আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গত বছর ডিসেম্বরে যাবতীয় করোনা বিধিনিষেধ শিথিল করার পর থেকে পুরোদমে শিল্পোৎপাদন শুরু হয়েছে চীন; আর তার প্রভাবেই আন্তর্জাতিক বাজারে ফের বাড়ছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। মঙ্গলবার অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দুই ব্র্যান্ড ব্রেন্ট ক্রুড এবং ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই)— উভয়েরই দাম বেড়েছে। জ্বালানি তেলের বাজার পর্যবেক্ষণকারী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এই দিন প্রতি ব্যারেল (১৫৯ লিটার) ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৪৬ সেন্ট বা দশমিক ৪৬ ডলার বেড়ে হয়েছে ৮৪ দশমিক ৩৭ ডলার এবং ডব্লিউটিএ’র দাম প্রতি ব্যারেলে ৪২ সেন্ট বা দশমিক ৪২ ডলার বেড়ে হয়েছে ৭৭ দশমিক ৮৯ ডলার। শতকরা হিসেবে ব্রেন্ট ক্রুড ও ডব্লিউটিআই— উভয় তেলের দাম মঙ্গলবার ব্যারেলপ্রতি বেড়েছে দশমিক ৬ শতাংশ। ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর পর প্রথম কয়েক মাস আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দামে উল্লম্ফণ দেখা দিলেও জুন থেকে এই ধারা থেমে যায়, শুরু হয় মন্দাভাব। তারপর প্রায় দু-বছর পর্যন্ত এই মন্দাভাব অব্যাহত ছিল। জ্বালানি তেলের বাজার বিশ্লেষণকারী বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের মতে, করোনা মহামারি ঠেকাতে প্রায় তিন বছর ধরে কঠোর করোনাবিধি জারি রাখায় শিল্পোৎপাদন ব্যাপকহারে হ্রাস পেয়েছিল চীনে। ফলে কমে গিয়েছিল তেলের চাহিদাও। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বড় এই ক্রেতাদেশ তেল কেনা কমিয়ে দেওয়ার কারণেই দীর্ঘদিন ধরে মন্দাভাব ছিল বাজারে। তবে গত ডিসেম্বরে করোনার যাবতীয় বিধিনিষেধ শিথিলের পর থেকে ফের শিল্পোৎপাদন শুরু হয়েছে দেশটিতে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তেলের চাহিদাও। আন্তর্জাতিক বাজার বিশ্লেষকদের ধারণা, সামনের দিনগুলোতে তেলের দাম আরও বাড়বে। জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার বিশ্লেষক সংস্থা আইজির গবেষক ইয়িপ জুন রং বলেন, ‘আমরা যতটা আশা করেছিলাম, তার চেয়েও দ্রুতগতিতে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে বাজার। বড় কোনো বৈশ্বিক বিপর্যয় না ঘটলে সামনের দিনগুলোতে বাজার আরও চাঙ্গা হবে।’