বাংলাদেশ

রাজউকের নথিকরণ কর্মকর্তা উজ্জলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)-এর সম্প্রতি পদোন্নতি প্রাপ্ত পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-১) মো. মিজানুর রহমান-এর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগী মো. মিজানুর রহমানের সম্পদের পাহাড় রয়েছে। তিনি নানা অনিয়মের মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়ার পরও একটি অদৃষ্ট শক্তির বলে তিনি গত কয়েকদিন আগে পরিচালকের পদ পেয়েছেন। পদ পাওয়ার পর পরই তার পছন্দের লোকজনকে তদবির করে তার নিয়ন্ত্রণে রাখছেন।

সূত্র জানায়, গত ১৪ ডিসেম্বর পরিচালক (জোন-৭)-এর দপ্তরের নথিকরণ কর্মকর্তা উজ্জ্বল আহমদকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-১)-এর দপ্তরে ১ দিনের সময় দিয়ে তাকে বদলি করা হয়। এর আগে পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-১)-এর দপ্তরের উচ্চমান সহকারী মো. জাফর উল্লাহকে পরিচালক (আইন)-এর দপ্তরে বদলি করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজউকের এক কর্মকর্তা জানান, গত দুই সপ্তাহ আগে পদোন্নতি প্রাপ্ত মো. পরিচানা (এজেস্টে ও ভূমি-১) মো. মিজানুর রহমান রাজউক চেয়ারম্যানকে ম্যানেজ করে আওয়ামী লীগের দোসর মো. উজ্জ্বল হোসেনকে জরুরি ভিত্তিতে তার দপ্তরের বদলি করে নিয়ে আসেন কারণ (এস্টেট ও ভূমি-১) এ নানা রকম অনিয়মের কাজ হয়ে থাকে। এখানে চাকরি পাওয়ার অর্থই হলো সোনার হরিণ হাতে পাওয়া। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে উক্ত শাখায় রাজউকের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিয়োগ পাওয়ার জন্য তদবীর করে থাকেন। মো. উজ্জ্বল হোসেনের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর এলাকায়। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে উজ্জ্বল হোসেন শ্রমিক লীগের পদ পদবী নিয়ো চাকরি করছেন। আর সে সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দু’হাত ভরে অবৈধভাবে কামিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। একটি বিশেষ এলাকার লোক হওয়ার কারণে উজ্জ্বল হোসেন কাউকেই তোয়াক্কা করতেন না। আর এখন পরিচালক মিজানুর রহমান আসার পর তার ভাগ্যের আরো পরিবর্তন ঘটে।সূত্র আরো জানায়, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর উজ্জ্বলের ঢাকার একাধিক বাড়ি তিনি চলেন দামী গাড়িতে নিজ গ্রাম ফরিদপুর এরাকায় প্রচুর সম্পদ রয়েছে। এ ব্যাপারে উজ্জ্বল হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কোন রিসিভ করেন নাই। এছাড়াও তার অফিসে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

Related Articles

Back to top button