আন্তর্জাতিক ডেস্ক:বিদেশিদের সৌদি আরবে সম্পত্তি কেনার অনুমতি দিয়ে নতুন একটি আইনের পরিকল্পনা করছে দেশটির সরকার। নতুন এই আইন পাস হলে বিদেশিরা সৌদি আরবের যেকোনও এলাকায় সম্পত্তি কিনতে পারবেন। সোমবার সৌদি আরবের ইংরেজি দৈনিক সৌদি গ্যাজেটের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।সৌদি আরবের রিয়েল এস্টেট জেনারেল অথরিটির (আরইজিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আব্দুল্লাহ আলহাম্মাদ বলেছেন, বিদেশিদের সম্পত্তি কেনা সম্পর্কিত নতুন একটি আইন পর্যালোচনাধীন রয়েছে। এই আইনের আওতায় সৌদি নাগরিক নন, এমন বিদেশিরা মক্কা, মদিনাসহ সৌদি আরবের যেকোনও এলাকায় সম্পত্তি কিনতে পারবেন।নতুন এই আইনে বিদেশিরা আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায়ও সম্পত্তি কেনার সুযোগ পাবেন। আলহাম্মাদ বলেন, আইনটির প্রাথমিক খসড়ায় বিদেশিদের মক্কা এবং মদিনাসহ সৌদি আরবের সর্বত্রই সম্পত্তি কেনার অনুমতির বিধান রাখা হয়েছে।‘সম্পত্তির বিদেশি মালিকানা নিয়ে সম্ভাব্য সব নেতিবাচক প্রভাবের বিষয়েও আগাম পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে, যাতে পরবর্তীতে সেসব এড়ানো যায়।’দেশটির টেলিভিশন চ্যানেল রোতানা খালেজিয়া টেলিভিশনের আল-লিওয়ান অনুষ্ঠানে এসব তথ্য প্রকাশ করেছেন আলহাম্মাদ। সৌদি আরবের কিছু অংশে আবাসন ভবনের দাম গত দুই বছরে ৪৫ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। যা সম্ভাব্য অনেক ক্রেতার চাহিদা কমিয়ে দিয়েছে বলে মনে করা হয়।
আলহাম্মাদ বলেছেন, সৌদি আরবের সম্পত্তির উন্মুক্ত বাজার সরবরাহ এবং চাহিদা আইনের আওতাধীন রয়েছে। সম্পত্তির দাম বৃদ্ধি দেশটির রিয়েল এস্টেট খাতের জন্য ভালো নয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।ইউগভের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে করা নাইট ফ্রাঙ্কের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সম্পত্তির দাম বৃদ্ধির কারণে ২০২৩ সালে সৌদি আরবে বাড়ি কেনার চাহিদা কমে গেছে বলে দেশটির বাসিন্দারা মনে করেন। গত বছর সৌদি আরবে বাড়ি কেনার চাহিদা ৮৪ শতাংশ থাকলেও ২০২৩ সালে তা কমে ৪০ শতাংশ হয়েছে।
নাইট ফ্রাঙ্কের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক গবেষণা বিভাগের প্রধান ফয়সাল দুররানি বলেছেন, দাম দ্রুত বৃদ্ধির কারণে বাড়ি কেনার চাহিদা সন্দেহাতীতভাবে কমে গেছে। দেশটির রাজধানী রিয়াদে বাড়ির দাম গত দুই বছরে ৪৫ শতাংশ বেড়ে প্রতি বর্গমিটার ৫ হাজার সৌদি রিয়ালের বেশি হয়েছে।রিয়াদে বাড়ির এই দাম বৃদ্ধি গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত বছর রিয়াদে মোট বাড়ি বিক্রির সংখ্যা ৩৪ শতাংশ এবং জেদ্দায় ১৬ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছে দুররানি।
সূত্র: সৌদি গ্যাজেট, অ্যারাবিয়ান বিজনেস।