টাইমস ২৪ ডটনেট, ঢাকা: এবার বাংলাদেশে নয়-মধ্য প্রাচ্যের দেশ আরব আমিরাতে একটি আসবাবপত্রের কারখানায় আগুনে পুড়ে তিন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তাদের সবার বাড়ি নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলায়। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন পাটোয়ারি মিডিয়াকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। অগ্নিকাণ্ডে মো. ইউছুফ নামে এক আসবাবপত্র ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। ইউছুফ গত ২৫ বছর ধরে আবুধাবিতে বসবাস করছিলেন। দুই বছর আগে তিনি স্বজন-বন্ধুদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে সারজায় আসবাবপত্র তৈরি ও বিক্রির ব্যবসা শুরু করেছিলেন। অগ্নিকাণ্ডে আরও মারা গেছেন দোকান কর্মচারী মো. রাসেল (৩২)। তার বাড়ি উপজেলার মতৈন গ্রামে। রাসেল আব্দুল ওয়াহাব ও শরীফা বেগম দম্পতির ছেলে। ওই কারখানায় বেড়াতে এসেছিলেন পলতি গ্রামের মীর আহাম্মদ ও পেয়ারা বেগম দম্পতির ছেলে মো. তারেক হোসেন। অগ্নিকাণ্ডে তারও মৃত্যু হয়।আবুধাবিতে বসবাস করেন ইউছুফের স্বজন আবুল বাশার ও আনোয়ার হোসেন। তারা মোবাইল ফোনে মৃত্যুর সংবাদ দেন।প্রতিদিনের মতো সোমবার রাতে দোকান বন্ধ করে তারা ভেতরে ঘুমিয়ে পড়েছিল। আবুধাবীর স্থানীয় সময় রাত ৩টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে দোকানে আগুনের সূত্রপাত হয়। ৩ জন পুড়ে মারা যায়।
অপরদিকে চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ে এক মা তাঁর এক শিশুসন্তানসহ তিনজন মারা গিয়েছেন। গত রবিবার ভোর ৫টার দিকে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার সৈয়দ পাড়ায় এ কাণ্ড। মারা গিয়েছেন,নূর নাহার বেগম (৩০), তার ছেলে মারুফ (১) ও প্রতিবেশী মো. ঈমাম উদ্দিন (২৩)। অগ্নিকাণ্ডে ফিরিয়া (৩) নামে আরও এক শিশু দগ্ধ হয়েছে। সে মৃত নূর নাহারের সন্তান। তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।তোতা মিয়া নামে এক ব্যক্তির বসতঘরে মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পুলিশ দু’টি বসতঘর থেকে চারজনকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। চট্টগ্রাম দমকল অফিস থেকে জানা যায়, বায়েজিদ থানার পূর্ব শহীদনগর এলাকার দেলোয়ার কোম্পানির বাড়িতে ভোর ৫টার দিকে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে ১ ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে ছয় জন মালিকের ৬টি টিনের বসতঘর পুড়ে গেছে।
এদিকে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার সুজাতপুর ইউনিয়নের ইকরাম বাজারে আগুনে ৯টি দোকান পুড়ে গেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এই আগুন লাগে। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দমকল অফিস জানায়- আগুনে ৪টি মুদি দোকান, ৩টি সেলুন, ১টি ইলেক্ট্রনিক্স ও ১টি ফার্মেসির সব মালামাল পুড়ে গেছে।