বাংলাদেশ

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পাওয়ায় যুবদল থেকে শুভ্রকে বহিষ্কারাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার : আরিফ হোসেন শুভ্রকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল থেকে বহিষ্কারাদেশ তুলে নেয়ার জন্য পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর আগে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য আরিফ হোসেন শুভ্রকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন। অথচ আরিফ হোসেন শুভ্র বহিষ্কারদেশ তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে চেষ্টা করে আসছেন।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগ ও বাস্তবতা যাচাইয়ের পর বিএনপির সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁকে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদল থেকে বহিষ্কার করা হয়। দলীয় পরিচয় হারালেও প্রশ্ন উঠছে তিনি কি থেমে গেছেন? নাকি বহিষ্কারের পরই প্রকাশ পেয়েছে তাঁর ভয়ংকর বাস্তব চেহারা?
স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, আরিফ হোসেন শুভ্র বর্তমানে নিজস্ব একটি সন্ত্রাসী চক্র গড়ে তুলেছেন, যা মিরপুরে নতুন করে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। তিনি একজন দক্ষ শার্প শুটার হিসেবে পরিচিত এবং আন্ডারওয়ার্ল্ডে অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত একজন কন্ট্রাক্ট কিলার হিসেবেও তাঁর নাম আলোচিত। বিশেষ করে গত এক থেকে দেড় বছর ধরে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তিনি মিরপুর এলাকায় একজন ওপেন গ্যাং লিডারের মতো প্রকাশ্যে চলাফেরা করছেন বলে অভিযোগ। প্রায় সবসময় কোমরে পিস্তল নিয়ে চলাফেরা, সামান্য কথা কাটাকাটিতেই অস্ত্র প্রদর্শন করে আতঙ্ক ছড়ানো এগুলো এখন আর বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। মিরপুরের জুট্টপট্টি, হোপ মার্কেটসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় একাধিকবার এমন দৃশ্য দেখা গেছে বলে দাবি করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এর আগে তিনি একটি অস্ত্র মামলায় বেশ কিছুদিন জেলখেটেছেন। তারপর তিনি জামিনে বের হয়ে আসেন। এসব ঘটনার কারণে এলাকায় এক ধরনের নীরব ভয় কাজ করছে। সেখানে কেউ প্রকাশ্যে কথা বলতে সাহস পাচ্ছেন না।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা যায়, আরিফ হোসেন শুভ্রের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারে পারদর্শী এবং একজন প্রশিক্ষিত শুটার হিসেবে পরিচিত যা এলাকাবাসীর আতঙ্ককে আরও গভীর করে তুলেছে।

Related Articles

Back to top button