমহারা অঞ্চলে সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে টানা কয়েকদিন ধরে সহিংসতা চলছে। আর এ সহিংসতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় শুক্রবার (৪ আগস্ট) দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘নিয়মিত আইনি ব্যবস্থায় ভয়ঙ্কর কার্যক্রম দমন কঠিন হয়ে যাওয়ায় পর দেখা গেছে, দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা প্রয়োজন।’
তবে এই জরুরি অবস্থা পুরো ইথিওপিয়ায় নাকি শুধুমাত্র সংঘাতপূর্ণ আমহারায় কার্যকর হবে সেটি পরিষ্কার করে জানায়নি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।
গত সপ্তাহে দেশটির দ্বিতীয় জনবহুল অঞ্চলটিতে সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠী ফানো মিলিশিয়ার মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। যা দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।সশস্ত্র গোষ্ঠী ফানো একটি আঞ্চলিক বাহিনী। তাদের নিজস্ব কোনো কমান্ড নেই। এই বাহিনীটি পার্শ্ববর্তী তাইগ্রে অঞ্চলের গৃহযুদ্ধ দমনে সরকারি বাহিনীকে সহায়তা করেছিল। এই গৃহযুদ্ধ দুই বছর চলেছিল। গত নভেম্বরে শান্তি চুক্তির মাধ্যমে যেটির ইতি ঘটেছিল।
তবে উপেক্ষা করার অভিযোগে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে ফানোর সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে।সেনাবাহিনী ও ফানোর সদস্যরা মঙ্গলবার ও বুধবার দেবরে তাবোরের কাছে লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছিল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন চিকিৎসক ও পুলিশ কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।বৃহস্পতিবার আমহারার আঞ্চলিক সরকার কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে আরও সাহায্যের আবেদন জানায়।আমহারার আঞ্চলিক সরকার প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়ে অনুরোধ করেছে, ‘ফানোর সদস্যদের বিরুদ্ধে যেন যথার্থ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’ চিঠিতে আঞ্চলিক সরকার আরও বলেছে, ‘এসব সমস্যা সৃষ্টিকারীদের জন্য এখানকার অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মানবিক বিষয়ের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।’
জরুরি অবস্থা ঘোষণা করায় এখন সেনাবাহিনী রাস্তা আটকে দিতে পারবে, পরিবহণ ব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারবে, সরকার কারফিউ জারি করতে পারবে এবং সেনাবাহিনী চাইলে নির্দিষ্ট এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে।আমহারায় বর্তমানে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ আছে। এছাড়া সেখানকার বিমানবন্দরগুলোতেও বিমান চলাচল প্রায় অচল হয়ে পড়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা ও ঢাকা পোষ্ট।