মা মেয়ের গৃহকর্মী খুন করার প্রতিক্রিয়ায় এক মা লিখলেন পেটের ছেলের কাছে

সৈয়দা রাশিদা বারী: মা-মেয়ের গৃহ কর্মী খুন করার প্রতিক্রিয়ায়, এক সাহিত্য সংস্কৃতি সেবক মা, যা লিখলেন পেটের ছেলের কাছে; আব্বা আমাকে তাড়িয়ে দিচ্ছো কেন? কতদিন ধরে ২০২৩-২৪ সেই ঈদের আগে থেকে আমি তো আমার রান্না করেই খায়? তোমার বউ শালী শাশুড়ির কষ্ট দিই না? আমার অন্য কোন কাজ, অন্য কোন সহযোগিতা, ওরা করে কখনো দেয়ও না। নিজে রান্না করে খাওয়ার আগেও না পরেও না। ওর মা বোনের ওর আত্মীয়-স্বজনের তুমি কত কিছু দাও। আমি তোমাকে সেভাবেই মানুষ করেছিলাম। বেয়াদবি করা আমি শিখায়নি আব্বা তোমাকে। তাই ওদের সবার দেখো দাও এবং কখনোই ওদের কারো সাথে বেয়াদবি করো না এতে আমি খুশি। কিন্তু ওদের তরফ থেকে, কোন আত্মীয়-স্বজন থেকে, আমাকে কোনদিন কিছু দেয়নি! বিয়ে করেছিলে সেই বাড়িটাও আমাকে দেখায় নাই! তোমার একটাই মাত্র ভাই তাকেও দেখায় নাই! তুমি নিজের থেকেও দেখাও নাই?! বড় ভাইয়ের আগে বিয়ে করলে, আবার বাড়িটাও দেখালে না?! তুমি এমন কি করে হলে আব্বা? তারপরও আমি কোনদিন এই আফসোস ব্যক্ত করি নাই! কত ধৈর্যশীলতার প্রমাণ দিতে পেরেছি! আল্লাহই এই ধৈর্য দিয়েছেন তাই আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ এর জন্য আমি। আচ্ছা আব্বা আমাকে তাড়িয়ে কেন দিচ্ছো? মনে আছে একদিন বলেছিলে ওরা তোমাকে বলেছে, তোমার থেকে আমাকে বের করে দিলে, আমাকে তাড়িয়ে দিলে, ওরা তোমাকে অনেক কিছু দিতে চাইছে!!! এইটা ওরা তোমাকেই বলে কিভাবে? আর তুমিই আমাকে বলেছিলে কিভাবে? ব্যস্ততাই কাজের জন্য প্রশ্ন রাখতে পারি নাই ওই সময়! আর আমি প্রশ্ন রেখে কিছু জানতে চাইলে, তুমি ব্ল্যাকমেইল করো কাজ না করার! তাই আমি কিছু প্রশ্ন না করে না জেনে কাজটা করি তোমার হাতের থেকে যতটুকু পারি কাজ উদ্ধার করতে। আমি প্রশ্ন করলে এবং কিছু জানতে চাইলে তুমি যে এক ঘন্টা সময় দাও, অফিস থেকে ফিরিয়ে রাখতে, সেটাও না দিয়ে চলে যাও। এই জন্য প্রশ্ন করি নাই জবাব দেয় নাই। চাই নাই জানতে। চিন্তা করেছি শুধু! সিরিয়াস এখন হয়েছো তাই সেই জবাব এখন চাচ্ছি? তোমার কষ্ট অর্জিত টাকাই ভাড়া বাসাটা আমিই পছন্দ করে ভাড়া করেছিলাম। এর পূর্বে তোমার লেখাপড়া মাস্টার্স শেষ হওয়ার আগেই ঢাকাতে বাসা ভাড়া নিয়ে আমি আমার সাহিত্যের কাজে, পত্রিকা প্রকাশের কাজে, সেটেল হয়েছিলাম বড়র সাথে নিয়ে। পরে তোমাকে নিয়ে এসেছি। তখন আমাকে এবং আমার কর্ম প্রয়োজনকে বুঝতে। আমার জিনিসের একটা স্থান লাগবে সম্মানের সাথেই সেটা দিতে। আমার কাজের সম্মান করতে। গুরুত্ব দিতে। চাকুরী দিলাম কত ভালোই ছেলে আমার তুমি। মনে করেছিলাম চাকুরী পাইছো এখন আমি আরো ভালো থাকবো। কিন্তু হলো না আমার মনের চাওয়া পাওয়া মিথ্যা হলো। চাকরি পেয়ে বিয়ে করার পরে এমন উল্টো হলে আববা?! আমার প্রয়োজনটা আর বোঝনা কেন এখন?? আমি তো শুধু পেটের দায়ে দায়ী আমি না আব্বা! একজন সাহিত্যিক নারী আর একজন সাধারন নারী এক নয়। তোমার শাশুড়ির সাধারণ নারীর সাথে আমাকে তুলনা কেন করছ? তার আসনে কেন আমাকে বসাতে চাইছো?? তোমার মূর্খ অকর্মা শাশুড়ি এবং স্ত্রীর সাথে তাল মিলিয়ে?! যদি আমি সাহিত্যিক না হয়ে শুধুই নারী হতাম তোমার শাশুড়ি স্ত্রী এবং শালীর মতো? তাহলে এটা মানাতো। সমাজের একজন নারী তো, কলাগাছ এবং ডাবের খোসা। ওয়ান টাইম ব্যবহার করার জন্য। শুধু সন্তানের জন্ম দেওয়া এবং তাকে লালন পালন করা এটাই তো সমাজে নারীর কাজ। কলা পেতে গেলে কলা গাছের প্রয়োজন থাকে না তাই কেটে দেওয়া হয়। কেটে দেওয়ায় মঙ্গল আসল গাছ এবং প্রজন্ম গাছের। ডাবের পানি খাওয়া হয়ে গেলে সেটা ছুঁড়ে ফেলায় ভালো কাজ। শুধু সন্তান দেয় সেই নারীর একটাই দায়িত্ব তার সন্তানের উপর থাকে। বাইরের কারো প্রতি কোন দায়িত্ব থাকে না। তাই সেই কাতারে সাধারণ নারীকে ফেলানো সঠিক, আমাকে ফেলাও কি করে??!! আচ্ছা
আব্বা বাসায় তোমার কাছে বউয়ের মা, শাশুড়িকে রেখে, আমাকে তাড়িয়ে কেন দিচ্ছো? তোমার স্ত্রীর মা, বউ এর মা, তোমাকে জন্ম দিয়ে মানুষ করে চাকরিটা বুঝি দিয়েছিল? নাকি তোমার নামে সেই এমন সব কিছু লিখে দিয়ে, তোমাকে সে কিনে নিয়েছে??? কার কাছ থেকে কিনে নিয়েছে? আল্লাহর কাছ থেকে? না আমার কাছ থেকে? কারণ তুমি তো আল্লাহর সম্পাদ। আল্লাহ আমার দিয়েছিল। তোমাকে কিনে নিতে হলেও আল্লাহর অথবা আমার কাছ থেকে কিনে নিতে হবে?! বিয়ে করতেও আল্লাহর এবং আমার এবং তোমার একমাত্র বড় ভাইয়ের পারমিশন নেওয়ার প্রয়োজন ছিলো, সেটা নেও নাই! শাশুড়ির পারমিশন নিয়ে, সাথে নিয়ে, শাশুড়ির মেয়েদের সাথে, শাশুড়ির আত্মীয়-স্বজনের সাথে পরামর্শ করে, বিয়ে করার এই কাজটা করেছো! আবার এখন আমাকে তাড়িয়ে দিচ্ছো, ওই মহিলার পাতা ফাঁদে আটকিয়ে!! আমার কাছে বাসায়ও এনেছো ওই মহিলার পরামর্শে ওই মহিলার ইচ্ছায়। আমার কাছে জানতেও চাও নাই! মানুষ বিয়ে করে শুধু স্ত্রীর নিয়ে আসে। তুমি নিয়ে এসেছো শাশুড়ি এবং স্ত্রী দুজনকে! ওই মহিলার ভালো লাগায় যেন তোমার ধর্ম কর্ম। ভালো আমি কোন বাধা দেই নাই। তোমার দ্বারা কারো উপকার হচ্ছে সেটাকে আমি ভালো মনেই গ্রহণ করেছি। এখন আবার আমাকে তাড়িয়ে দিচ্ছো ঐ মহিলার পরামর্শ এবং ওই মহিলার মেয়ের শান্তি দেওয়ার জন্য। ওই মহিলায় কি তোমার জন্ম দিয়ে মানুষ করে চাকরি দিয়েছে? যে জন্ম দিয়েছে তোমার দায়িত্ব তার প্রতি না ওই মহিলার প্রতি? ওই মহিলা তোমার নামে কয় বিঘা জমি দিয়েছে? যেটার মূল্য আমার জন্মদিয়ার থেকে, মানুষ করে গড়ার থেকে, চাকরি দেয়ার থেকেও বেশি মূল্য? সেটা আমাকে দেখাবে। মায়ের অধিকার আছে সন্তানের অর্জন দেখার। তাইতো সন্তানকে বিয়ে দিতে, সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য, সার্বিক কল্যাণ চিন্তা করে, পুত্রের জন্য কন্যার নির্বাচন এবং কন্যার বাবা মায়ের কাছে যৌতুক নির্বাচন মা বাবায় করে। এটা প্রচলিত নিয়ম আজও আছে। বউকে যে জন্ম দিয়েছে তার প্রতি দায়িত্ব পালনের নিয়ম নাই আজও কোন আইনে। উনার সাথে পরামর্শ করে ওই মহিলার সুখ দেয়ার জন্য, আমাকে তুমি তাড়িয়ে দিচ্ছো! আমি যখনই এখানে বসবাসের মত একটু সেটেল করে নিলাম, পয়সা খরচ করে মানুষ দিয়ে। এবং ফ্রিজ সমস্যা গো সালাম। আমার ঘরেও ঠিক করে নিলাম, দড়ি টানিয়ে কাপড় নারার ও ইত্যাদি। ওই নষ্ট বুদ্ধির টিকটিক্যাল বিধবা মহিলা অনুভব করে দেখে, আমি ভালই থাকতে পারবো। আর শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা ওর হাতে বেশি থাকলো না। যে শাস্তি দিচ্ছিল আর পারবে না সেই শাস্তি দিতে! শয়তানিতে শ্রেষ্ঠ মহিলা এইবার বুদ্ধি পাকালো যত তাড়াতাড়ি আমাকে তাড়িয়ে দেওয়া যায়! বস করে নেওয়া জামাই দিয়ে জামাইয়ের মাকে সরিয়ে দেওয়া যায়?! তারপরে শয়তান মহিলা, মহিলার মেয়ের সাথে ফন্দি করে, তোমাকে আমার বাসা থেকে নামিয়ে দেবার পরামর্শ দিল, আর তুমি এক পায়ে খাড়া হয়ে গেলে, আমার অনুমতি না নিয়ে??? মহিলা দেখল যে কাজের মহিলা রাখলেও কাজের মহিলা মনিব মহিলাকে জবাই করে দিয়ে যায়! অলস মস্তিষ্ক শয়তানের আড্ডাখানা!! বসে থাকা নারী দুজন তোমার শাশুড়ি এবং স্ত্রী বুদ্ধি পাকালো আমাকে শেষ করার এটাই সুযোগ!! এই পলিটিক্সে আমাকে সরিয়ে দেওয়ার বুদ্ধি তোমাকে তোমার মাথায় ঢুকিয়ে দিলো!! আমার কারণেই আমার নাম ভাঙ্গাইয়া আমার মানুষের কাছ থেকে দোকান কিনেছিলে! আমার ছেলে না হলে ওইখানে তুমি যেতে পারতে না। ওই দোকান তুমি কিনতে পারতে না। আমাকে বাদে কতদিন গোপনে গোপনে চেষ্টা করেও দখল নিতে পেরেছিলে না দেখেছিলে? কোন কারণে দোকান কেনার কাগজপত্রে মা হিসেবেও আমার নাম দাও নাই!!?? শাশুড়ির পরামর্শে স্ত্রীর পরামর্শ!!! দোকানটা তো দখল আমি তোমার মা এবং আমার জন্ম দেওয়া, পেটে একমাত্র যে তোমার বড় ভাই, যে বড় ভাইকে বাদ দিয়ে বিয়ে করেছো! তাকে নিয়েই তো করা লাগলো!? সারা জীবন ও তোমার দেখে ভালবাসে! আর তুমি ওর সাথে ওরকম করো!!?? পর কেউ মানুষ সম্মান করে। আপন ভাইকে সম্মান দিলে না! আচ্ছা ঠিক আছে আমার মানুষ করা ছেলে তুমি, অন্যের সাথে বেয়াদবি করা আমি শিখায় নাই। শয়তান মহিলার মানুষ করা শয়তান মেয়ের মতন তাই তুমি বেয়াদবি করো না। বেয়াদবি করতে ওদের সাথে আমি তোমাকে বলছি না।কত টাকার বিনিময়ে আমি তোমাকে বিক্রি করেছি, কত বিঘা জমি তোমার নামে দিয়েছে, ওইটা আমার জানতে ইচ্ছা করছে। আমার পেটের থেকে যার মূল্য বেশি। যার মূল্য আমার মান-সম্মানের, আমার জীবনের থেকে বেশি তোমার কাছে?! সন্তানের অধিকারের থেকে বেশি!!! যদি তেমন আমার থেকে ভারী ওজনের কিছু দিয়ে থাকে, আর যদি সেটা আমাকে তাড়িয়ে দেয়ার বিনিময়ে নিয়ে থাকো! অসৎ পরিবারের অসৎ মেয়ের বিয়ে মেনে নেওয়ার মতো, আমি মেনে নেবো। সত্যিই যদি দিয়ে থাকে এবং তুমি নিয়ে থাকো আমাকে তাড়িয়ে দেওয়ার ওয়াদা করে, তোমার নামে! তাহলে আমার গ্রন্থগুলো অন্তত পাবলিশ করতে দিয়ে তারপরে দিও তাড়িয়ে। দিও খেদিয়ে। এবং আমার চোখ অপারেশন করতে হবে ডাক্তারের অনেকদিনের নির্দেশ। সেটা করার পরে, তুমি আমাকে তাড়িয়ে দিও। তোমাকে ওরা আমাকে নামিয়ে দিতে বলেছে, নামিয়ে দিও। হ্যাঁ আমার অপারেশনটা হয়ে গেলে এবং বইগুলো প্রকাশ হলে, তাহলে ঠিক আছে আমাকে তোমার বাসা থেকে নামিয়েই দিও, তাড়িয়েই দিও। তবে আমার এই কথাটাও তোমার রাখতে হবে। ওদের কোন পরামর্শের কথা আমি মানবো না তুমি আমার ছেলে, আমার সাথেই তোমার পরামর্শ করতে হবে। এবং আমার সুযোগ সুবিধাও তোমাকে দেখতে হবে। আমার ভবিষ্যৎ আমার মঙ্গল কল্যাণ, আমার সাহিত্যর কারিকুলাম রক্ষণাবেক্ষণ, এগুলোর উপরে তোমার দরদ থাকতে হবে। রাখতে হবে। বিয়ে করার পূর্বের মতন। কাজেই এখন নয়, আমার চোখ অপারেশন করবো, আমার বইগুলো বের করবো, তারপর। কারণ তখন আমি আমার মরা বলে পিছাবো না বরং মরে গেলেই বাঁচবো। এটা বোধহয় ২০২৬ সালেই কমপ্লিট করা সম্ভব হবে যদি তুমি আন্তরিকতা রাখো। কারণ তুমি তো বললে যে কম্পিউটার অন্যের হাতে সেভ নয়! নিরাপদ নয়। কম্পিউটার সহ ফেসবুক মোবাইলের কিছু বিষয় আছে তা অন্যান্যের বাইরের মানুষের নিয়ন্ত্রণে নিরাপদ নয়। কাজের মহিলা একলা ঘরে রাখাও সমস্যা। আবার কম্পিউটারের কাজ একলা ঘরে অন্যর নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ দেয়াও সমস্যা। এখানে কারো দিয়ে আমি কাজ করাতে পারবো কারণ তুমি আমার ছেলে আছো, মানুষ জানে এবং জানবে। এই যে জানবে এটাই নিরাপত্তা। মানসিকতার একটা ব্যাপার তো আছে। মানসিক নিরাপত্তা। তাছাড়াও একলা জীবনে একলা বাসায় কোন নারী পর মানুষের ঘরে আনা ঠিক নয়। নিরাপদ নয়। কাজের মানুষ পর্যন্ত মা মেয়েকে খুন করে যেখানে সেখানে আমি তো একলা! আমার এই সমস্যা তুমি আমার পেটের ছেলে, পেটের দোহাই জন্ম দেওয়ার কসম, ওই মহিলা ওই পর মানুষ, আমার শত্রুদের সাথে পরামর্শ করতে পারবে না। এটা তুমি আমার সাথেই পরামর্শ করবে। কারণ ওরা সু বুদ্ধি দেবে না ওরা কু বুদ্ধি দেবে তোমাকে! কেমন করে কাজের মহিলা চারদিন কাজ করে, দুইজন মহিলার খুন করে গেছে! আর আমি অসুস্থ একলা, এইটা তোমার মাথায় রাখা লাগবে। ওই জোড়া খুনটা না হলে তবু একটা কথা ছিল। নিরাপত্তা নিয়ে আমি ভাবতাম না। তোমাদের সুখের জন্য যেতাম। আমার সাহিত্য কর্মকাণ্ড রক্ষা করা প্রয়োজন! কেউ কারো জিনিস রক্ষা করে না! ঘরের থেকে ফেলে দেয়! আমি কুষ্টিয়াতে গেলে আমার অনেকগুলো দামি দামি স্মৃতি ফেলে দিয়েছে! সাধারণ মূর্খ মানুষের ব্যবহৃত জিনিস ফেলে দেওয়া, আর আমার, জাহানারা হক, এ কে ফজলুল হক ইনাদের ব্যবহৃত জিনিস ফেলে দেওয়া, অবজ্ঞা করা, এক নয়। জাহানারা হকের বাড়িতে
আমার দাদী দাদার স্মৃতি, আমার দাদা মানে কিন্তু বাঘা যতীন এর ঘনিষ্ঠবন্ধু। মানে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনদের স্পন্সার। মন মানসিকতা এবং দৃষ্টিটা এখানে রাখতে হবে। কিন্তু এখন তো লোক ডেকে মিস্ত্রি দিয়ে খরচ করে রুম সেভ করে নিয়েছি। আর ক্ষতি সহজে করতে পারবে না। তখন তো আলাদা করে রাখা ছিল না তাই অমন ক্ষতি করতে পেরেছিল! আমার ফুপুর জিনিস ফেলেছে? ফুফুও কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সেই যুগের মহিলা সমিতির নেত্রী আমার জন্মের আগের! একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের স্ত্রী! একজন খান বাহাদুরের স্ত্রী! যিনি নিজে পৃষ্ঠপোষকতা করতেন কাজী নজরুল ইসলামের! সেই সমস্ত কাগজপত্র নজরুলের সিগনেচার দিয়ে টাকা উঠিয়ে নেওয়া! এগুলোকে তুমি কি মনে করো? এগুলোর মূল্য মূর্খ ওরা বোঝে? প্রতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট থাকলেই সে শিক্ষিত নয়। শিক্ষার মর্যাদা যে করে, যে বোঝে সেই শিক্ষিত। তুমি আমাদের না জানিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে আমার কুষ্টিয়ার বাসা বাড়িতে বাসর করার দোষে! মানুষ অবৈধ ভেবে সেগুলো লুটপাট করে নিয়েছে দরজা ভেঙে! সেসব অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহ্যবাহী!! অনেকদিন ওই বাড়িতে তসরুপ করেছে! এর জন্য কিন্তু আমার ডায়েরি করতে হয়েছিল কুষ্টিয়ার থানায়! ঢাকার বাসা থেকেও আমার অনেক স্মৃতি অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস তোমার বউ শাশুড়ি ফেলে দিয়েছে!! দাড়িপাল্লা পর্যন্ত ফেলে দিয়েছে! রান্নাঘরের শোকেস বিক্রি করে দিয়েছে আমারটা! কিনেছে কিন্তু আমার তো ব্যবহার করতে দেয় না? তাহলে আমারটা বিক্রি করল কেন? দেখো আমি এটা কিন্তু বলি না এটা তো ধৈর্য ধরা তাই না? একটা সাধারণ মহিলা আর একটা লেখক মহিলা এক নয়! মাথায় তোমার এটা থাকা প্রয়োজন। নজরুল ইনস্টিটিউট নজরুলের সবকিছু রক্ষা করে! আমার সবকিছু ওই মহিলার ওই মূর্খ মহিলার কথায় কিভাবে লিখে নিতে চাও? কিভাবে ওই শত্রুর পায়ের নিচে আমার ফেলে ওদের পায়ে পিষে মারতে চাও? আমার শেষ বয়সটাও কি তুমি মানবে না? আমার একটা কথাও কি তুমি শুনবে না?! তাহলে আমি কিভাবে বাচবো? আমার জীবনের বিনিময়ে কিকরে তুমি শয়তানদের কাছে বিক্রি হলে??!! আমার থেকে বেশি ওজনের তোমাকে দিয়েছে সেটা দেখাবা?? বলতে পারো কি সেটা? আমি তো কেড়ে নেব না, দেখিও মাত্র তবু শান্তনা পাবো। মানুষ করেছিলাম সর্বোত্তমভাবে কিন্তু ভিতরে ভিতরে লোভী হয়ে গিয়েছিল কখন, সেটা বুঝতে পারি নাই? কষ্ট করে রান্না খাবার দেয়, খোটা দিত বলে নিজের খাবার নিজে রেধে খায়। আমার ছোটবেলা থেকে মানুষ নিয়ে কাজ করেছি। আমার কাছে শিশুরা কিলবিল করত। কারণ আমি শুধু নারী ও শিশু গবেষকই ছিলাম না। বড় ধরনের শিশু প্রেমিকও ছিলাম। পরের বাচ্চারা আমার কাছেই থাকতো নিরাপদে এবং ভালো। অনেক বাচ্চা আমার থেকে অনেক শিক্ষা গ্রহণ করেছে এবং আমার থেকে কাজ নিয়ে, কাজ শিখে, স্কুলে ফাস্ট শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পেয়েছে। তারা ছিল পরের বাচ্চা। এখন নিজের সন্তানের বাচ্চাদেরও কাছে পায় না। ওই মহিলারা পলিটিক্স করে ষড়যন্ত্র করে আটকে রাখে আমার কাছে আসতে দেয় না। কারণ ওরা আমার ভক্ত হয়ে যায় এটা ও সইতে পারে না। তাও আমি দুঃখ পাইলেও আমার নিজের বাচ্চার জিনিসের উপর আমার অধিকার এই বলে ঝগড়া করি না। কিছুই বলি না। কিন্তু আমার নিজের পেটের সন্তানকে আমি কেন হারাবো? ওই ওই বিধবা মহিলা কুচক্রের কাছে? আমি এভাবে কেন হারবো? হারবো তোমার লাভ আছে সেটা দেখাতে হবে। আমি বুঝবো যে আমার ছেলের আর কাজ করে খেতে হবে না। বসে বসে শুয়ে শুয়ে খাবে। ভবিষ্যৎ ও সেইভাবে আমার ছেলের নামেই করে দিয়েছে। এখন শেষ জীবনে নিজের কাজ নিজে করি শুধু ওরা তোমার খোটা দেয়, খোটার হাত থেকে তোমাকে বাঁচাতে এবং আমি নিজেও বাঁচাতে। জীবনে কি আমি ঘর মোছা কাপড় কাচা করেছি? বাটা ঘষা মরিচ পিয়াজ কাটা, মাছ কাটা ধোঁয়া, বাসন মাজা ?? করেছি তবে সাথে কারো নিয়ে। সারা জীবন আমার মানুষ ছিল কিন্তু তোমার বিয়ের পরে, আমি একা হয়ে গেলাম! এখন নিজের কাজ নিজে একাই করি এবং রেঁধে খাই! অথচ আমাদের না জানিয়ে বিয়ে করা স্ত্রীকে এনেছিলে, আমাকে কথা দিয়ে, আমাকে পটিয়ে, বলেছিলে আপনার সেবা করার জন্য, আপনার সুখ দেয়ার জন্য, আনতেছি! কেমন সুখ দিলে? এখন আবার ওদেরই সুখ দেয়ার জন্য আমাকে তাড়িয়ে দেয়ার প্লান করেছো!! সেই তুমি ওই মহিলার কথায় উঠেপড়ে লাগলে আমার খেদানের জন্য!!! মানুষ পুত্র সন্তানের পাত্রী ও বাড়িঘর আত্মীয়-স্বজন দেখে বিয়ে দেয়! আমাকে কিছুই না দেখিয়ে বিয়ে করেছ! এমনকি সেই বাড়ি না দেখিয়ে বিয়ে করে, এবং আজও দেখাও নাই! এর জন্য কি আমার মনে ব্যথা নাই? এগুলো কি কখনো বলেছি ভুল করেও? কখনো ওদের কোন ডিস্টার্বও করিনা। ওদের স্বাধীনতা মতো ওরা চলে। যার ইচ্ছা এবং খুশি বাড়িতে নিয়ে আসে। যেখানে ইচ্ছা যখন তখন সেখানে যায়। আমি কিচ্ছু বলি না। একলা থাকি। শুধু তুমি পাশে আছো এইটা কেই আমার বড় পাওয়া মনে করে! সেইটুকুও ওই অলক্ষী কালহাভাতি, বিধবা নারী, অর কন্যাকে বিধবা করার প্রলোভনে আমাকে সরিয়ে দেবার পায়তারা করছে!!! ও একটা ছেলের জন্মাতে পারি নাই ওর মেয়েও জন্মাতে পারি নাই! তাই আমার ছেলেকে আমাকে সইতে পারছে না! হিংসাই জ্বলে পুড়ে মরে এই কুকাম করছে!!! ও বিয়ে করে ওর স্বামীর, শাশুড়ির কাছ থেকে দূরে বাসা নিয়ে চলে এসেছিল!! সরিয়ে নিয়েছিল! ও ওর স্বামীকেও ওর শাশুড়ির কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে আসে মেরে ফেলেছিল! আমার ছেলেকেউ এটা করবে!!! আমার সুখ আমার উন্নতি সইতে পারছে না। বিধবা মহিলা সইতে পারতেছে না। এতই যদি ভালো তাহলে আর একটা মেয়ে আছে, আমার ছেলের মতন ছেলে পাচ্ছে না, বিয়ে দেওয়ার কেন??? বয়স তো অনেক বিয়ে দেয়ার বয়স চলে যাচ্ছে তবু বিয়ে দিচ্ছে না কেন?? ও আমাকে তাড়ানোর জন্য, খেদানোর জন্য, তোমার পাছে লাগছে!!! বাথরুমের দুয়ার, রান্না ঘরের দুয়ার, মেন গেটের দুয়ার, স্যান্ডেলের ভিতরে মেইন দরজায়, আমার ফ্রিজের কোলে, এই সমস্ত জায়গায় নামাজ এবং দাঁড়িয়ে আঁচল পেতে কুফরি দোয়া পড়েছে!! খালি ঘর দুই দুইটা রুম ফেলে, তোমার ছিটে করেছে!!! তোমার শরীরটা ওরকম শুকিয়ে গিয়েছে কেন? ছোটবেলা থেকে তুমি ত্রুটিমুক্ত ফিজিক্যাল ফিটনেস।
নষ্ট করে এখন মেরে ফেলানোর জন্য আমার তারিয়ে দেয়ার বুদ্ধি তোমার মাথায় ঢুকিয়েছে!!! বিয়ে দিয়েছিল মাথা এলোমেলো করে দিয়ে। এখন আমাকে তাড়িয়ে দিচ্ছে মাথা তোমার এলোমেলো করে দিয়ে। নইলে নিজের রান্না নিজে করে খাই। নিজের কাজ নিজে করে চলি। সামনে যায় না। কোন প্রয়োজন নেই এবং তোমার খোঁজ খবর নিতে আমি কথা বললেও ওরা কথা বলে না। কিন্তু অপমান করে সেই কথা মুখ দিয়ে বের হয়। এত সুখ পেয়েও হচ্ছে না! কোন কারণে এবং প্রয়োজনে আমাকে তাড়ানোর বুদ্ধি দিয়েছে?? এবং আমি যাতে চলে যায় তোমাকে ছেড়ে, সেই রকম অত্যাচার করে??!! আমি জীবনে কখনো কোন নারীকে ছোট করে ভাবি নাই। ছোট করে কথা বলি নাই। কিন্তু আজ বোধহীন জ্ঞানহীন অবোধদের অত্যাচারে সেইটা রক্ষা করতে পারলাম না। তাই নারী হয়েও নারীকে হেয় উৎপন্ন বাক্যবাণে আকৃষ্ট বোধদয় হারিয়ে অবোধ কথাবার্তা প্রয়োগ করলাম। হে আল্লাহ তুমি আমাকে আর কিছুদিন এবং আরো কিছু ভালো কাজ করতে দাও। যে জন্য নিরাপত্তাহীন জীবন গ্রহণ না করে, অনুমোদন না করে, নিরাপদ জীবন দান করো। সেই জীবনের প্রথম থেকে, এতদিন যেভাবে আমার তোমার ঐশ্বরিক ক্ষমতা বলে, আগলে রেখেছিলে, কোন কুমতলবী মানুষ আমাকে বিন্দুমাত্র ক্ষতি করতে পারে নাই। তেমনই রাখো। আমিন।
২২.১২.২০২৫ ইং সন্ধ্যা ৬টা, সোমবার।



