জুবিলী ব্যাংকের অবসায়ক বিচারপতি মানিক

টাইমস২৪ ডটনেট: কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার জুবিলী ব্যাংকের অফিসিয়াল লিকুইডিটর (অবসায়ক) হিসাবে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে নিয়োগ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ ব্যাংকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার আদেশের লিখিত অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে।
আদেশে আদালত আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীকে ‘দ্যা অফিসিয়াল লিকুইডিটর’ হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন। এ ছাড়া সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ফারিয়া হককে অতিরিক্ত লিকুইডিটর হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে একটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। নয় মাসের মধ্যে তাদের এ ব্যাংকের বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে সব কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
১৯১৩ সালের ১৫ এপ্রিল কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার জানিপুরে ‘খোকসা জানিপুর জুবিলী ব্যাংক লিমিটেড’ নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৪ সালের ২৬ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত হয়ে ব্যাংকটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবসা শুরু করে।এ ব্যাংকটি ১৯৮৭ সালের ২৬ জানুয়ারি নাম পরিবর্তন করে হয় ‘জুবিলী ব্যাংক লিমিটেড’ (তফসিলি পাঁচটি ব্যাংক)। বিভিন্ন সময় ধরে বঙ্গবন্ধুর কয়েক খুনি জুবিলী ব্যাংকের মালিকানায় ছিলেন। গত কয়েক বছরে ব্যাংকটি নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। এ পরিস্থিতে বাংলাদেশ ব্যাংক এ ব্যাংকটির অবসায়নে হাইকোর্টে আবেদন করে।
আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তানজীব-উল আলম, কাজী এরশাদুল আলম। অবসায়কের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল ওহাব এবং যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন একেএম বদরুদ্দোজা।বৃহস্পতিবার আইনজীবী কাজী এরশাদুল আলম জানান, মূলধনের বিষয়ে ব্যাংক কোম্পানি আইনের বিধান মানা হয়নি। এ কারণে অবসায়ন চেয়ে আবেদন করেছে।আদালতের আদেশে বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করছেন।