বাংলাদেশ

ডিএনসিসির সুয়ারেজ লাইন রিপেয়ার কাজে অনিয়মের অভিযোগ, মান নিয়ে ক্ষোভ সেক্টরবাসীর

রানা, উত্তরা প্রতিনিধি: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) অঞ্চল-১ এর অন্তর্গত ৪ ও ৫ নম্বর সেক্টরে সুয়ারেজ লাইন রিপেয়ার প্রকল্পের কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। প্রকল্প দুটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছেন অঞ্চল-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুজ্জামান খান এবং মাঠপর্যায়ে তদারকি করছেন সহকারী প্রকৌশলী মেরিন চাকমা।

তথ্য অনুযায়ী, ৫ নম্বর সেক্টরের রিপেয়ার কাজের টেন্ডার পেয়েছে মাইসা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, যার স্বত্বাধিকারী মনজুরুল ইসলাম (ডন)। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৪ কোটি টাকা। অন্যদিকে, ৪ নম্বর সেক্টরের কাজটি পেয়েছে জামান কনস্ট্রাকশন কোম্পানি, যার স্বত্বাধিকারী মো. রিপন মিয়া। এ প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ কোটি টাকা।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, কাজে নিম্নমানের খোয়া, ইট ও কেসিজি ব্লক ব্যবহার করা হচ্ছে। ঢালাই মিশ্রণে সিমেন্টের তুলনায় বালুর ব্যবহার বেশি দেখা যাচ্ছে। কোথাও কোথাও পুরনো গাঁথুনির ওপর সামান্য সিমেন্টের আস্তর দিয়ে কাজ শেষ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।

এছাড়া বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, অনেক বাড়ির সামনের শক্ত কংক্রিট ভেঙে পুনরায় নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে ঢালাই করা হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী কোথায় কত ইঞ্চি ঢালাই হওয়া উচিত—তা মানা হচ্ছে না। দুই থেকে আড়াই ইঞ্চি ঢালাই করেই অনেক জায়গায় কাজ শেষ করছে শ্রমিকরা।

অনিয়মের বিষয়ে জানতে নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুজ্জামান খানের সঙ্গে প্রতিবেদকের হোয়াটসঅ্যাপে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি সংক্ষেপে বলেন, “বিষয়টা দেখছি।” তবে তিনি ঠিক কী পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা স্পষ্ট হয়নি।

অন্যদিকে, সহকারী প্রকৌশলী মেরিন চাকমার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কোন তথ্য-উপাত্ত না দিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষেই বক্তব্য দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সেক্টরবাসীর দাবি—বিল পরিশোধের আগে কাজের মান ও নিয়ম-নীতি সঠিকভাবে প্রয়োগ হচ্ছে কি না, তা কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত। জনগণের টাকায় জনগণের সেবা নিশ্চিত করাই সরকারের দায়িত্ব—এমন মন্তব্য করেছেন এলাকাবাসী ও পথচারীরা।

Related Articles

Back to top button