আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেন সীমান্ত-লাগোয়া রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হয়েছে। ইউক্রেন থেকে সীমান্ত পেরিয়ে রাশিয়ায় ঢুকে পড়া এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুশ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের লড়াই চলছে। ব্রায়ানস্কে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত একজন নিহত ও এক শিশু আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় ব্রায়ানস্কে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় লড়াই করছে রাশিয়া। ইউক্রেনীয় নাশকতাকারী গোষ্ঠীর সদস্যরা বেসামরিক রুশ নাগরিকদের ওপর গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এই সন্ত্রাসীদের গুঁড়িয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন তিনি। তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা উসকানির ঘটনা মঞ্চস্থ করার অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। রাশিয়ার সরকারবিরোধীরা কিছু হামলার ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে ইউক্রেন।
এক বছর আগে বিশেষ সামরিক অভিযানের নামে মস্কোর ইউক্রেন আক্রমণ শুরুর পর থেকে তীব্র গোলাবর্ষণ আর বিক্ষিপ্ত নাশকতার মাঝে রাশিয়ার সীমান্ত অঞ্চলগুলো ক্রমান্বয়ে অস্থির হয়ে উঠেছে।
বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে পুতিন সীমান্ত পেরিয়ে রাশিয়ায় ঢুকে পড়া নাশকতাকারী গোষ্ঠীর সদস্যরা শিশুসহ বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। ব্রায়ানস্কের গভর্নর আলেকজান্ডার বোগোমাজ বলেছেন, ইউক্রেনীয়রা গুলি চালিয়ে একজনকে হত্যা এবং এক শিশুকে আহত করেছে।
পুতিন বলেছেন, তারা কিছুই অর্জন করতে পারবে না। আমরা তাদের গুঁড়িয়ে দেব। আক্রমণকারী ওই গোষ্ঠী এমন লোকজনদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে যারা রাশিয়ার ইতিহাস এবং ভাষা কেড়ে নিতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া দু’টি ভিডিওতে দেখা যায়, সশস্ত্র ব্যক্তিরা নিজেদেরকে রাশিয়ার স্বেচ্ছাসেবী বাহিনীর সদস্য বলে দাবি করছেন। ভিডিওতে তাদের বলতে শোনা যায়, তারা রক্তাক্ত পুতিনীয় রাষ্ট্র এবং ক্রেমলিনের শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সীমান্ত অতিক্রম করেছেন।
নিজেদেরকে রুশ ‘মুক্তিদাতা’ অভিহিত করে সশস্ত্র ব্যক্তিরা রাশিয়ার নাগরিকদেরকে অস্ত্র হাতে নিয়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলি চালাননি বলেও দাবি করেছেন।
তবে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে এই ভিডিওর সত্যতা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করতে পারেনি বলে জানিয়েছে।
এদিকে, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, এই হামলার পেছনে কারা জড়িত তা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো জানাবে। রুশ নিরাপত্তা প্রধানরা ব্রায়ানস্কের পরিস্থিতি সম্পর্কে পুতিনকে জানিয়েছেন।
সূত্র: রয়টার্স ও ঢাকা পোষ্ট।