মতামত

আধুনিক বাংলা সাহিত্যের দায়বদ্ধতা

শিরীন আখতার এমপি: আধুনিক বাংলা সাহিত্যের দায়বদ্ধতা সুন্দর করে যখন কিছু লেখা হয়, সেটা সাহিত্য। তবে লেখা আবিষ্কারের আগেও সাহিত্য ছিল; মানুষ সেগুলো মনে রাখতো; এ প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে সেগুলো মুখে মুখে ফিরতো। এখানে আমরা যারা আছি, পড়তে শেখার আগে তারা সবাই আমাদের মা-খালা, নানা-দাদা, নানি-দাদি ও অন্য আত্মীয়দের কাছে গল্প শুনেছি। ওগুলো সবই ছিল মৌখিক সাহিত্য বা লোক সাহিত্য।
লিখিত সাহিত্য সাধারণভাবে ব্যক্তির নামে রচিত হয়। মৌখিক সাহিত্যের কিছু কিছু ব্যক্তির নামে পাওয়া গেলেও, অধিকাংশ কোনো ব্যক্তির নাম ছাড়াই চালু ছিল। ঘুম পাড়ানি গান ও ছড়া, কিসসা, গল্প এসবের আর লেখকের নাম নেই। মৌখিক সাহিত্যও পরে সংগৃহীত হয়েছে ও ছাপানো হয়েছে।
পৃথিবীর প্রায় সকল চিরায়ত সাহিত্য, যেগুলো হাজার হাজার বছর আগে রচিত হয়েছে সেগুলো সবই মৌখিক সাহিত্য। ছড়া, কবিতা ও গান ছিলো প্রাচিনতম সাহিত্য। ছন্দ ছিল মনে রাখার ও মুখস্ত করার সহজ উপায়। প্রাচিন কালের ধর্মীয় সাহিত্যগুলোও ছিল মৌখিক সাহিত্য; পরে সেগুলো সংগ্রহ করে লিখিত রূপ দেয়া হয়েছে। পরে অবশ্য গল্প আকারেও সাহিত্য এসেছে্। আরা পরে এসেছে নাটক, উপন্যাস, জীবনী, ইতিহাস ইত্যাদি।প্রবন্ধ-নিবন্ধ-গবেষণা এইসব সাহিত্যের সবচেয়ে নবীন শাখা। আরো পরে এসেছে রাজনৈতিক সাহিত্য, দলীয় সাহিত্য এরকম অনেক কিছু।
ব্যক্তি নামে রচিত সাহিত্যে ব্যক্তির বা সাহিত্যিকের নিজের চিন্তাধারা প্রকাশিত হয় বেশি। অন্যদিকে, লোকসাহিত্য ও মৌখিক সাহিত্য যেহেতু মুখে মুখে এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে প্রবাহিত হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা প্রবাহিত হয়েছে গুরু-শিষ্য পরম্পরায়। এই পরম্পরায় প্রবাহিত হবার সয়য় সেগুলো সামান্য এদিকসেদিক হয়ে আরো সমৃদ্ধ হয়েছে। সেজন্য প্রাচিন লোকসাহিত্য ও মৌখিক সাহিত্যগুলোকে বলা যায় সমাজের সামষ্টিক সৃষ্টি। জনগণের সৃষ্টি। এইসব সাহিত্যে মানুষে মানুষে ভেদ-বিভেদ-অসমতা-বৈষম্যের বিরোধিতা করা হয়েছে। লোকসাহিত্যে বা মৌখিক সাহিতে আমরা ধর্ম পাই, কিন্তু সাম্প্রদায়িকতা পাই না। বিতর্ক পাই কিন্তু সংঘাত ও সহিংসতা পাই না। আমদের মানবিক চিন্তাধারার অসামান্য প্রমাণ আমাদের লোকসাহিত্য ও মৌখিক সাহিত্য। কেবল আমাদের সমাজেই নয়, সব জনগোষ্ঠির লোকসাহিত্য ও মৌখিক সাহিত্য একই রকম প্রগতিশীল; মানবতার জয়গানে মুখরিত।
আমাদের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যও বিকশিত হয়েছে ভেদ-বিভেদ-অসমতা-বৈষম্যকে মোকাবেলা করেই; বিকশিত হয়েছে মানুষের জয়গান গেয়েই।বাংলা ভাষার প্রাচিনতম নজির হলো চর্যাপদ। এটা মূলত বৌদ্ধ ধর্মীয় সাহিত্য। বাংলা বর্ণমালা ও সাহিত্যের বিকাশে অসামান্য অবদান আছে শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের। বৌদ্ধ মতবাদ ও বৈষ্ণব মতবাদের ধারায় সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে সুফি মতবাদ। সব মিলিয়েই বাংলা ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি। বৌদ্ধ-বৈষ্ণব-সুফি মতবাদের অসামান্য মানবতাবাদকে ঘিরে আবর্তিত বিকশিত বাংলা সাহিত্যের মহত্তম ধারা হচ্ছে বাউল সাহিত্য। বাউল সাহিত্যেও অনেক ধারা আছে। তবে তাদের মধ্যে সবচেয়ে আদুনিক হলেন লালন।
লালন বৌদ্ধ-বৈষ্ণব-সুফি মতবাদ সমন্বিত করে, সেগুলোর সামান্য ধর্মীয় সংশ্লিষ্টতাকে পরিহার করে, সম্পূর্ণ ধর্মনিরপেক্ষতার ধারায় মানুষের মাহাত্ম্য তুলে ধরেছেন। আধুনক বাংলা সাহিত্য কাঠামোগতভাবে ঔপনিবেশিক আমলে ইউরোপিয় সাহিত্য-কাঠামো দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হলেও, এগুলোতে আমাদের বাউল ধারাসহ আমাদের লোকসংস্কৃতির প্রভাব রয়েছে। বাংলা সাহিত্যের প্রধান ব্যক্তি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর অসামান্য উদাহরণ। আমাদের জাতীয় সঙ্গীত “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি” তার প্রমান— এই গানটি বাউল গানের সুর ও বিষয়কে ধারণ করে।
আমরা চন্ডিদাস ও রজকিনীর প্রেম কাহিনী জানি। ধর্মীয় জাত-পতের বিভেদ তারা উপেক্ষা করেছেন। চন্ডিদাস গেয়েছেন— সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই। এত বড় মানব ধর্মের চেয়ে বড় আর কী আছে মানুষের জীবনে?

আমাদের সুফিবাদে আল্লাহর সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক স্থাপনের কথা বলা হয়; ভয়ের সম্পর্ক নয়; মানুষের হৃদয়ে আল্লাহর বসবাসের কথা বলা হয়।

মানুষের জয়গান গেয়ে শ্রীচৈতন্য জাত-পাতের বিরুদ্ধে সংঘটিতভাবে সমতার বিপ্লব করেছিলেন বাংলায়। এমন “মিউজিক্যাল রেভ্যুলুশন”-এর উদাহরণ আমরা আর কোথাও পাই কি?

লালনে এগুলো আরো স্পষ্ট হয়; সকল ধরনের ভেদ-ভিভেদ-অসমতা-বৈষম্যের বিরুদ্ধে তিনি বিদ্রোহি, তিনি বিদ্রোহের দার্শনিক। তিনি গেয়ে ওঠেন: সর্ব সাধন সিদ্ধ হয় তার মানুষ-গুরু নিষ্ঠা যায়। তিনি জানান: দেব-দেবতাগণ করেন আরাধন জন্ম নিতে মানবে। একই গানেই তিনি বলেন, “এমন মানব জনম আর কি হবে? মন যা কর ত্বরায় কর এই ভবে।“ তিনি আমাদের মানুষের সমাজ নির্মাণ করার আহ্বান জানান।

এখানে একজনের কথা না বললেই নয়, তিনি আবদুল হাকিম। সপ্তদশ শতকের কবি। তিনি বলেছিলেন যে আল্লাহ সব ভাষা বোঝেন। সেজন্য আরবি-ফারসি নয়, বাংলাতেও রাজকার্য ও ব্যবসা-বানিজ্যের মতো ধর্মকর্মও করা যায়। তার বক্তব্য, “যে সব বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণি, সেসব কাহার জন্ম নির্নয় না জানি।“
সুতরাং বাংলা ভাষা, যা আবাঙালি সংস্কৃতির ভিত্তিতে তৈরি ও বাঙালি সংস্কৃতির বাহন, তার সম্মান রক্ষা করতে হবে। ভাষা রক্ষা করা না গেলে সংস্কৃতি ও জীবনবোধ রক্ষা ও বিকশিত করা যাবে না।

এবং সেখানেই আধুনিক বাংলা সাহিত্যের দায়বদ্ধতা। আধুনিক সাহিত্য অনেক বেশি ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদি হলেও, যে ভাষায় একজন সাহিত্যিক সাহিত্য রচনা করবেন, সে ভাষাকে যদি ঐহিত্যের ভিত্তিতে রক্ষা ও বিকশিত না করেন, তাহলে হারিয়ে যাবে আপনার ভাষা, আপনার সৃজনশীল সাহিত্য, হারিয়ে যাবে আপনার বক্তব্য।
সাহিত্যিকের এই প্রয়াস রাজনৈতিকও বটে। আমাদের মনে রাখতে হবে পৃথিবীর অনেক ঐতিহ্যময় শক্তিশালী ভাষা কেবল রাষ্ট্রের অভাবে হারিয়ে গেছে। বিশ্বব্যাপি বাঙালি আছেন, কিন্তু বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের রাজধানী বাংলাদেশ। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের রাজধানী বাংলাদেশের রাষ্ট্র-ক্ষমতায় যদি বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধ শক্তি আসীন হয়, তাহলে আমাদের ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি-জীবনবোধ বিপন্ন ও বিলুপ্ত হবে। এই কারণে সাহিত্যিকদের দায়বদ্ধতা রয়েছে একদিকে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলা ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি-জীবনবোধ রক্ষা ও বিকশিত করা, অন্যদিকে বাঙালি সংস্কুতির বিরুদ্ধ শক্তি ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা-মৌলবাদ-জঙ্গিবাদকে কোনো দিন বাংলাদেশের রাষ্ট্র-ক্ষমতায় আসতে না দেয়া। মহান সাহিত্যিকদের অধিকাংশই এই রাজনৈতিক কর্তব্য উপেক্ষা করেননি।
বাঙালির জাতীয় আত্মশক্তির পুনর্জাগরণ ও জাতীয় আত্মশক্তির পুনরুত্থানের মাধ্যমে জাতীয় উল্লম্ফন অর্জনের লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত হিসেবে বাঙালিয়ানার ভিত্তিতে আমাদের ব্যক্তিমানসের ও জীবনাচারের সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনা আজ অতি জরুরি হয়ে পড়েছে।
উদ্ভব ও বিকাশকাল পুরোটা জুড়ে সহোদরা-ভাষা ও রাষ্ট্রশক্তি-আশ্রিত অপরাপর ভাষার আগ্রাসন প্রতিরোধ করে বাংলা ভাষা স্বমহিমায় অধিষ্ঠিত হয়েছে বাঙালির জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। বিভিন্ন প্রাচীন ভাষার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিকাশমান বাংলা ভাষা খ্রিস্টিয় দশম শতক থেকে সপ্তদশ শতক পর্যন্ত ফারসি, খ্রিস্টিয় একাদশ শতক থেকে সপ্তদশ শতক পর্যন্ত সংস্কৃত, খ্রিস্টিয় সপ্তদশ শতকে উর্দু, খ্রিস্টিয় ১৭৫৭ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ইংরেজি ও সর্বশেষ ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৫৪ সালের ৭ মে পর্যন্ত আবারও উর্দুকে মোকাবেলা করে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে নিজ পরিচয়ে স্থিত হয়। এর মধ্যে সর্বশেষ প্রতিরোধ-পর্যায়ে বাংলা বর্ণমালাকে রোমান-আরবি-উর্দু হরফ দিয়ে প্রতিস্থাপিত করারও অপচেষ্টা হয়েছে। এই প্রতিরোধ-শক্তি-সমৃদ্ধ বাংলা ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতির ভিত্তিতেই নিরস্ত্র-সশস্ত্র জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে প্রিয়তম বাংলাদেশ।
তারপরও দুঃখজনক হলেও সত্য যে গত ৪৯ বছরে, বিশেষত ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ও ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবিপ্লব সংঘটিত করে খন্দকার মোশতাক আহমদ ও জিয়াউর রহমান সরকার পাকিস্তানপন্থার ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বাংলাদেশে পুনঃপ্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা করেছে; হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ও খালেদা জিয়ার সরকার সে পাকিস্তানপন্থার ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে বিকশিত করেছে; আর সর্বশেষ খালেদা জিয়ার সরকার পাকিস্তানপন্থার ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে ধর্মীয়-জঙ্গিবাদে উত্তরণ ঘটিয়েছে। সামরিক-বেসামরিক স্বৈরশাসন এবং সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদি রাজনীতি দেশে এক সাম্প্রদায়িক সংস্কৃতি নির্মাণ করেছে। এই সাম্প্রদায়িক সংস্কৃতি আবার জাত-পাত-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ-শ্রেণিতে ভেদ-বিভেদ-অসমতা-বৈষম্যের রাজনীতির পোষক এবং এই রাজনীতি জঙ্গিবাদের জনক। এই সাম্প্রদায়িক সংস্কৃতি বাঙালির ভাষা-সংস্কৃতিভিত্তিক ভালোবাসাময় বাঙালি জাতীয়তাবাদের শত্রু। বিগত ৫০ বছর ধরে এই সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতা ধীরে ধীরে আমাদের মুখের ভাষা, পোশাক-পরিচ্ছদ, চলাফেরা, দৃষ্টিভঙ্গি, মূল্যবোধ, জীবনবোধ ও জাতিসত্তাকে ভেতর থেকে ক্ষয়ে ফেলছে। বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের বিস্ময়কর অগ্রগতির এ পর্যায়ে যখন একটি জাতীয় উল্লম্ফন আবশ্যক হয়ে পড়েছে, তখন এ সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতা আমাদের পেছন থেকে টেনে ধরছে। এই পশ্চাদপদতাকে মোকাবেলা করতে না পারলে একুশ শতকে আমাদের আবশ্যক জাতীয় উল্লম্ফন নিশ্চিত হবে না।
প্রতিটি ভাষার শব্দভাণ্ডার, যা কিনা সাংস্কৃতিক যোগাযোগ-মাধ্যম-বাহক-প্রকাশক-নির্দেশক হিসেবে কাজ করে, অবশ্যই আর্থপ্রাযুক্তিক ও শিক্ষা-সাংস্কৃতিক মিথষ্ক্রিয়ার ভিত্তিতে অন্য ভাষার শব্দ আত্মীকরণ করে। কিন্তু ইহজাগতিকতার বাইরে ধর্মভিত্তিক সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতাপ্রসূত শব্দের-ভাষার আত্মীকরণ জাত-পাত-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ-শ্রেণিতে ভেদ-বিভেদ-অসমতা-বৈষম্যের রাজনীতির পোষক এবং এই রাজনীতি জঙ্গিবাদের জনক। বিশ্বপরিসরে বাঙালির ইহজাগতিকতার চর্চায় অপ্রযোজনীয় ধর্মভিত্তিক আরবি ভাষার সাংস্কৃতিক আগ্রাসন আমাদের মোকাবেলা করতে হবে যে কোনো মূল্যে।
আমাদের বাংলা কথ্য ও লেখ্য ভাষায় ধর্মভিত্তিক আরবি ভাষার আগ্রাসন মোকাবেলার পাশাপাশি বাংলা কথ্য ভাষায় ইংরেজি উচ্চারণের বিকৃতির আরোপন মোকাবেলা করতে সকল বাঙালিকে ভূমিকা রাখতে হবে। বাংলা মান-ভাষা ও বাংলা আঞ্চলিক-ভাষার ওপর ধর্মান্ধ সংস্কৃতির আরবি শব্দ ও ভাষা এবং ঔপনিবেশিক সংস্কৃতির ইংরেজি উচ্চারণ আরোপনের মোকাবেলার সাথে সাথে আমাদের মানস ও জীবনাচারেও পরিবর্তন আনতে হবে; সম্ভোগ-নৃশংসতা-সাম্প্রদায়িকতা-ঔপনিবেশিকতার পশ্চাদপদ সংস্কৃতির বিপরীতে বাঙালিয়ানার চর্চায় উদ্ভাসিত হতে হবে; সুমহান জাতীয় মুক্তি আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গঠনে এগিয়ে যেতে হবে; বাঙালির জাতীয় আত্মশক্তির পুনর্জাগরণ ও জাতীয় আত্মশক্তির পুনরুত্থানের মাধ্যমে জাতীয় উল্লম্ফন অর্জনের লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে।পাশাপাশি, আমাদের সব ধরনের সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক-দলীয় কার্যক্রমে সকল ধরনের ঔপনিবেশিক-ধর্মীয়-সাম্প্রদায়িক শব্দ-ভাষা ও আচার-আচরণ বিষয়ে কঠোরভাবে সচেতন থাকতে হবে।

(২৭ জুলাই ২০২৩, বৃহস্পতিবার ছাগলনাইয়া উপজেলা সাহিত্য মেলা ২০২৩-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি এই বক্তব্য প্রদান করেন)

Related Articles

Back to top button