আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের ওপর নতুন করে আবারও বড় হামলা চালানো শুরু করেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জাপোরিঝিয়া শহরে এক ঘণ্টার মধ্যে ১৭টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রুশ সেনারা। গত বছর কথিত সামরিক অভিযান শুরুর পর এটিই জাপোরিঝিয়ায় একদিনে সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা।এছাড়া খারকিভেও শুক্রবার ভোরে হামলা চালিয়েছে রুশ সেনারা। এরপরই পুরো ইউক্রেনে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সেনা কর্মকর্তারা।
কিয়েভ শহরের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সের্হি পোপকো এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বড় হুমকি রয়েছে। আমি আবারও বলছি- কেউ সতর্কতা উপেক্ষা করবেন না।’প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা অ্যান্টন গেরাশেঙ্কো বলেছেন, ‘রাশিয়ার বড় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি রয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান।’
এদিকে জাপোরিঝিয়ার স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।রাশিয়ার নতুন হামলার ব্যাপারে শুক্রবার ইউক্রেনের বিমানবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘শত্রুরা গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও শহরে হামলা চালিয়েছে।’ বিমানবাহিনী আরও জানিয়েছে, আজভ সাগর থেকে ইরানের তৈরী সাতটি কামিকাজে ড্রোন এবং কৃষ্ণ সাগর থেকে ছয়টি কালিবার ক্রুস ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে রুশ সেনারা।
ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনী দাবি করেছে, তারা পাঁচটি ড্রোন এবং পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সমর্থ হয়েছে।
অপরদিকে জাপোরিঝিয়া এবং খারকিভে রাশিয়া ৩৫টিরও বেশি বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
রুশ সেনারা মূলত এখন পূর্ব দিকের ডনবাসের দোনেৎস্ক এবং লুহানস্কের পুরো নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য হামলা চালানো শুরু করেছে।
লুহানস্কের গভর্নর সের্হি হাইদে এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, ক্রেমিন্না শহরে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ভেদ করার চেষ্টা করছে রুশ সেনারা। এ কারণে হামলার তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে তারা।
এরমধ্যে শুক্রবার যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ডনবাসের বাখমুত ও ভুহলেদার শহরেও সাফল্য পেয়েছে রুশ বাহিনী। বিশেষ করে ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ বাখমুতে ইউক্রেনের প্রতিরোধ ভেদ করে ৩-৪ কিলোমিটার সামনে অগ্রসর হয়েছে। তবে ব্রিটিশ গোয়েন্দারা জানিয়েছে, ভুহলেদারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির স্বীকার হয়েছে রুশ বাহিনী। কারণ সেখানে তুলনামূলক কম দক্ষতাসম্পন্নদের পাঠানো হয়েছিল।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।