ইউক্রেনে পানিশূন্যতায় মারা যাচ্ছে শিশুরা

টাইমস ২৪ ডটনেট, ঢাকা: ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় অবরুদ্ধ শহর মারিউপোলে পানিশূন্যতায় মারা যাচ্ছে শিশুরা। রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর অনবরত গোলাবর্ষণে এই শহরে মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। মারিউপোল শহর একেবারে ধ্বংস করা হয়েছে। মানুষের বাঁচার অবলম্বন আর নেই সেখানে। খাবার, পানি ও ওষুধের তীব্র সংকটের মুখোমুখি হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, যুদ্ধবিরতি, রুশ সেনা প্রত্যাহার এবং ইউক্রেনের নিরাপত্তার গ্যারান্টির বিনিময়ে সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদ না চাওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে তিনি আলোচনা করতে প্রস্তুত। তিনি ন্যাটোর সদস্য হতে চান না। তিনি যুদ্ধবিরতি চান। তবে যুদ্ধ শুরুর পর পাল্টা প্রতিরোধে রাশিয়ার ১৫ হাজারের বেশি সৈন্যকে হত্যার দাবি করেছে ইউক্রেন। জেলেনস্কিকে হত্যা করতে রুশ ভাড়াটে যোদ্ধারা ইউক্রেনে রয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও ইউক্রেনে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিকল্পনা করছেন পুতিন এমন কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
জানা গেছে, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় অবরুদ্ধ শহর মারিউপোল থেকে কোনো রকমে জীবন নিয়ে পালিয়েছেন ভিক্টোরিয়া (২৭)। রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর অনবরত গোলাবর্ষণে এই শহরে যে মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে তার বর্ণনা দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, মারিউপোল শহর একেবারে ধ্বংস করা হয়েছে। মানুষের বাঁচার অবলম্বন আর সেখানে নেই। খাবার, পানি ও ওষুধের তীব্র সংকটের মুখোমুখি হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ।
বিবিসি রেডিও ফাইভ লাইভকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভিক্টোরিয়া আরো বলেছেন, তিনি মারিউপোল থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরের একটি গ্রামে পালিয়েছেন। মারিউপোলে পরিবারের সদস্যদের ফেলে রেখে এসেছেন তিনি। ভিক্টোরিয়া বলেছেন, আমার শহর একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনি রাশিয়ার প্রত্যেকদিন গোলাবর্ষণের শব্দ শোনার কথা যখন বলছিলেন, তখন তার কণ্ঠ কাঁপছিল। মানুষ ভবনের বেইজমেন্টে অবস্থান করছে, তবে সেটি আর নিরাপদ নেই। তারা বোমা বর্ষণ করায় শক্ত বেইজমেন্টও ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, অনেক মানুষের কাছে খাবার এবং পানিও নেই। আমার পরিচিত তিনজন শিশু পানিশূন্যতায় মারা গেছে। এটি একবিংশ শতাব্দি, আমার শহরে শিশুরা পানিশূন্যতায় মারা যাচ্ছে। তারা এখন ক্ষুধার্ত। ভিক্টোরিয়া বলেন, পরিবারের অন্য সদস্যদের মারিউপোল ছেড়ে যেতে সাহায্য করতে পারেননি তিনি। তবে তাদের এই শহর থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। আমি ইউক্রেনেই অবস্থান করবো। মারিউপোলে আমার পরিবারকে রক্ষার চেষ্টা করবো। মারিউপোল আমার জীবন। আমি বুঝতে পারছি না কেন, আমি রাশিয়ার কারণে আমার শহর, আমার দেশ ছেড়ে যাব।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেনের কয়েকটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে গোলাবারুদ ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর মারিউপোলে হামলার তীব্রতা বাড়ানোর পাশাপাশি কর্তৃপক্ষকে গত সোমবার আত্মসমর্পণের চূড়ান্ত আল্টিমেটামও দিয়েছিল রাশিয়া। কিন্তু মারিউপোলের শহর কর্তৃপক্ষ আত্মসমর্পণের আল্টিমেটাম প্রত্যাহার করে পাল্টা প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। রুশ সৈন্যদের টানা গোলাবর্ষণে শহরটিতে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি ঘটেছে। গত কয়েক দিনে মারিউপোলের রাস্তায় রাস্তায় বেসামরিক মানুষের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
সূত্র জানায়, রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে ২৭ দিনের মতো যুদ্ধ করছে ইউক্রেনের সেনারা। এই যুদ্ধের মধ্যেই প্রথমবার বন্দি বিনিময় করেছে দেশ দুটি। গতকাল মঙ্গলবার রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা তাসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। রাশিয়ার মানবাধিকার কমিশনার তাতিয়ানা মোসকালকোভা বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন প্রথমবার যুদ্ধ বন্দিদের বিনিময় করেছে। ৯ জন রুশ সেনাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাতিয়ানা মোসকালকোভা বলেন, ইউক্রেনের মেলিতপোল শহরের মেয়রকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর তাকে ছেড়ে দিয়েছে রুশ বাহিনী। মেয়রের বিনিময় রুশ ৯ সেনাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এদিকে ইউক্রেনে অবস্থানরত রুশ সেনাদের কাছে আর মাত্র তিন দিনের খাবার ও গোলাবারুদ অবশিষ্ট আছে। মঙ্গলবার এমন দাবি করা হয়েছে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত তথ্য প্রকাশ করছে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল মঙ্গলবার তারা জানায়, ইউক্রেনে টিকে থাকার মতো আর মাত্র তিন দিনের খাবার ও গোলাবারুদ আছে রুশ সেনাদের কাছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগের মতোই ফুয়েল বা জ্বালানির সমস্যায় আছে রুশ সেনারা। তারা গাড়িতে করে তেলের ট্যাংকার নিয়ে এসে এ সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চালায়। কিন্তু রাশিয়ার ট্যাংকারগুলো দুর্বল হওয়ায় সেনাদের কাছে জ্বালানি পৌঁছাতে পারেনি। বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, রাশিয়া খুব সম্ভবত ইউক্রেনে প্রচুর পরিমাণ সৈন্য ও সামরিক সরঞ্জাম হারিয়েছে। এরকম চলতে থাকলে ইতিহাসের পাতায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অন্যতম রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হিসেবে জায়গা করে নিতে পারে। এদিকে সম্মুখ যুদ্ধে ইউক্রেনের সঙ্গে টক্কর দিতে ব্যর্থ হওয়ার পর ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া। তাদের এসব হামলায় ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে, টানা প্রায় একমাস ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে রাশিয়া। জল, স্থল ও আকাশপথে চালানো রুশ সেনাদের জোরদার হামলায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটি। অবশ্য যুদ্ধ বন্ধে মস্কো-কিয়েভ আলোচনা অব্যাহত রাখলেও এখন পর্যন্ত ইতিবাচক কোনো ফল আসেনি। এই পরিস্থিতিতে গত সোমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, যুদ্ধবিরতি, রুশ সেনা প্রত্যাহার এবং ইউক্রেনের নিরাপত্তার গ্যারান্টির বিনিময়ে সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদ না চাওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে তিনি আলোচনা করতে প্রস্তুত। গতকাল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
গত সোমবার রাতে ইউক্রেনীয় টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, এটি সবার জন্য একটি আপস: কারণ পশ্চিমা দেশগুলো জানে না তারা ন্যাটোর বিষয়ে আমাদের সাথে কী করবে, ইউক্রেন নিরাপত্তার গ্যারান্টি চায় এবং রাশিয়াও চায় না (পূর্ব ইউরোপে) ন্যাটোর আরও সম্প্রসারণ হোক। জেলেনস্কি আরো বলেছেন, যুদ্ধবিরতি হলে এবং নিরাপত্তার গ্যারান্টি প্রদানের প্রক্রিয়া সামনের দিকে এগিয়ে গেলে ক্রিমিয়া এবং রাশিয়ার-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখলে থাকা পূর্ব ডনবাস অঞ্চল নিয়ে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত কিয়েভ।
গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন’কে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছিলেন, তিনি বিশ্বাস করেন রাশিয়ার আগ্রাসনের সমাপ্তি আলোচনায় ব্যর্থ হওয়া মানে ‘তৃতীয় একটি বিশ্বযুদ্ধ’ বেঁধে যাওয়া। জেলেনস্কির বলেন, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে সরাসরি আলোচনা করতে প্রস্তুত। আলোচনাই যুদ্ধ বন্ধ করার একমাত্র উপায়।
এদিকে, যুদ্ধ শুরুর পর পাল্টা প্রতিরোধে রাশিয়ার ১৫ হাজারের বেশি সৈন্যকে হত্যার দাবি করেছে ইউক্রেন। গতকাল মঙ্গলবার ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে রাশিয়ার সৈন্যদের হত্যার এই দাবি করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত সৈন্যদের প্রাণহানি ছাড়াও রুশ সামরিক বাহিনীর ৫০৯টি ট্যাংক, এক হাজার ৫৫৬টি সাঁজোয়া যুদ্ধ যান ও ২৫২টি কামান ব্যবস্থাপনাও ধ্বংস করা হয়েছে। ইউক্রেনের এই দাবি নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। তবে গত ২ মার্চ একবার পরিসংখ্যান প্রকাশ করে রাশিয়া বলছে, ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে যাওয়া রুশ সামরিক বাহিনীর ৪৯৮ সদস্য নিহত হয়েছে। যদিও সম্প্রতি ইউক্রেন সংঘাতে রাশিয়ার প্রায় ৭ হাজার সৈন্য নিহত হয়েছে বলে ধারণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
অপরদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও তার প্রধান সহযোগীদের হত্যা করতে রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদের এলিট একটি গ্রুপ আবারো দেশটিতে ঢুকেছে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে গত সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট। গত রোববার সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘনিষ্ঠ একজন রুশ প্রোপাগান্ডাকারী এবং (ওয়াগনারের) মালিক ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের সাথে যুক্ত যোদ্ধাদের আরেকটি দল আজ ইউক্রেনে আসতে শুরু করেছে। ইউক্রেনের রাজনৈতিক ও সামরিক বাহিনীর শীর্ষ নেতাদের হত্যা করাই তাদের প্রধান কাজ। ৪৪ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বরাবরই দাবি করে আসছেন যে, তিনি রাশিয়ার এক নাম্বার টার্গেট এবং তার পরিবার দুই নাম্বারে। এছাড়া চলতি মাসের শুরুতে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের অন্যতম প্রধান একজন উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন যে, এক ডজনেরও বেশিবার হত্যাচেষ্টার হাত থেকে বেঁচে গেছেন জেলেনস্কি। নিউইয়র্ক পোস্ট বলছে, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে হত্যায় আগের কিছু প্রচেষ্টার সঙ্গে ‘ওয়াগনার’ যুক্ত ছিল। রুশ প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ক্রেমলিন-সমর্থিত প্রাইভেট আধা-সামরিক এই বাহিনীটি সারা বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ কিছু নৃশংসতার জন্য অভিযুক্ত। একইসঙ্গে এটি ‘পুতিনের শেফ’ নামে পরিচিত একজন অলিগার্কের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
এদিকে, রাশিয়ার সৈন্যরা নির্বিচারে গোলাবর্ষণ করতে পারে বলে জনসাধারণকে সতর্ক করে দিয়েছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সবচেয়ে শক্তিশালী সতর্কতা উচ্চারণ করে বলেছেন, ইউক্রেনে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের চিন্তা-ভাবনা করছে রাশিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের গণহত্যার সময় বেঁচে যাওয়া ৯৬ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার অবিরাম গোলাবর্ষণে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সোমবার খারকিভে নিজ ফ্লাটে রাশিয়ার গোলার আঘাতে তিনি মারা যান। প্রায় চার সপ্তাহ ধরে আগ্রাসন চললেও রাশিয়ার সৈন্যরা এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের বড় কোনো শহরের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি। দেশটিতে রুশ সৈন্যদের অভিযান প্রায় সব দিক থেকে থমকে গেছে। তবে দেশটির আবাসিক বিভিন্ন জেলা কামানের গোলা, ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমান হামলার মাধ্যমে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রুশ বাহিনী বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো ও স্থাপনা লক্ষ্য করে উচ্চ-ক্ষমতা সম্পন্ন নির্ভুল নিশানার অস্ত্র এবং নির্বিচারে গোলাবারুদ নিক্ষেপ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেনের কাছে রাসায়নিক অথবা জৈব অস্ত্র থাকতে পারে বলে ধারণা করছে তারা। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এসব অভিযোগ নিছক মিথ্যা নয়, বরং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজেই এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের পরিকল্পনা করছেন। আর এই অভিযোগ তারই লক্ষণ। এখন তিনি নতুন মিথ্যা অভিযোগ করছেন। জোর দিয়ে বলা হচ্ছে, ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের জৈব এবং রাসায়নিক অস্ত্র রয়েছে। যা একেবারে সত্য নয়। বাইডেন বলেছেন, ইউক্রেনেরও জৈব ও রাসায়নিক অস্ত্র রয়েছে বলে রাশিয়া অভিযোগ করছে। প্রেসিডেন্ট পুতিন যে এই দু’টি অস্ত্র ব্যবহার করার বিষয়ে বিবেচনা করছেন, এটি তার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপীয় কোনো রাষ্ট্রে সবচেয়ে বড় আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া। পুতিন ‘ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ’ এবং ‘নাৎসিদের’ হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। পশ্চিমারা বিনা উসকানি এবং মিথ্যা অজুহাতে ইউক্রেনে রাশিয়া আগ্রাসী যুদ্ধ শুরু করেছে বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।