টাইমস ২৪ ডটনেট: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ৯টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ২০২২ সালে ৪ হাজার ৬২১ গ্রাহকের অনুকূলে ৮ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা সুদ মওকুফের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। জাতীয় পার্টির মশিউর রহমান রাঙ্গার এক প্রশ্নের জবাবে রোববার জাতীয় সংসদে তিনি এ কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত ও ৩টি বিশেষায়িত ব্যাংক ২০২২ সালে ৪ হাজার ৬২১ জন ঋণগ্রহীতার অনুকূলে ৮ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করেছে।মন্ত্রী আরও বলেন, ২০২২ সালে এসব ব্যাংকের ১ হাজার ৬২০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার সুদ মওকুফ কার্যকর করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ৬টি ব্যাংক হলো-অগ্রণী ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংক। বিশেষায়িত ৩টি ব্যাংক হলো-বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক। এম আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৭-২০২২ পর্যন্ত ৫ অর্থবছরে বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা মোট ১২১টি মানি লন্ডারিং (অর্থ পাচার) মামলা করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে গোয়েন্দা প্রতিবেদন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী সংস্থা (দুদক, সিআইডি, সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন, কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর) অনুসন্ধান ও তদন্ত কার্যক্রমসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়। গত ৫ অর্থবছরে বিএফআইইউ কর্তৃক গৃহীত ২৪ হাজার ৯৭৭টি সন্দেহজনক লেনদেন বা কার্যক্রম প্রতিবেদনের বিভিন্ন নির্দেশক ও পদ্ধতি ব্যবহার করে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়নের সংশ্লিষ্টতা বিবেচনায় ১ হাজার ২টি গোয়েন্দা প্রতিবেদন আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় পাঠানো হয়।’ মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর বন্ডের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অভিযোগের বিপরীতে ১৫টি মামলা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত রাজস্বের পরিমাণ ৩৬৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। হাবিবর রহমানের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি ২০২২-২৩ করবর্ষে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে দেশের ৫৪ লাখ করদাতা আয়কর রিটার্ন জমা দেননি।