টাইমস ২৪ ডটনেট: ফিলিস্তিনের জেনিন শরণার্থী শিবিএর সোমবার অভিযান চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে এক কিশোরসহ ৫ ফিলিস্তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ৯১ জন আহত হন। ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, সোমবার ভোরের দিকে হঠাৎ ক্যাম্পে অভিযান শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। বিষাক্ত গ্যাস, স্টান গ্রেনেড এবং গুলি ছুড়ে তারা। এ ঘটনায় আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এলাকাটিতে।ইসরাইলি হামলায় নিহতদের পরিচয় প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তারা হলেন– খালেদ দারবিশ (২১), কাসাম সারিয়া ১৯ এবং আহমেদ সাকার ১৫। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, দুজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতারে তারা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়েছে। এ সময় ব্যাপক গুলিবিনিময় হয়। আলজাজিরার প্রতিবেদনে জানা গেছে, অভিযানের সময় ইসরাইলি সামরিক হেলিকপ্টার থেকে রকেট ছোড়া হয় এবং ক্যাম্পে নজরদারি বিমান টহল দিচ্ছিল। অধিকৃত পশ্চিম তীরে হাজারো বসতি স্থাপনের পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলের কট্টরপন্থি সরকার।
রোববার মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে নতুন এ পদক্ষেপের অনুমোদন দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। নতুন এ পরিকল্পনা অনুযায়ী পশ্চিম তীরের বিভিন্ন অংশে ৪ হাজার ৫৬০টি বসতি নির্মাণ করা হবে। ইসরাইলের অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা বসতি স্থাপন প্রকল্পের বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখব এবং ভূখণ্ডে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ শক্তিশালী করব।’
এর ফলে বসতি স্থাপনে ছয় ধাপের যে প্রক্রিয়া ২৭ বছর ধরে অনুসরণ করে আসা হচ্ছিল, তা উপেক্ষা করা যাবে। অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোতরিচকে এই বসতি স্থাপন ত্বরান্বিত করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। পশ্চিম জেরুজালেম থেকে আলজাজিরার ইমরান খান বলেছেন, এভাবে বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইনের ব্যত্যয় হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। দখলকৃত পশ্চিম তীরে শুক্রবার ইসরাইলি সেনাদের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের শেল সেনাদের দিকে ছুড়ে মারেন এক ফিলিস্তিনি তরুণ। পশ্চিম তীর হয়তো শিগগিরই পুরোপুরি ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে বিভিন্ন মহল থেকে এমন আশঙ্কা জানানো হয়েছে। ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বসতি স্থাপনের এই কর্মকাণ্ড পশ্চিম তীরকে পুরোপুরি দখলের প্রক্রিয়া ভয়ংকর দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার পদক্ষেপ।