আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে টাইফুন ডোকসুরি। সুপারটাইফুনে পরিণত হওয়া ডোকসুরির প্রভাবে ফিলিপাইনে বেশ কিছু বিমানের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এটি দেশটির উত্তরদিকে আঘাত হেনে তাইওয়ান ও চীনের দক্ষিণ দিকে যাবে। বর্তমানে ঝড়টির বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৮৫ কিলোমিটার এবং দমকাহাওয়া সহ এটির গতিবেগ ২৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠছে। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকাল ৮টার বিশেষ খবরে এ তথ্য জানিয়েছে ফিলিপাইনের আবহাওয়া অফিস।
সংস্থাটি বলেছে, মঙ্গলবার রাত অথবা বুধবার বিকেলে সুপারটাইফুনটি কাগাইয়ান প্রদেশের বাবুয়াইন দ্বীপে আঘাত হানতে পারে। বর্তমানে এটি ১০ কিলোমিটার গতিতে উত্তরপূর্ব দিকে সরছে।
কাগাইয়ানের কিছু অংশ এবং উত্তরের দিকে তৃতীয় ধাপের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দাদের শক্তিশালী কাঠামো বা ভবনের ভেতর আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই প্রদেশে এর আগে দেখা দিয়েছিল ভয়াবহ বন্যা। ধান ও অন্যান্য শস্য উৎপাদিত হয় এখানে।
বিমান চলাচলকারী সংস্থা ফিলিপাইন এয়ারলাইন্স এবং সিবু এয়ার ফেসবুকে জানিয়েছে, মঙ্গলবার কয়েক ডজন ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বর্তমানে ফিলিপাইনের বিভিন্ন বিমানবন্দরে ৭৩টি বিমান ও ৮ হাজার ২০০ যাত্রী আটকা পড়ে আছেন।
সুপারটাইফুনের কারণে তাইওয়ানের একটি সামরিক মহড়ার কিছু অংশ বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি। দেশটির প্রধানমন্ত্রী সাধারণ মানুষকে টাইফুন সতর্কতা মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছেন। ২০১৯ সালের পর কোনো টাইফুন সরাসরি তাইওয়ানে আঘাত হানেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার মঙ্গলবার জানিয়েছে, টাইফুনটি ফিলিপাইনের রাজধানী মানিলা থেকে ২২৭ নটিক্যাল মাইল বা ৪২০ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরপূর্ব দিকে অবস্থান করছে। গত ৬ ঘণ্টায় এটি ১৪ কিলোমিটার উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়েছে।
সূত্র: ব্লুমবার্গ ও ঢাকা পোষ্ট।