এস এম হুমায়ুন কবির, টাইমস ২৪ ডটনেট, কক্সবাজার থেকে: কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়ায় শাহিনুর রহমান শাহিনের গাড়িতে সন্ত্রাসীদের উপর্যুপরী গুলি বর্ষণ।।অল্পের জন্য শাহিন প্রাণে বেঁচে গেলেও প্রাণ গেল নিরীহ যুবকের।।জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তাৎক্ষণিক জরুরী সংবাদ সম্মেলন করেছে শাহিনুর রহমান।। পুলিশ এবং বিজিবি ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেছেন। রবিবার সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিটে শাহিনুর রহমান তার এক বন্ধু নাইক্ষ্যংছড়ির যুবক ইরফান কে সাথে নিয়ে বাইক যোগে ছাগলখাইয়া রাবার বাগানের প্রাকৃতিক সুন্দর্য্য উপভোগ করার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।পথিমধ্যে মাঝির কাটা মিজ্জিবর কাটা মুচগাছ তলা নামক স্হানে পৌছলে পূর্ব থেকে উৎপাতে থাকা ১১/১২ জনের স্ব সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা শাহিনুর রহমানের গাড়ি লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো ভারী অস্ত্রের গুলি বর্ষণ শুরু করেন। প্রায় মিনিট খানেক সময় একের পর এক শাহিন এর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েন সন্ত্রাসীরা।এ সময় শাহিনুর রহমানের সাথে থাকা যুবক ইরফান (২২) সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রাণ হারান।নিহত ইরফান নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাস স্টেশন এলাকার শফি উল্লাহ প্রকাশ পুতুর সন্তান বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় শাহিনের রহমান তাৎক্ষণিক জরুরী সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের জানান,সকালে তার বন্ধু ইরফান কে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে ছাগলখাইয়া রাবার বাগান দেখার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। পথিমধ্যে সন্ত্রাসীদের আক্রমনের কবলে পড়েন তারা।সন্ত্রাসীদের গুলিতে শাহিনের সাথে থাকা ইরফান মারা গেছে।ভাগ্যক্রমে শাহিনের রহমান বেঁচে যান।তবে শাহিনুর রহমান সাংবাদিকদের জানান,তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে শাহিন তার জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জোর দাবী জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় গর্জনিয়া ইউনিয়নের পুরো মাঝির কাটা এলাকার চরম উদ্বেগ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।স্হানীয় ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন ও সেচ প্রকল্পের ম্যানেজার নুরুল আমিন সন্ত্রাসীদের ন্যাক্কারজনক ঘটনার চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে শাহিনুর রহমান সহ এলাকাবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত কল্পে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের জোর দাবী জানান।
এদিকে ঘটনা সংঘটিত হওয়ার সাথে সাথে রামুর গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মাসুদ রানা এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম এবং নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির ছাগলখাইয়া বিওপি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঘটনার আলামত সংগ্রহ করেন।
সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ইরফান কে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ ইরফান কে মৃত ঘোষনা করেন। নিহত ইরফানের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরীর লক্ষ্যে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ইরফান নিহত হওয়ার খবরে পরিবার ও গোটা এলাকাজুড়ে শোকের মাতম চলছে।