
মাখদুম সামি কল্লোল: কিশোরগঞ্জ–১ (কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর) আসনে নেতৃত্বের সংকট নিয়ে জনমনে অসন্তোষ ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর ও সাহসী নেতৃত্বের অভাবে এই আসনের রাজনৈতিক কর্মী ও সাধারণ ভোটাররা দিশেহারা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয় নেতাকর্মী ও সচেতন মহলের মতে, বর্তমান বাস্তবতায় কিশোরগঞ্জ–১ আসনের জন্য প্রয়োজন এমন একজন নেতা, যিনি আপসহীন, সংগ্রামী এবং মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয়। সেই প্রত্যাশা থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, যিনি ভিপি সোহেল নামে অধিক পরিচিত।
দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, আন্দোলন–সংগ্রামে অগ্রভাগে সক্রিয় ভূমিকা এবং তৃণমূলের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কের কারণে ভিপি সোহেলকে এই আসনের জন্য সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করছেন অনেকেই। বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সরাসরি মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং সংকটে নেতৃত্ব দেওয়ার নজির তাঁকে জনআস্থার প্রতীকে পরিণত করেছে বলে মত স্থানীয় নেতাকর্মীদের।
একাধিক রাজনৈতিক সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জ–১ আসনের সাধারণ মানুষ এখন স্পষ্ট ভাষায় পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছেন। তাদের মতে, গণতন্ত্র ও জনআকাঙ্ক্ষার প্রতি সম্মান জানিয়ে বর্তমান বাস্তবতায় মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেলকে মনোনয়ন দেওয়াই সময়োপযোগী ও সাহসী সিদ্ধান্ত হবে।
স্থানীয় এক প্রবীণ রাজনৈতিক কর্মী বলেন,
“কিশোরগঞ্জ–১ এর মানুষ আর মুখোশধারী নেতৃত্ব চায় না। তারা চায় পরীক্ষিত, ত্যাগী ও মাঠে থাকা একজন নেতা। ভিপি সোহেল সেই যোগ্যতার প্রমাণ বহুবার দিয়েছেন।”
সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও একই প্রত্যাশা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাদের ভাষ্য, জনগণের কণ্ঠস্বর উপেক্ষা না করে সময় থাকতে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। তা না হলে আসন্ন রাজনৈতিক বাস্তবতায় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
সব মিলিয়ে কিশোরগঞ্জ–১ আসনে এখন একটাই স্লোগান ঘুরে ফিরে শোনা যাচ্ছে—
“কিশোরগঞ্জ–১ চায় পরিবর্তন, কিশোরগঞ্জ–১ চায় খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল (ভিপি সোহেল)।”



